বিশ্বকাপ ফুটবল

নেইমারের হাতেই বিশ্বকাপ?

আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছেন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তার মানে তো আপনি এরই মধ্যে চালশেতে আক্রান্ত অথবা আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন। কীভাবে নিশ্চিত হলাম, বুঝতে পারছেন না? সরল গণিত রে ভাই, সরল গণিত।

অনন্য এক বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ

মিডিয়া সেন্টারে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ জন সাংবাদিকের মধ্যে একটা চকিত জরিপ চালিয়ে দেখলাম, তাঁদের কেউই এখনো আল বায়ত স্টেডিয়ামটা চোখে দেখেননি। দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এই স্টেডিয়ামেই আজ পর্দা উঠছে ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের।

প্লে-অফে যদি রোনালদো বা ইতালি বেছে নিতে হয়!

সেই সম্ভাবনা তো আছেই। সম্ভাবনা না বলে অবশ্য আশঙ্কা বলাই ভালো এবং সেই আশঙ্কা শুধু পর্তুগাল বা ইতালির নয়, সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদেরও।

ফুটবলে নতুন ঝড়: দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ?

শুরু থেকেই চার বছরের চক্রে চলে আসছে বিশ্বকাপ ফুটবল। হঠাৎই আলোচনা শুরু হয়েছে প্রতি দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের। শুরু হয়েছে এর পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কও। ফুটবল বিশ্ব দ্বিধাবিভক্তই বলতে পারেন এ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কে জিতবে? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে তা কি আবেদন হারাবে না? `দ্য অ্যাথলেটিক`-এর এই লেখায় উঠে এসেছে সবই।

`মারাকানাজো` এবং আলসিদেস গিঘিয়া

ম্যাচটি হয়েছিল ১৯৫০ সালের ১৬ জুলাই। শুধু এই তারিখটাই নয়, দুঃস্বপ্নটা দেখা দেওয়ার সময়টাও প্রায় সব ব্রাজিলিয়ানেরই জানা। বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিট। বল পায়ে অনেকটা দৌড়ে ব্রাজিলের বক্সে ঢুকে শট নিলেন গিঘিয়া। গোওওওওওল! `মারাকানাজো`র রচয়িতা উরুগুয়ের সেই গিঘিয়াকে দেখে ব্রাজিলিয়ানদের সেই চিরকালীন দুঃস্বপ্নের বিকেলে ফিরে যাওয়া।

এবার `ঈশ্বরের দুই হাত`

এমি মার্তিনেজের বীরত্বে আরও একবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা। অবশ্য সেমিফাইনালের মঞ্চটা নিজেদের করে নেওয়ার বাতিক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকদের আগে থেকেই আছে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে যেমন নিয়েছিলেন সার্জিও গয়কোচিয়া, ২০১৪ বিশ্বকাপে সার্জিও রোমেরো। এই লেখাটা ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর, যাতে গয়কোচিয়াও প্রবলভাবে উপস্থিত।

নেইমারের প্রশ্ন–চাপ? কিসের চাপ?

পুরো দেশ নেইমার-নেইমার করছে। দাবি জানাচ্ছে, নিজেদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপ জিততেই হবে। মুছে দিতে হবে মারাকানোজোর দুঃস্বপ্ন। কিন্তু চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত নেইমারকে দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। বরং প্রেস কনফারেন্সে যতবার এই চাপের কথা উঠেছে, তিনি হেসে তা উড়িয়ে দিয়েছেন। এই `চাপ` যে ১৩ বছর বয়স থেকেই ছায়াসঙ্গী বলে তা আর গায়েই লাগে না!

যে ম্যাচে মেসির বিশ্বকাপ-অভিষেক

ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে বাইরে বসে থাকার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নামলেন ৭৪ মিনিটে বদলী হিসেবে। ১৮ বছর বয়সী লিওনেল মেসি হয়ে গেলেন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ওটুকু সময়ের মধ্যেই একটা গোল করালেন, নিজেও করলেন দলের ছয় গোলের শেষটি। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটা মেসির কারণেও আলাদা হয়ে গেল।

‘নতুন ম্যারাডোনা’ মেসির বিশ্বকাপ অভিষেক হচ্ছে আজ?

কেউ একটু বল পায়ে কাড়িকুড়ি করতে পারে? জাতে আর্জেন্টাইন? ব্যস, লাগিয়ে দাও `নতুন ম্যারাডোনা` বিশেষণ। এঁদের মধ্যে একজন একটু আলাদা। ২০০৬ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন ১৯ ছুুঁইছুঁই যে ফুটবলার, ম্যারাডোনা তাঁর খেলা দেখে বলেছেন, `এ-ই নতুন ম্যারাডোনা।` সেই তরুণ এখন ৩৪-এর দোরগোড়ায়, আর `নতুন ম্যারাডোনা` তকমা ঝেড়ে ফেলে নিজের নামটাকেই বানিয়ে ফেলেছেন বিশেষণ, `লিওনেল মেসি`। এই লেখায় বিশ্বকাপে তাঁর অভিষেক ম্যাচের আগের গল্প।

ভালদেরামার মাথায় আসল চুল, না কি পরচুলা?

ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়, মাথার চুল দেখে কার্লোস ভালদেরামাকে। কলম্বিয়ার সাবেক এই ফুটবলারের বাহারি চুল যেমন বিস্ময় জাগায়, তেমনি সন্দেহ—আসল না নকল! ভালদেরামার সঙ্গে কথা বলে হাজারও ফুটবলপ্রেমীর এই কৌতূহলের উত্তর জানিয়েছিলেন উৎপল শুভ্র।

দ্য মিরাকল অব বার্ন

একটা দল পাঁচ বছর ধরে অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে সেই দল কোনো এক দলকে হারিয়েছে ৮-৩ গোলের ব্যবধানে। অথচ ৮-৩ গোলের ব্যবধানে হেরে যাওয়া দলই ফাইনালে পাঁচ বছর ধরে অপরাজিত দলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে জিতে নিল বিশ্বকাপ। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল ১৯৫৪ এর বিশ্বকাপ ফাইনালে। ‘দ্য মিরাকল অফ বার্ন’ নামেই খ্যাত সেই ফাইনাল।

স্মরণকালের সেরা বিশ্বকাপ!

পিছু ধাওয়া করছিল বিতর্ক আর অনিশ্চয়তা। শুরু হয়েছিল অশান্তিতে। আর শেষ? শেষে গিয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ হয়ে থাকল অবিস্মরণীয় এক অভিজ্ঞতার নাম। অনেকের মতেই স্মরণকালের সেরা বিশ্বকাপ। বিতর্ক, অশান্তি আর অনিশ্চয়তা শব্দগুলো বদলে গেল আনন্দ, উৎসব আর উন্মাদনায়।

স্বপ্নের ফাইনাল, না আতঙ্কের ফাইনাল?

শেষ পর্যন্ত হয়নি। আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠলেও জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে বিখ্যাত সেই ৭-১ ছিটকে দিয়েছে ব্রাজিলকে। এর আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল বোধ হয় এবার হয়েই যাচ্ছে। তবে সেই সম্ভাবনা যতটা রোমাঞ্চ জাগাচ্ছিল, ততটাই অস্বস্তি। কিছুটা আতঙ্কও!