স্বাধীনতার ৫০ বছরে খেলার ৫০:৪৯
স্বপ্ন যখন সত্য হয়ে যায়
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
দুলাল মাহমুদ
১১ ডিসেম্বর ২০২১
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় সাফল্যের কথা বললে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের কথাই হয়তো বেশি উচ্চারিত হবে। ’স্বাধীনতার ৫০ বছরে খেলার ৫০’ ধারাবাহিকে এবার ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে আকবর আলীদের জয়গাথা।
কত দূর স্বপ্নের সীমানা?
তা কি স্পর্শ করতে পারে আমাদের কল্পনা?
এমন একটা দেশে বসবাস, যেখানে কল্পনা দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে খুব একটা দূরে যেতে পারে না। তারপরের ধাপ তো এশিয়া। সেও তো খুব নিকটবর্তী নয়। আর বিশ্ব তো স্বপ্নের নাগালের বাইরে। কেমন সে জগত? কীভাবে সেখানে পৌঁছানো যায়? এ নিয়ে এই সেদিনও বড় কোনো ভাবনা ছিল না। সেই জগতটার সঙ্গে প্রথম খানিকটা পরিচয় করিয়ে দেন সাকিব আল হাসান নামের একজন বিস্ময়কর ক্রিকেটার। আমাদের স্বপ্নটাকে অনেক দূর বিস্তৃত করে দিয়ে। বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হয়ে যিনি লাগামহীন করে দিয়েছেন স্বপ্নের পরিধি।
এখন আর কোনো কিছুই অসম্ভব মনে হয় না।
এ কারণেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্নটাকে একটুও অবাস্তব মনে হয়নি। কারণ এমন একটা স্বপ্ন আমরা বুকের ভেতর লালন করে এসেছি। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে আয়োজিত যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে তৃতীয় হলেও সেরা সাফল্য অর্জন করে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে স্বাগতিকেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের এত দূর কখনও যেতে পারেনি। এমনকি বিশ্ব পর্যায়ের আর কোনো প্রতিযোগিতায় এর আগে এতটা পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয় নি। আর তখন থেকেই শুরু হয় স্বপ্নের জাল বুনন। বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন। তবে তা যে এত তাড়াতাড়ি ধরা দেবে, তা ধারণা করা যায়নি।
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত যুব বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শিরোপা জয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ধীবুদ্ধিসম্পন্ন আকবর আলীর ওপর। বিকেএসপির ছাত্র থাকাকালে নেতৃত্বের দীক্ষা পান রংপুরের এই সন্তান। দেড় বছর ধরে তাঁর নেতৃত্বে সাজানো হয় দলটি। এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টানা খেলার মধ্যে থাকায় দল গঠনে মোটেও সমস্যা হয়নি। ২০১৯ সালে ২২টি এক দিনের ম্যাচ খেলে পরিণত হয়ে ওঠে দলটি। এই ২২ ম্যাচের ১৬টিতেই জয়, যার বেশির ভাগই বিদেশের মাটিতে। এই সাফল্য যুব দলটিকে দারুণভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। শ্রীলঙ্কায় যুব এশিয়া কাপ এবং ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি। এই না পারাটা তাতিয়ে দেয় তরুণ এই ক্রিকেটারদের।
দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলে আসায় তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমন্বয় ছিল ভালো। গড়ে উঠে কম্বিনেশন ও টিম স্পিরিট। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন বিবেচনায় বোলিং অ্যাটাকে ছিল পেসারদের আধিক্য। কন্ডিশন মানিয়ে নিতে সপ্তাহ দুয়েক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় বাংলাদেশ দল। বেশ আটঘাঁট বেধে খেলতে যায়। যাওয়ার আগে আকবর আলী বলেন, 'আমাদের দলটা ফাইনালেও যেতে পারে বলে বিশ্বাস করি। গত কিছু দিন যেভাবে খেলেছি, আশা করি আমরা খুব ভালো কিছু করব।' তাঁর এই মন্তব্য মোটেও ফাঁপা বুলি ছিল না। দলের সামর্থ্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিলেন বলেই এমন আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ করতে পেরেছেন তিনি।
