আমার মেসি, আমার নেইমার

উৎপল শুভ্র

১১ জুলাই ২০২১

আমার মেসি, আমার নেইমার

ছবি: ফক্স সকার

কোপার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। মুখোমুখি তো নেইমার-মেসিও। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে দুজনকেই কম দেখেননি উৎপল শুভ্র, কথাও বলেছেন মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে। কোপার ফাইনালের আগে দুজনকে দেখার অভিজ্ঞতা নিয়েই স্মৃতিচারণা করলেন তিনি।

এই কোপা আমেরিকা ফাইনালও যদি লিওনেল মেসির জন্য আরেকটা দুঃখগাথা হয়ে যায়, ফাইনাল শেষে মেসির বিষন্ন মুখ দেখা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফাইনাল-শেষে মেসির হাসিমুখ দেখা মানুষের সংখ্যা যে অপরিবর্তিতই থাকবে, তা না বললেও চলত। তারপরও বলছি, কারণ সেই মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে আমিও আছি। ক্লাব ফুটবলের কোনো ফাইনালের কথা যে হচ্ছে না, তা তো বুঝতেই পারছেন। 

তা আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসি আবার ফাইনাল জিতলেন কোথায়? এর আগে তিন কোপা আর এক বিশ্বকাপ মিলিয়ে আর্জেন্টিনার চারটি ফাইনালের তো একই গল্প। ম্যাচশেষে বিষাদে টলোমলো মেসির দুচোখ। মেসির ফাইনাল-দুঃখ নিয়ে এই ওয়েবসাইটেই লেখা আছে। ফেসবুক পেজে আছে ভিডিও গ্রাফিকসও। তাহলে?

এই সাসপেন্স তৈরি করার চেষ্টাটা মনে হয় মাঠে মারা যাচ্ছে। মেসি-ভক্তদের তাঁর ক্যারিয়ারের খুঁটিনাটি যেমন মুখস্থ, তাতে কী বলতে চাইছি, এতক্ষণে তাঁদের বুঝে ফেলার কথা। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসি ফাইনাল জিতেছেন, তবে তা অলিম্পিক ফুটবল ফাইনাল। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের সেই ফুটবল ফাইনাল আমি মাঠে বসে দেখেছি। দেখেছি, ম্যাচশেষে মিক্সড জোনে গলায় সোনার পদক ঝুলিয়ে হাস্যমুখ মেসিকে। শুধু দেখিইনি, কথাও বলেছি। যদিও দোভাষীর মাধ্যমে মেসিকে একটা প্রশ্ন করে একই মাধ্যমে সেটির উত্তর পাওয়াটা ‘কথা বলা’ বলে বিবেচিত হবে কি না, ঠিক নিশ্চিত নই।

অলিম্পিক সোনাজয়ী ওই আর্জেন্টিনা দলে মেলা বসেছিল তারকার। তিনজন ২৩-উর্দ্ধ খেলোয়াড়ের একজন হয়ে রিকুয়েলমে ছিলেন, ছিলেন আগুয়েরো, মাচেরানো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার মতো অনেকে। ভর দুপুরে বেইজিংয়ের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে (এমনই গরম যে, দুই অর্ধেই 'কুলিং ব্রেক' দিতে হয়েছিল) অনুষ্ঠিত ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।

আর্জেন্টিনাকে কিছুই জিততে দেখেননি বলে আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের যেমন আক্ষেপ দেখি, তাতে তারা আমাকে হিংসা করতে পারেন। আমি আর্জেন্টিনাকে দুটি ফাইনাল জিততে দেখেছি। ২০০৮ অলিম্পিকের কথা তো বললামই, চার বছর আগে এথেন্স অলিম্পিকেও সোনা জিততে দেখেছি আর্জেন্টিনাকে। যে দলের সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন কার্লোস তেভেজ। এরপরই হাভিয়ের স্যাভিওলা। যে স্যাভিওলাকে দোভাষী মারফত ইন্টারভিউ করতে গিয়ে মজার একটা তথ্যই পেয়েছিলাম। যে আর্জেন্টিনার জন্য বাংলাদেশে এমন উন্মাদনা, সেই বাংলাদেশের নামই শোনেননি স্যাভিওলা। উল্টো জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ দেশটা কোথায়?

