প্রশ্নোত্তর

Imran AAfrat

কোন খেলোয়াড়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে আপনি বেশি অভিভূত হয়েছেন?

উত্তর: অভিভূত বলতে যদি মুগ্ধ বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা। ওর একটা বড় ইন্টারভিউ করেছিলাম প্রথম আলো ঈদ সংখ্যার জন্য। খেলাও ছিল, তবে খেলার চেয়ে খেলার বাইরের পৃথিবী, মাশরাফির পরিবার, জীবনদর্শন এসবই ছিল বেশি। অসাধারণ লেগেছিল। আর ইন্টারভিউ করতে পেরেই খুব খুশি হয়েছিলাম, এমন বলতে বললে স্যার গ্যারি সোবার্সের কথা বলব।

Admin

বাংলাদেশ কবে বিশ্বকাপ জিততে পারবে বলে মনে করেন?

উত্তর: বলা কঠিন। প্রশ্নটা যদি ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়েই ধরে নিই, ২০১৫ বিশ্বকাপে মনে হয়েছিল পরেরবার বাংলাদেশের ভালো একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে কী হলো, তা তো সবার জানাই। ২০২৩ বিশ্বকাপই সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর (সবাই খেলবেন ধরে নিচ্ছি) শেষ বিশ্বকাপ। এটিতে ভালো করতে না পারলে এমন অভিজ্ঞতার জন্য বাংলাদেশকে আরও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আপনার প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেওয়া খুব কঠিন।

হাসান উজ জামান

শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং- এদের মধ্যে যেকোন একটি নাম বেছে নিতে বললে কোন নামটি বেছে নেবেন? কেন নেবেন? অন্যদের নাম না নেয়ার যুক্তিও জানতে চাই।

উত্তর: ব্রায়ান লারার নামটাই হয়তো আগে বলব, কারণ মাঠের খেলার সঙ্গে মাঠের বাইরেও লারা আমাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছেন। অসম্ভব মুডি, কখনো কখনো খেয়ালিও, ঠিক নির্দিষ্ট ছাঁচে ফেলা কঠিন...এসব মিলিয়ে লারার অন্যরকম একটা আকর্ষণ ছিল। শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে আর নতুন কী বলব? আমি লারা-শচীন দুজনের ব্যাটিংই খুব পছন্দ করতাম। কিন্তু একজনকে বেছে নিতে বললে হয়তো লারাকেই নেব। রিকি পন্টিং কেন যেন আমাকে সেভাবে টানেননি।

ইমরান শরীফ শুভ

অন্য খেলা পাতাটাকে নিয়ে কেমন পরিকল্পনা করেছেন? দাবা কি অন্তর্ভুক্ত করা যায়? [দাবাপ্রেমী হিসেবে আরজি আরকি] আর দাবা বিষয়ক কোনো লেখা কি "আপনার পাতা"র জন্য পাঠানো যাবে?

উত্তর: উৎপলশুভ্রডটকম সব খেলার ওয়েবসাইট। যেকোনো খেলা নিয়েই এখানে লেখা যাবে। দাবা নিয়ে আমার বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন। আপনার পাতায় দাবা নিয়ে অবশ্যই লেখা যাবে।

Imran

ami apnar lekhar die hard fan..sei chotobela teke apnar lekhar fan ami..apnar kache amar prosno apni ki apnar puran report jegulo onek onek age published hoisilo segulo ki natun bhabe apnar website a publishe kora jabe?

উত্তর: উৎপলশুভ্রডটকমে আমার অনেক পুরোনো লেখাই তো এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সামনে আরও হবে।

অমৃত বিশ্বাস

সাংবাদিক হিসাবে আপনি যত ইভেন্ট কাভার করেছেন, তার মধ্যে সেরা কোনটি?