স্বপ্নের চূড়ায় উঠার পথে বাংলাদেশ একে একে উড়িয়ে দেয় সব প্রতিপক্ষকে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের জয়যাত্রা শুরু হয় জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারিয়ে দিয়ে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। অপরাজিত ৫৮ রান করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন পারভেজ হোসেন ইমন। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ডও পাত্তা পায়নি। স্কটিশ ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন রাকিবুল হাসান। হ্যাটট্টিকসহ ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হন বাঁহাতি এই স্পিনার। জয় আসে ৭ উইকেটে। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিণত হয় আনুষ্ঠানিকতায়। তবে এই ম্যাচে কঠিন এক পরীক্ষার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। যে কারণে মন খারাপ করার মতো কিছু ঘটেনি৷
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা ছিল। শাহাদাত হোসেনের অপরাজেয় ৭৪ রানে বাংলাদেশ বড়সড় স্কোর গড়লে দুর্ভাবনা খানিকটা লাঘব হয়। আর সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিমিষেই দূর করে দেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই হন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ। ১০৪ রানে জয়ী হয় বাংলাদেশ। এমন জয় পেলে সেই দলকে কি আটকে রাখা যায়?
তবে প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার কারণে একরকম ধুকধুকানি না হয়ে পারে না। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর তা নিয়ে ভাবনার আর অবকাশ ছিল না। তখন পুরোপুরি বদলে যায় বাংলাদেশ। দাপটের সঙ্গে খেলে একটার পর একটা জয় পায়। দলের খেলোয়াড়রা পৌঁছায় আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু ছিল না। সেমিফাইনালে কিউইদের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্বহীন করে দেন ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। তাঁর দায়িত্বশীল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে জয়ী হয়ে প্রথমবার ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার কোনও কারণ ছিল না। শ্রীলঙ্কা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দেয়, সঙ্গত কারণেই বাজির দর তাদের অনুকূলেই ছিল। আর বাংলাদেশের ছিল স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্খা। ৯ ফেব্রুয়ারি পচেফস্ট্রুমের সিনউইজ পার্কে আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। উদ্বোধনী ব্যাটার যশ্বভি জাইশাল (৮৮ রান) এক পাশ আঁকড়ে থাকলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। অভিষেক দাস (৩/৪০), তানজীম হাসান সাকিব (২/২৮), শরিফুল ইসলাম (২/৩১) সম্মিলিতভাবে আক্রমণ গড়ে তোলেন। এই ত্রয়ী পেসার ভারতকে 'বাবুজি জারা ধীরে চলো' নীতিতে চলতে বাধ্য করেন।
ছোটদের বিশ্বকাপের ফাইনালে টার্গেটটা নেহাত মন্দ ছিল না। ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ আর ফাইনাল ম্যাচের 'চাপ' সামলিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখা সহজ ছিল না। উদ্বোধনী ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন (৪৭ রান) রয়েসয়ে ব্যাট করলেও যথারীতি স্বপ্ন চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু বিপর্যকর পরিস্থিতি সামাল দেন আকরাম খানের সুযোগ্য উত্তরসূরি অধিনায়ক আকবর আলী। তিনি বুঝতে পারেন, যা করার মাথা ঠাণ্ডা রেখে করতে হবে। পার্টনাররা দ্রুত প্রস্থান করতে থাকলে তিনি চালিয়ে যান টিকে থাকার সংগ্রাম। জীবনে এমন সুযোগ তো আর কখনও আসবে না। তিনি মনে মনে সংকল্প করেন, কোনোভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। ভারতের লেগ স্পিনার রবি বিশ্নয় (৪/৩০) ব্যাপক বেগ দিলেও জয়ের জন্য মরিয়া দলটিকে আটকাতে পারেননি।
স্কোরবোর্ডে যখন ১৬৩ রান, তখন বৃষ্টি এসে বিঘ্ন ঘটায়। ডার্কওয়ার্থ/লুইস মেথডে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ১৭০ রান। তুমুল উত্তেজনাময় কিছু সময় কাটিয়ে ৩ উইকেটে জয়ী হয় বাংলাদেশ। রাকিবুল হাসানের ব্যাট থেকে জয়সূচক রান আসার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি বাংলাদেশেও শুরু হয়ে যায় বিশ্ব জয়ের উদযাপন। এর আগে এমন কিছুর সঙ্গে তো এ দেশের মানুষের পরিচয় ছিল না। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলে কথা!