২০০৮ অলিম্পিক স্বর্ণ-জয়ের পর মেসি, সঙ্গী আগুয়েরো

২০০৪ অলিম্পিকে মেসি ছিলেন না। সেবারের সোনাজয়ী দলের একমাত্র মাচেরানোই ছিলেন পরের অলিম্পিকে। ২০১২ অলিম্পিকে আর্জেন্টিনাই ছিল না। আগের দুবারের চ্যাম্পিয়ন সেই অলিম্পিকে কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি। কোপা আমেরিকা ফাইনালের ধান ভানতে গিয়ে অলিম্পিক ফুটবলের গীত গাওয়ার কারণ তো এতক্ষণে অনুমান করেই ফেলেছেন। মেসি ফাইনাল জেতেন না, মেসি ফাইনালে পারেন না...আকাশে-বাতাসে অনুরণিত কথাগুলো শুনে মেসিকে যে আমি আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ফাইনাল জিততে দেখেছি, সবাইকে কৌশল করে তা জানিয়ে দেওয়া। ২০১২ অলিম্পিকটাও কথায় কথায় এসে পড়েনি। ইচ্ছা করেই তা টেনে এনেছি, কারণ নেইমার ডা সিলভাকে আমি লন্ডন অলিম্পিকেই প্রথম দেখি। তথ্যটা প্রাসঙ্গিক, কারণ এই কোপা আমেরিকা ফাইনাল তো মেসি-নেইমারই, না কি?

নেইমারে পরে আসি। মেসিকে চর্মচক্ষে প্রথম দেখেছি অবশ্য বেইজিং অলিম্পিকের দুই বছর আগেই। ২০০৬ বিশ্বকাপে। ইনজুরি নিয়েই এসেছিলেন, প্রথম ম্যাচে তাই খেলার সুযোগ পাননি। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে যতটুকু সময় পেয়েছিলেন, তাতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কেন তাঁকে ‘নতুন ম্যারাডোনা’ বলা হচ্ছে। ওই ম্যাচে চোখ জুড়ানো ফুটবল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। এর আগে-পরে আর্জেন্টিনাকে এত সুন্দর ফুটবল খেলতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে পরাজয় বেঞ্চে বসেই দেখতে হয়েছিল মেসিকে। কোচ হোসে পেকারম্যান কেন যে তাঁকে নামাননি, তা শুধু তিনিই জানেন।

ওই বিশ্বকাপে মেসি-দর্শন তাই দু’একবারের বেশি নয়। মাঝখানে একটা বিশ্বকাপ বিরতি দিয়ে আবার বিশ্বকাপ কাভার করতে গেলাম ব্রাজিলে। সেই বিশ্বকাপে একটু দূর থেকে প্র্যাকটিসে, বেশ কাছ থেকে সংবাদ সম্মেলনে, খুব কাছ থেকে মিক্সড জোনে অনেকবারই মেসিকে দেখেছি। আর্জেন্টিনার ম্যাচে তো চোখ তাঁকেই অনুসরণ করেছে বেশি। অনেক দূরের ভেন্যুতে বলে আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালটাই শুধু দেখা হয়নি, বাকি সবগুলো ম্যাচই কাভার করেছি এবং মাঠের মেসিকে দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছি। তাঁর ড্রিবলিং দেখে নয়, জাদুকরী ফ্রি কিকও নয়, ওসব তো দেখতে দেখতে ততদিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। বিস্মিত হয়েছিলাম, উইদাউট বল মেসিকে অবিশ্বাস্যরকম নিস্পৃহ দেখে। ফুটবল ম্যাচে আর কোনো খেলোয়াড়কে কখনো চারপাশ সম্পর্কে এমন আপাত বিস্মৃত হয়ে মাঠের মাঝখানে অমন নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনি। দাঁড়িয়ে থাকা মানে দাঁড়িয়ে থাকাই, নড়াচড়া যা করেছেন, তাকে বড়জোর পায়চারি বলা যায়।

মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ম্যাচ মারাকানার সেই ফাইনালেও ছিলাম। সেই ফাইনালে হিগুইয়েনের যে অবিশ্বাস্য মিসটা আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের এখনো চোখে ভাসে এবং হৃদয়ে রক্তরক্ষণ ঘটায় ও মনে রাগের জন্ম দেয়, সেটি ছিল দূরের পোস্টে। অতিরিক্ত সময় গোটজের জয়সূচক গোলের মতো মেসির অবিশ্বাস্য মিসও একই পোস্টে। যা ছিল আমার একেবারে কাছে। হিগুয়েইনের ওই মিসের মতো মেসির মিসটাও আমাকে কম বিস্মিত করিনি। ওই জায়গা থেকে এক শ বারের মধ্যে ৯৯ বারই তো মেসি গোল করেন। যে একবার মিস করেন, তা যে বিশ্বকাপ ফাইনালেই, এর সঙ্গে কি চাপের কোনো সম্পর্ক আছে?

