উৎপল শুভ্র নির্বাচিত পাঠকের লেখা

রানাতুঙ্গা থেকে আসালাঙ্কা: লঙ্কান স্কুল ক্রিকেটের আদ্যোপান্ত

পিনাক রায়

২৭ ডিসেম্বর ২০২১

রানাতুঙ্গা থেকে আসালাঙ্কা: লঙ্কান স্কুল ক্রিকেটের আদ্যোপান্ত

অর্জুনা রানাতুঙ্গাদের দেখানো পথেই এসেছেন চারিথ আশালঙ্কাও

শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট ডার্বিতে এখনো দুই ভাগ হয়ে যায় সারা দেশ। প্রায় সব স্কুল ছাত্রের স্বপ্ন থাকে বর্ষসেরা স্কুলবয় ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পাওয়ার। যেটি প্রথম পেয়েছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা, এরপর মহানামা-জয়াসুরিয়া-মুরালিধরনের মতো অনেক কীর্তিমান। এখনকার শ্রীলঙ্কা দলে যে মশাল হাতে নিয়েছেন আশালঙ্কা ও রাজাপাকসের মতো তরুণেরা।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটার কথা মনে আছে? একশ সত্তরোর্ধ রানের লক্ষ্য মাত্রা বেঁধে দিয়ে শ্রীলঙ্কার চার উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছিল, তখন চারিথ আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসের ৮৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি যেন জয়টা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য।

আপনি ভাবতেই পারেন, ওই ম্যাচে আসালাঙ্কা-রাজাপাকসে জুটির রসায়নটা হয়ত স্রেফ একটা অঘটন ছিল। এই শ্রীলঙ্কার সেই সিংহের থাবা আর কোথায়! কার্যত এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আহামরি কিছুই সেভাবে করে দেখাতে পারেনি তারুণ্যনির্ভর লঙ্কানরা। তবে আসালাঙ্কা-ভানুকাদের লড়াকু মনোভাবটা হয়তো আশা জাগিয়েছে সেই প্রজন্মের মনে, যারা এখন নিজেদের আদর্শ মানে এই আসালাঙ্কা-ভানুকা-হাসারাঙ্গাদেরকেই। শ্রীলঙ্কার তারকা হিসেবে নয়, স্কুলের বড় ভাই হিসেবে!

সেই অগ্রজ, যারা নাম লিখিয়েছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বিখ্যাত স্কুলপড়ুয়া বালকদের তালিকায়, যে অনার্স বোর্ডে নাম তুলেছেন দ্বীপ দেশটির মহারথী, কিংবদন্তি আর বিশ্বজয়ী ক্রিকেটাররা। আজকের আসালাঙ্কা-রাজাপাকসে হোক বা সেই সব কিংবদন্তি...সবার শুরুটা সেই একই জায়গা থেকে। নিজেদের স্কুলেই অনন্য হয়ে উঠার সেই গল্পের শিরোনাম 'অবজারভার স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার'।

বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের কিছুটা পরিচয় দেওয়া তরুণ আসালাঙ্কা আর ভানুকা রাজাপাকসের একটা বড় পরিচয় আছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে। দুজন ক্রিকেটারই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রদত্ত স্কুলভিত্তিক ক্রিকেট লিগের সবচেয়ে বড় সম্মাননা খেতাব 'অবজারভার স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার'-এ ভূষিত ক্রিকেটার। ভানুকা রাজপাকসে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ২০১০ ও ২০১১ সালে। চারিথ আসালাঙ্কাও পরপর দুই বছর...২০১৫ ও ২০১৬ সালে। হঠাৎ এই 'অবজারভার স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার' এর কথা শুনলে একজন পাঠক হিসেবে খটকা লাগারই কথা। তবে যখন জানবেন যে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা পর্যন্ত উঠে এসেছেন এই স্কুল ক্রিকেট লিগ থেকেই, তখন গল্পের ইতিহাসটা চুম্বকের মতই আপনাকে টানবে।

এঁরাও এসেছেন সেই চেনা পথ বেয়েশ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কাঠামোর একটা বড় অংশ জুড়ে সেদেশের স্কুল ক্রিকেট লিগ। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে যেমন চোখ রাখা হয় আবাহনী, মোহামেডান কিংবা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ম্যাচে; তেমনি শ্রীলঙ্কার প্রতিটি ক্রিকেট-পাগল সমর্থক খবরের কাগজ থেকে মোবাইল ফোনে খোঁজ রাখেন কলম্বোর নালন্দা কলেজ, থ্রুসান কলেজ, ক্যান্ডির ট্রিনিটি কলেজ কিংবা গলের রিচমন্ড কলেজের বিভাগীয় ম্যাচগুলোর দিকে। ১৯৮১ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করা অপেক্ষাকৃত নবীন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বিশ্বে সাফল্য লাভ ও বিশ্বজয়ীদের কাতারে পা রাখার পেছনে বিশাল অবদান এই শ্রীলঙ্কান স্কুল ক্রিকেটের।