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জয়ের নায়কদের মধ্যে ছিলেন ব্যাট হাতে মাহমুদুল হাসান জয়, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজীদ হাসান তানিম, শাহাদত হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, আকবর আলী আর বল হাতে রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজীম হাসান সাকিব, শামীম হোসেনরা।
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ক্রিকেটভুবনে বিস্ময়কর হলেও মোটেও অভাবিত ছিল না। এই শিরোপার জন্য একটু একটু করে প্রস্তুত হচ্ছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেট বিশ্ব তা অনুধাবন করতে পারছিল। তারপরও বাংলাদেশের মতো দেশের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে ছিল রীতিমতো একটা ধাক্কা। কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ, গৌরব ও বীরত্বের অংশীদার হয়েছে এ দেশের মানুষ। এ জয় শুধু ক্রিকেটের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি জাতির আবেগ, উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসা।
ক্রিকেটের এ সাফল্য জাতীয় জীবনে বুনে দিতে পেরেছে আত্মবিশ্বাসের বীজ। বাংলাদেশ যে বিশ্বসেরা হতে পারে, এ আত্মবিশ্বাস অর্জন করাটাও অনেক বড় পাওয়া। দেশের যে কোনো সাফল্যই উজ্জীবিত করে পুরো জাতিকে৷ এর প্রতিফলন দেখা যেতে পারে জীবনের সর্বস্তরেই। শ্রেষ্ঠত্বের আসন অলঙ্কৃত করা যে অসম্ভব কিছু নয়, সেই পথটা দেখিয়ে দেন নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা।
জুনিয়র এ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে একাধিকবার সম্ভাবনা জাগিয়েও লক্ষ্যটা অপূরণীয় থেকে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আকবর আলীর নেতৃত্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এ বিজয়ে আরো বড় সাফল্যের আস্থা, প্রত্যয় ও বিশ্বাসের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। আইসিসি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা এখন আর মোটেও স্বপ্ন নয়, বরং তা অর্জন করা যে সম্ভব, সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল: আকবর আলী (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজীদ হাসান তানিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদত হোসেন, শামীম হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণ, তানজীম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, শাহীন আলম।
গৌরবের সেই স্কোরকার্ড
ভেন্যু : সিনউইজ পার্ক, পচেফস্ট্রুম, দক্ষিণ আফ্রিকা
তারিখ : ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ফিল্ড আম্পায়ার : আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও স্যাম নোগাস্কি (অস্ট্রেলিয়া)
