হাবিবুল বাশার

শততম ম্যাচে ভারত জয়

সেটি ছিল প্রলয়ঙ্করী সুনামির রাত। সেই রাতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেখা হয়েছিল অবিস্মরণীয় এক গল্প। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম বড় জয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পর প্রথম `দৈত্য-বধ`...এই জয়টা তাই চিরদিন অন্যরকম হয়েই থাকবে। থাকবে স্মৃতি রোমন্থনের উপলক্ষ হয়ে।

শততম ম্যাচে বাংলাদেশের ভারত জয়

ভারত সিরিজটাকে দেখছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে, বাংলাদেশ চাইছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি সারতে। দু`দলের তখনকার যে অবস্থা, তাতে জয়-পরাজয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠারই সুযোগ ছিল না কোনো। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল ওই সিরিজেই। যে ম্যাচের নায়কের নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা।

শোয়েব আখতার কি সেদিন বল টেম্পারিং করেছিলেন?

২ উইকেটে ৩১০ থেকে চোখের পলকে ৮ উইকেটে ৩২০...২০০৩ সালের পেশোয়ার টেস্টে বাংলাদেশকে এমন বিপর্যয়ে ফেলে দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর হঠাৎ করেই তাঁর জ্বলে ওঠা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে ভালোই। তাঁর অমন বোলিংয়ের পেছনে কি কেবল হাতের জাদুই ছিল, নাকি অন্য কোনো কূটকৌশল লুকিয়ে?

রিচার্ডস-লারার প্রশংসা-ভেজা সেঞ্চুরি নিয়ে হাবিবুল কী বলেছিলেন?

টেস্টে এর আগেই করেছিলেন দুটি সেঞ্চুরি, খেলেছিলেন জিম্বাবুয়েতে ৭৬ রানের হার না মানা এক ইনিংসও। তবে হাবিবুল বাশারের কাছে সেরা টেস্ট ইনিংস সেন্ট লুসিয়ার ওই সেঞ্চুরিই। কেন সেরা, তার ব্যাখ্যা খুঁজতে ফিরে যেতে হচ্ছে স্যার ডন ব্র‍্যাডম্যানের কাছে। ওই যে ৪৫২ করে বলেছিলেন, `এ এমন এক দিন, যেদিন সব মনমতো হয়েছিল।`

`টেস্ট অ্যাভারেজ ৪০ দেখতে চাই`

১৪৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসের কারণে আমিনুল ইসলাম বুলবুলই কেড়ে নিয়েছেন সব আলো, তবে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম `হিরো` অবশ্যই হাবিবুল বাশার সুমন। দুর্বিনীত স্ট্রোক প্লের এক অনুপম প্রদর্শনীতে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তিনিই। দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় ইনিংসেও সর্বোচ্চ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। ওই টেস্টের কিছুদিন পরই নেওয়া এই সাক্ষাৎকারে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ, বারবার বঞ্চনার শিকার হওয়ার কষ্ট, ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন…সব কিছুই উঠে এসেছিল।

কেন সুমনকেই বারবার শিকার হতে হয় এমন?

টেস্ট ক্রিকেটে শুরুর সময়টায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন হয়ে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। অথচ তাঁকে নিয়ে নির্বাচকদের ছেলেখেলার কারণে এমন তো হতেই পারত, টেস্টই খেলা হলো না তাঁর। অভিষেক টেস্টে সুমনকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণার পর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে লেখাটা লিখেছিলাম। বোর্ড সভাপতির হস্তক্ষেপে পরে সুযোগ পান সুমন। বাকিটুকু, যেমন বলা হয়, ইতিহাস!

হাবিবুলের সেঞ্চুরি, হাবিবুলের বার্তা

এর আগেই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন, তবে সেই দুটিকে ছাপিয়ে হাবিবুল বাশারের সেরা ইনিংস সম্ভবত এই তৃতীয় সেঞ্চুরিটাই। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় স্ট্রোক প্লের ছটায় উজ্জ্বল যে ইনিংস মন কেড়েছিল ব্রায়ান লারারও। আর দিয়েছিল একটা বার্তা, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও শর্ট বল খেলতে জানে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের মেলবন্ধন

২০০৭ বিশ্বকাপের আগে মূলত বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্যই বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত এক জিম্বাবুয়ে সফর। হারারেতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ও সাকিব আল হাসানের। যা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, এ যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের মেলবন্ধন। দুজনের মধ্যে যে বয়সে পনের আর অভিজ্ঞতা-উচ্চাকাঙ্ক্ষায় এগার বছরের পার্থক্য।

মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকে মিছিলটা আরেকটু লম্বা

টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর মহানাটকীয় অবসর নেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই জিম্বাবুয়ে ট্যুর থেকে মুশফিকুর রহিমের ফিরে আসার খবর। যা শুনে মনে পড়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের আগের সব ট্যুরের ব্যতিক্রমী সব ঘটনা। বিতর্ক, নাটক, বিচিত্র সব ইনজুরি...বাংলাদেশের জন্য জিম্বাবুয়ে ট্যুর মানেই ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার।

বাংলাদেশের জন্য জিম্বাবুয়ে সফর মানেই...

মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর জিম্বাবুয়ে ট্যুরে দুর্ঘটনা-বিতর্কের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। বাংলাদেশের প্রতিটি জিম্বাবুয়ে ট্যুরেই এমন কিছু না কিছু ঘটেছে। ২০০৭ সাল পর্যন্ত চারটি ট্যুরে কী হয়েছিল, তা নিয়েই এই লেখা। এর পরেরগুলো না হয় যোগ করে নিলেন!

মাশরাফি-শাহাদাত সামনে বলেই আড়ালে বৃষ্টি

ভারতের প্রথম ইনিংসের সাত উইকেট তুলে নিয়েছিলেন দুজনে মিলে, পরে ব্যাট হাতেও মাশরাফি-শাহাদাতকে নামতে হলো উদ্ধারকারীর ভূমিকায়। নবম উইকেটে বাংলাদেশের সে সময়ের রেকর্ড জুটিতেই ফলো-অন শঙ্কা এড়িয়েছিল বাংলাদেশ। সম্ভবত টেস্টটাও বেঁচে গিয়েছিল এই জুটিতেই, আর তাঁদের সাহায্য করার জন্য বৃষ্টি তো ছিলই।

ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-২

স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম ধাপ ছিল ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়। সেদিন থেকেই রং লেগেছিল টেস্ট স্ট্যাটাসের স্বপ্নে। যে স্বপ্ন পূরণ হলো ২০০০ সালের নভেম্বরে। দল নির্বাচন নিয়ে নাটক থেকে শুরু করে সেই টেস্টের ম্যাচ রিপোর্টও তাই বারবার পড়ার মতোই এক সুখস্মৃতি।

কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো

এবারের নিউজিল্যান্ড ট্যুরে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশ দলের। নিউজিল্যান্ডে নেমে ক্রাইস্টচার্চের হোটেলে ১৪ দিন প্রায় বন্দিদশায় কেটেছে পুরো দলের। সেই অভিজ্ঞতার কথাই লিখেছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক।

যে কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হলো রফিককে

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেক কীর্তিতেই তিনি ‘প্রথম’। তবে কলংকের ‘প্রথম’-ও আছে তাঁর ক্যারিয়ারে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে কোনো ট্যুর থেকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া প্রথম ক্রিকেটারও মোহাম্মদ রফিক। ২০০৪ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে কী করেছিলেন তিনি?