যে প্রশ্নটা দুই বছর পর কোপা ফাইনালে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করার পরও আমার মনে জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে কোনো ট্রফি জিততে না পারলে (অলিম্পিকটা বাইরে রাখছি), তখন কিন্তু শুধু দুর্ভাগ্য বলে সেটির পুরো ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না। ‘সি’ দিয়ে শব্দটা এসেই পড়বে, ক্রিকেটে যেটি আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার সমার্থক বলে জানি।

ফাইনালে যা-ই হোক, এই ছবিটা হয়তো আবার দেখা যাবে

কাকতালীয়ভাবে ওই ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের দুই বছর পর মারাকানার ওই একই পোস্টে এক ফুটবলারকে চরমতম চাপের মধ্যে পড়ে যেতে দেখলাম। এবং দেখলাম সেই চাপ জয় করে বিজয়ীর হাসি হাসতেও। ফুটবলারের নাম নেইমার। চাপটাকে চরমতম বলছি, কারণ বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসের সফলতম দল ব্রাজিল কখনো যে অলিম্পিক সোনা জেতেনি, সেই সোনা জেতা নির্ভর করছিল টাইব্রেকারে তাঁর নেওয়া পেনাল্টিটির ওপর। নেইমার ওই পেনাল্টিটি নেওয়ার আগে দর্শকে ঠাসা মারাকানায় হঠাৎই এমন শ্মশানের নীরবতা নেমে এসেছিল যে, রীতিমতো ভুতুড়ে লাগছিল! ওই সময়টা যেমন কোনোদিন ভোলার নয়, তেমনি ভোলার নয় নেইমারের পেনাল্টি জালে জড়িয়ে যাওয়ার পর মারাকানার ফেটে পড়া। দুটি বিশ্বকাপ কাভার করেছি বলে ফুটবল মাঠে দর্শকের চিৎকার কেমন কান ফাটানো হতে পারে, এর সঙ্গে ভালোই পরিচয় ছিল। কিন্তু সেই রাতের মারাকানার সঙ্গে আর কিছুর তুলনা হয় না।

কোপা আমেরিকা ফাইনাল খেলতে নামার সময় নির্ঘাত নেইমারের সঙ্গী হবে সেই সুখস্মৃতি। ২০১৩ সালে এখানেই কনফেডারেশনস কাপ ফাইনালে এর আগের পাঁচ/ছয় বছর ধরে অপ্রতিরোধ্য স্পেনকে নিয়ে ছেলেখেলা করার স্মৃতিও হয়তো উঁকি দেবে তাঁর মনে। আর মেসির? নিয়তিই কি ফুটবলের দুঃখী রাজকুমারের আক্ষেপ ঘোচানোর জন্য আবার তাঁকে নামিয়ে দিচ্ছে তাঁর সবচেয়ে রক্তাক্ত স্মৃতির সেই রণাঙ্গনে? কে জানে, হতেই পারে। এই কোপার ফাইনাল তো মারাকানায় হওয়ার কথা ছিল না।

একটু আগে নেইমারকে প্রথম দেখার স্মৃতির কথা বলছিলাম। মনে আছে তো, সেটি ২০১২ অলিম্পিকে। ওয়েম্বলিতে ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে হেরে যাওয়ার পর মাঠে তাঁর শুয়ে পড়াটা দিয়ে সেই ম্যাচ রিপোর্টের ইন্ট্রো করেছিলাম। মনে হয়েছিল, ব্রাজিলের আক্ষেপ ঘোচানোর ব্যর্থতার দায় পুরোটাই নিজের ওপর নিয়ে নিজেই নিজেক দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়। চার বছর পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের বয়ে বেড়ানো সেই আক্ষেপ ঘুচেছে তাঁর পায়েই।