টিভি আম্পায়ার : রবীন্দ্র উইমালাসিরি (শ্রীলঙ্কা)
রিজার্ভ আম্পায়ার : বোঙ্গানি জিলে (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যাচ রেফারি : গ্রায়েম ল্যাব্রয় (শ্রীলঙ্কা)
টস জয়: বাংলাদেশ (ফিল্ডিং)
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল
যশ্বভি জাইশাল ক তানজীদ হাসান ব শরিফুল ইসলাম ৮৮
দিব্যনাশ সাক্সেনা ক মাহমুদুল হাসান ব অভিষেক দাশ ২
তিলক ভারমা ক শরিফুল ইসলাম ব তানজীম হাসান ৩৮
প্রিয়ম জর্জ (অধিনায়ক) ক তানজীদ হাসান ব রাকিবুল হাসান ৭
ধ্রুব জুরেল রান আউট (শামীম হোসেন+আকবর আলী) ২২
সিদ্বেশ ভীর এলবিডব্লিউ শরিফুল ইসলাম ০
অথর্ব আনকোলেকার ব অভিষেক দাশ ৩
রবি বিশ্নয় রান আউট (শরিফুল ইসলাম) ২
সুশান্ত মিশ্র ক শরিফুল ইসলাম ব তানজিম হাসান ৩
কার্তিক তিয়াগী ক আকবর আলী ব অভিষেক দাশ ০
আকাশ সিং অপরাজিত. ১
অতিরিক্ত (লেগ বাই ১, ওয়াইড ১০) ১১
মোট: ৪৭.২ ওভারে অলআউট ১৭৭
উইকেট পতন: ১/৯ (সাক্সেনা, ৬.৪), ২/১০৩ (ভারমা, ২৮.৬), ৩/১১৪ (প্রিয়ম, ৩১.৩), ৪/১৫৬ (জাইশাল, ৩৯.৫), ৫/১৫৬ (ভীর, ৩৯.৬), ৬/১৬৮ (জুরেল, ৪২.২), ৭/১৭০ (রবি, ৪৩.৫), ৮/১৭০ (অথর্ব, ৪৪.১), ৯/১৭২ (কার্তিক, ৪৪.৬), ১০/১৭৭ (মিশ্র, ৪৭.২)।
বোলিং: শরিফুল ইসলাম: ১০-১-৩১-২, তানজিম হাসান: ৮.২-২-২৮-২,
অভিষেক দাশ: ৯-০-৪০-৩, শামীম হোসেন: ৬-০-৩৬-০, রাকিবুল হাসান : ১০-১-২৯-১,
তৌহিদ হৃদয়: ৪-০-১২-০
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ইনিংস
(ডি/এল মেথডে টার্গেট ৪৬ ওভারে ১৭০)
পারভেজ হোসেন ইমন ক আকাশ সিং ব জাইশাল ৪৭
তানজিদ হাসান ক কার্তিক তিয়াগি ব রবি বিশ্নয় ১৭
মাহমুদুল হাসান জয় ব রবি বিশনয় ৮
তৌহিদ হৃদয় এলবিডব্লিউ রবি বিশ্নয় ০
শাহাদাত হোসেন স্ট্যাম্পড জুরেল ব রবি বিশ্নয় ১
আকবর আলী অপরাজিত ৪৩
শামীম হোসেন ক জাইশাল ব সুশান্ত মিশ্র ৭
অভিষেক দাশ ক কার্তিক ব সুশান্ত মিশ্র ৫
রাকিবুল হাসান অপরাজিত ৯
অতিরিক্ত (বাই ৮, লেগ বাই ৪, নো ২ ওয়াইড ১৯) ৩৩
মোট: ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০
উইকেট পতন: ১/৫০ (তানজিদ, ৮.৫), ২/৬২ (মাহমুদুল, ১২.৫), ২/৬২* (পারভেজ, রিটায়ার্ট হার্ট), ৩/৬২ (হৃদয়, ১৪.১), ৪/৬৫ (শাহাদাত, ১৬.১), ৫/৮৫ (শামীম, ২০.১), ৬/১০২ (অভিষেক, ২২.৬), ৭/১৪৩ (পারভেজ, ৩১.৬)।
বোলিং: কার্তিক তিয়াগী: ১০-২-৩৩-০, সুশান্ত মিশ্র: ৭-০-২৫-২, আকাশ সিং: ৮-১-৩৩-০, রবি বিশ্নয়: ১০-৩-৩০-৪, অথর্ব আনকোলেকার: ৪.১-০-২২-০, যশ্বভি জাইশাল: ৩-০-১৫-১।
ফল : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ফাইনাল : আকবর আলী (বাংলাদেশ)
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ : যশ্বভি জাইশাল (ভারত)।