মহানায়কের শেষ টেস্ট

শচীনের সেই বিদায়ী বক্তৃতা

ক্রিকেট ব্যাট হাতে সারা জীবনই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, তবে বক্তা হিসেবে তেমন সুনাম কখনোই ছিল না। সেই শচীন টেন্ডুলকারই বিদায়বেলায় এমন একটা বক্তৃতা দিয়ে বসলেন যে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সীমানা ছাড়িয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে থাকা কোটি কোটি দর্শকও যাতে অভিভূত। ইংরেজিতে দেওয়া সেই বক্তৃতার অনূদিত রূপ।

ব্র্যাডম্যানের চেয়েও বড়?

গ্রেটনেসের চূড়ান্ত বিচারক নাকি মহাকাল। শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মহাকালের কোনো কাজই থাকছে না! গ্রেটনেসের প্রশ্নটা মীমাংসা হয়ে গেছে অনেক আগেই। বিদায়বেলায় আলোচনা এসে ঠেকেছে ‘দ্য গ্রেটেস্টে’।

রূপকথার নায়কের রূপকথার মতোই বিদায়

শচীন টেন্ডুলকারের বিদায় তো শুধুই একজন ক্রিকেটারের চলে যাওয়া নয়। একটা সুখস্বপ্নের সমাপ্তি। সমাপ্তি অমর এক প্রেমকাহিনির, দুই যুগ আগে ১৬ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে যেটির শুরু ভারতের কোটি জনতার। যেটি অবাক হওয়ার মতো, আগে থেকে জানার পরও আসল সময়টা যখন এল, সমবেত জনতার অমন ভেঙে পড়া।

৬২-র স্বপ্নে বিভোর ভারত

শচীন...শচীন...শচীন!!! বগলে ব্যাট, মাথায় তেরঙা খচিত হেলমেট—দুই যুগ ধরেই ভারতের মাঠে মাঠে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির উইকেট-যাত্রায় সঙ্গী এই চিৎকার। ধেত্, সেসবের সঙ্গে কি এর তুলনা চলে নাকি! সেসবে শুধু প্রত্যাশা ছিল, ভালোবাসা ছিল। আর এখানে বাঁধনহীন আবেগ।

রাঙিয়ে দিতে পারবেন শেষবেলায়?

অবসর নিয়ে অনেক পুরোনো কথা। যখন তুমি যাবে, সবাই যেন বলে ‘কেন?’ শচীন টেন্ডুলকারকে কেউ এই প্রশ্নটা করছে না। বরং গত কিছুদিন ক্রিকেট-বিশ্বের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত প্রশ্নটা নিশ্চয়ই তাঁর কানেও গিয়ে থাকবে—আর কত, এখনো কেন যাচ্ছেন না?

আবেগ চেপে অপেক্ষায় মুম্বাই!

শচীন টেন্ডুলকার তো আর শুধুই একজন ক্রিকেটার ছিলেন না। ছিলেন এক আবেগের নাম। এত দিন সবাইকে আবেগে ভাসিয়েছেন, এখন হয়তো নিজেই তাতে আক্রান্ত। বাইরে যতই নিষ্কম্প দেখাক, ক্রিকেটের সঙ্গে দুই যুগের বন্ধন ছিন্ন করে ফেলার ম্যাচে তাঁকেও আবেগ না ছুঁয়ে গিয়ে পারেই না।