সান্তোস ফুটবল ক্লাবের মিউজিয়ামে `নেইমার কর্নার`। ছবি: উৎপল শুভ্র

এরপর থেকেই সান্তোস ক্লাবের মিউজিয়ামটাতে আরেকবার ঢুঁ মারার খুব ইচ্ছা। ২০১৪ বিশ্বকাপের সময় যেখানে দেখেছিলাম, পেলেময় সেই মিউজিয়ামে পেলের পর নেইমারের জন্যই সবচেয়ে বেশি জায়গা বরাদ্দ। ইস্পাতের পাত দিয়ে বানানো তাঁর একটা মূর্তি তো আছেই, আছে তাঁর জার্সি-বুট-অটোগ্রাফসম্বলিত বল এসব দিয়ে সাজানো একটা আলাদা কিউবিকলও। যেখানে লন্ডন অলিম্পিকে জেতা রুপার পদকটাও আছে। আবার সান্তোসে যেতে ইচ্ছা করছে এটা দেখতে, চার বছর পর রিওতে জেতা সোনার পদকটাও কি এখন ওখানে? 

সান্তোসের মিউজিয়ামে লন্ডন অলিম্পিকে জেতা নেইমারের রুপার পদক। ছবি: উৎপল শুভ্র২০১৪ বিশ্বকাপে নেইমারকে বেশি দেখতে দেয়নি কলম্বিয়ার ওই ভয়ঙ্কর ফাউল। নিজের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, আর তা থেকে ওভাবে ছিটকে পড়া..ব্রাজিলে তখন শোকের মাতম। যা আমাকেও ভালোই স্পর্শ করেছিল। নেইমারকে যে ততদিনে খুব ভালো বেসে ফেলেছি। মেসিকে ভালো বাসতে মাঠে তাঁর খেলা দেখাটাই যথেষ্ট। মাঠের বাইরের মেসিকে একটু নিরামিষই বলা চলে। কিন্তু নেইমার মাঠে যেমন চনমনে, মাঠের বাইরে তার চেয়েও বেশি। সংবাদ সম্মেলনে, মিক্সড জোনে যতবার দেখেছি, মুখে দুষ্টুমির একটা হাসি লেগেই আছে। মাঠের নেইমারকে দেখে যেমন মনে হয়, এই একজন ফুটবলার, যে পেশাদার ফুটবলের বিষম চাপকে অগ্রাহ্য করে শৈশব-কৈশোরের মতো খেলার আনন্দে খেলে যাচ্ছে; মাঠের বাইরের নেইমারও আপনার মধ্যে ছড়িয়ে দেবে একই রকম একটা অনুভূতি। জীবন একটাই, তা হেসেখেলে আনন্দে কাটানোই ভালো।

কোপার ফাইনালের আগে আমি তাই একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বেই আছি। মেসির হাতে ট্রফি দেখতে চাইব, নাকি নেইমারের হাতে? একবার মনে হচ্ছে, ফুটবলকে মেসি এত কিছু দিয়েছেন, দিনের পর দিন মন রাঙিয়েছেন দর্শকের, একটা ট্রফি কি তাঁর প্রাপ্য নয়? আবার মনে হয়, নেইমারও তো এখনো কোপা জেতেননি, তাঁর অমঙ্গলই বা কিভাবে চাই? দুজনের মুখেই হাসি দেখার কোনো সুযোগ থাকলে সেটাই চাইতাম। কিন্তু ফাইনালে তো আর তা সম্ভব নয়। একজনের মুখে হাসি মানেই আরেকজনের মুখে বিষাদের আঁকিবুকি।

শেষমেষ তাহলে সিদ্ধান্ত কী? লাইনটা লিখতে গিয়ে নিজেই হেসে ফেললাম। যেন আমার সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে সব কিছু!

তা অবশ্যই করছে না। কিন্তু লেখাটা শেষ করতে তো একটা উপসংহার লাগে। তাতে কী লিখি? 

না, মাথায় কিছু আসছে না। ও হ্যাঁ, এটা বললেই তো হয়! মেসিকে ভালোবাসি, নেইমারকেও। এবার তোমরা মাঠে খেলে যা পারো, করে নাও। চাওয়া বলতে একটাই, আমি দুজনের সেরা খেলাটাই দেখতে চাই। রেজাল্ট নিয়ে আমার অত মাথাব্যথা নেই।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×