১৮৮০ সালে কলম্বোর রয়্যাল কলেজ ও সেন্ট টমাস কলেজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তঃস্কুল ক্রিকেটের যাত্রা শুরু শ্রীলঙ্কায়। ১৪২ বছর পরে এসেও বিশ্বের একমাত্র স্কুল ক্রিকেট ডার্বি হিসেবে প্রতিবছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয়োজিত হয়ে থাকে 'ব্যাটল অব ব্লুস' খ্যাত এই ম্যাচটি। এরকম অসংখ্য উত্তেজনাকর ম্যাচে ভরপুর শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট লিগ। আর সারা বছরের বিভাগভিত্তিক লিগ ম্যাচগুলোতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন প্রতিভাবান তরুণ প্রতি বছর নির্বাচিত হোন এই 'অবজারভার স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার' খেতাবে। ১৯৮০ সালে যেটির শুরু হয়েছিল আনন্দ কলেজের ছাত্র অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে দিয়ে। একজন সফল ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হিসেবে তরুণ রানাতুঙ্গার হাতেই যে আগামীর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নেতৃত্ব উঠতে পারে, তা তখনই ধারণা করতেন স্থানীয় ক্রিকেট বোদ্ধাদের একটা অংশ।

পরে তো ১৯৮০ ও ১৯৮২ সালের 'সেরা স্কুলবয়' রানাতুঙ্গার অধিনায়কত্বেই ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে শ্রীলঙ্কা! অর্জুনা রানাতুঙ্গার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রোশান মহানামা (১৯৮৩, ১৯৮৪), কুমার ধর্মসেনা (১৯৮৯), সনাৎ জয়াসুরিয়া (১৯৮৮),  মারভান আতাপাত্তু (১৯৯০), মুত্তিয়া মুরালিধরন (১৯৯১) কিংবা হালের দীনেশ চান্ডিমালের (২০০৯) মতো শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট তারকাদের এই খেতাব অর্জনের ঘটনাই জানিয়ে দেয়, স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার হওয়ার এই স্বপ্ন দেখে শ্রীলঙ্কার প্রায় সব স্কুলছাত্রই।

শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেটে এই সম্মানের মূল্য কতটা, সেটা বিশ্বজয়ী রানাতুঙ্গার কথাতেই স্পষ্ট ধরা পড়ে। একবার তিনি বলেছিলেন, 'আপনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনেক পদক অর্জন বা স্থান অধিকার করতে পারেন, তবে "অবজারভার স্কুলবয় ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার'-এর অর্জন আপনার ক্রিকেটীয় জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থেকে যাবে।' ১৯৮২ সালে দ্বিতীয়বার এই খেতাব জয়ের ঘটনাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত বলেও মানেন তিনি। রানাতুঙ্গার ভাষ্যমতে তাদের যুগে স্কুল বালকদের ক্রিকেট স্তর থেকেই ভবিষ্যত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদেরকে চিনে নেওয়া যেত।

এতটা প্রভাব বিস্তারের পেছনে তারকাদের সাফল্যের পথ অনুসরণ করা কিশোরদের যেমন অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে, তেমনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট পরিকাঠামোও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বাস্তবায়নে আন্তরিকতার নজির সৃষ্টি করে আসছে। রানাতুঙ্গা, মুরালিধরন থেকে আজকের রাজাপাকসে, আসালাঙ্কাদের জাতীয় দলে উঠে আসার পেছনে কৈশোরের পাঠশালার ক্রিকেট শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আর সেই ক্রিকেটকে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি দারুণভাবে চলমান রাখতে শ্রীলঙ্কান সরকার ও  ক্রিকেট বোর্ডকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অধিভুক্ত 'শ্রীলঙ্কা স্কুল ক্রিকেট এসোসিয়েশন' প্রতি বছর একটি বিভাগীয় টুর্নামেন্ট এবং দুটি সীমিত ওভারের আসরের আয়োজন করে থাকে। বিভাগীয় টুর্নামেন্টটি চারটি ভিন্ন লিগ যথাক্রমে অনুর্ধ-১৩, ১৫, ১৭ ও ১৯ এ ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি লিগে রয়েছে আবার মানভিত্তিক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর। পুরো শ্রীলঙ্কার প্রায় তিন শর বেশি স্কুল নিয়মিত বছরব্যাপী এই স্তরভিত্তিক ক্রিকেট আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত।

ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতে অঞ্চলে সাধারণত কিশোর ক্রিকেটারদের হাতেখড়ি হয় বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবগুলোতে। তবে মৎস্য আহরণ, মসলাকেন্দ্রিক বাণিজ্য ও পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কায় সেই আর্থিক সংগতি অনেক পরিবারেরই নেই। তাই স্কুলে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধুলায় কিশোরদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা চলছে দীর্ঘ কয়েক প্রজন্ম ধরেই। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুল ক্রিকেট লিগভুক্ত বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া হয় আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সাহায্য। প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে যাবতীয় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট উপকরণগুলোর যৌথ তদারকি করে থাকে শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট এসোসিয়েশন ও স্কুল প্রশাসনগুলো। তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, স্কুলগুলোর প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের স্কুল লিগকেন্দ্রিক প্রচারণা আশির দশকের নবীন সেই শ্রীলঙ্কাকে আজকের বিশ্বজয়ীদের কাতারে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাও শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেটের ফসলস্কুল ক্রিকেট থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারদের অনন্য বৈশিষ্ট্য তাঁরা নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ও চ্যাম্পিয়ন মানসিকতার পাশাপাশি মাঠের ক্রিকেটের জটিল পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার জন্য উপযুক্ত হয়ে গড়ে ওঠে। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার সাফল্যের পেছনে এর বড় অবদান আছে। কারণ স্কুল পর্যায় থেকেই চাপের মধ্যে পারফর্ম করার অভ্যাসটা হয়ে যায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের।

'দ্য ট্রিনিটি লায়ন' খেতাব পাওয়া কুমার সাঙ্গাকারা কিংবা সেন্ট অ্যান্থনি কলেজের হয়ে দুই মৌসুমে এক শ উইকেট পাওয়া অফ স্পিন বোলিং বিস্ময় মুত্তিয়া মুরালিধরন অথবা নালন্দা কলেজের হয়ে খেলা শ্রীলঙ্কার অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো প্রজন্ম হয়ত যুগে যুগে আসবে না লঙ্কান ক্রিকেটে। তবে অভিষেক টেস্টেই অভিজ্ঞ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ উইকেট নেওয়া সেন্ট সেবাস্তিয়ান কলেজের প্রাভিন জয়াবিক্রমা, আসালাঙ্কা-নিসাঙ্কা-রাজাপাকসের ব্যাটিং সামর্থ্য, গত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী রিচমন্ড কলেজের ছাত্র ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গার লেগ স্পিন জাদু কিংবা দুষ্মন্ত চামিরা-লাহিরু কুমারাদের পেস বোলিংয়ের প্রতিভা আবারো আশা জাগাচ্ছে শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের মনে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অবসরের পর স্কটল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপে হেরে যাওয়া কিংবা বাংলাদেশের কাছে হেরে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে যেতে না পারা অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের নিয়ে হাসিঠাট্টা হয়ত অনেকেই করেছেন। তবে যাদের শিকড় প্রোথিত কৈশোরের ক্রিকেট দীক্ষায়, স্কুল ক্রিকেটে একজনকে ছাড়িয়ে আরেকজনের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দুর্দান্ত প্রতিযোগিতায়; তাদের ক্রিকেট বিশ্বে দাপটের সাথে ফিরে আসাটা হয়তো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতা অর্জনের সময়টুকুর ব্যাপার।

হুট করে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগানোর মত দল শ্রীলঙ্কা কখনোই ছিলো না। নিজেদের ক্রিকেটের কাঠামোর স্বচ্ছতা আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কার্যকরী ফল ভোগ করা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট রয়্যাল, সেন্ট টমাস, ট্রিনিটি, রিচমন্ড কলেজের আগামীর তরুণদের নিয়ে হয়ত দ্রুতই ক্রিকেট বিশ্বে চিরচেনা সিংহের গর্জন দিয়েই ফিরবে রানাতুঙ্গা-জয়াসুরিয়া-মুরালিধরন-ভাস-সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে-মালিঙ্গা-মেন্ডিসদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে, যারা তাদের আদর্শকে কিংবদন্তির পথে হাঁটতে দেখেছে নিজ গন্ডি, নিজ পাঠশালা থেকেই। স্কুল ক্রিকেট থেকে বিশ্বজয়ের মঞ্চে পা দেওয়ার এই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট সংস্কৃতি অনুসরণীয় এক দৃষ্টান্ত হতে পারে অন্য দেশগুলোর জন্যও।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×