উত্তর: একেকটার একেক মজা। ক্রিকেটই বেশি কাভার করেছি বলে বিশ্বকাপ ফুটবল বা অলিম্পিকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল। তা আমি এনজয়ই করেছি। চারটি অলিম্পিক কাভার করেও অলিম্পিকের বিশালত্ব নিয়ে বিস্ময় আমার কাটেনি। বিশ্বকাপ ফু্টবল আবার খুব উৎসবমুখর হয় বলে এটিও খুব ভালো লেগেছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হয় বলে তা একটু ক্লান্তিকর। তারপরও বাংলাদেশ খেলে বলে লিখে মজা পাওয়া যায়।

মোখলেসুর রহমান

আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?

উত্তর: একজনের নাম বলা কঠিন। অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে তালিকাটা অনেক লম্বা হবে। তবে যদি একজনকে বেছে নিতেই হয়, আমি বলব ভিভ রিচার্ডসের কথা। যদিও আমি কখনো মাঠে বসে তাঁর খেলা দেখিনি। এ জন্য খুব আফসোসও হয়।

আনিসুর রহমান

আমি ক্রীড়া সাংবাদিক হতে চাই। এ জন্য কী করতে হবে?

উত্তর: প্রথমত আপনাকে খেলা ভালোবাসতে হবে। খেলার ইতিহাস, আইনকানুন এ সব সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আমি যখন সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম, তখন শুধু সংবাদপত্রই সাংবাদিকতার একমাত্র ক্ষেত্র ছিল।  এখন তা টেলিভিশন, অনলাইন মিলিয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। সংবাদপত্রে কাজ করলে লেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লিখতে পারার একটা শর্তের কথাই আমি বলব—পড়া, পড়া, আরও পড়া। তা শুধু খেলাধুলা বিষয়ক লেখা বা বই নয়, সব ধরনের লেখাই পড়তে হবে। তাতে শুধু ভাষাটাই তৈরি হয় না, জানাশোনাটা বাড়ে, লেখায় তা ব্যবহার করা যায়। টেলিভিশনের চাহিদা আবার ভিন্ন। বিষয়টা এত বিস্তৃত যে, এখানে পুরোটা আলোচনা করা কঠিন। পরে কখনো এ নিয়ে লিখব বা বলব। এক সময় ক্রীড়া সাংবাদিকতার ওপর একটা কোর্সও চালু করারও ইচ্ছা আছে।

শওকত আলী

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আপনি ক্রীড়া সাংবাদিক হলেন কীভাবে?

উত্তর: খুব ভেবেচিন্তে হয়েছি, এটা বলা যাবে না। খেলা ভালো বাসতাম, ছাত্রজীবন থেকেই খেলা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখতাম। তবে ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। শুরু করেছিলাম শখে। তারপর এমনই মজে গেলাম যে, সেটাই হয়ে গেল পেশা।

সীমান্ত সাহা রাতুল

যত টেস্ট ম্যাচ কাভার করেছেন, তার মধ্যে সেরা কোনটি?

উত্তর: একটা বেছে নেওয়া খুব কঠিন। জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ বলে ১৯৯৩ সালের ভারত-ইংল্যান্ড কলকাতা টেস্টটা সব সময়ই আলাদা। তার ওপর দর্শক হিসাবেও তা ছিল আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় কিছু ঘটেছে, এমন টেস্ট ম্যাচগুলোও স্বাভাবিকভাবেই স্মরণীয় হয়ে আছে। তবে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কাভার করা সেরা টেস্ট ম্যাচ ২০০১ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া কলকাতা টেস্ট। ফলো অন করতে নেমে ভেঙ্কট লক্ষ্মণের ২৮১, রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ এবং নাটকীয়ভাবে শেষ সেশনে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের অভাবনীয় জয়। এই টেস্ট ম্যাচটি সর্বকালের সেরা টেস্টের মধ্যেও থাকবে বলেই আমার ধারণা।

মতিউর রহমান

আপনি এখন পর্যন্ত কতগুলো টেস্ট ম্যাচ কাভার করেছেন? ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যাটাও জানতে চাই।

উত্তর: টেস্ট ম্যাচ ১০২ পর্যন্ত গুণে রেখেছিলাম। এটা প্রায় বছর তিন/চার আগের কথা। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। পরে কখনো হিসাব করে জানাব। ওয়ানডে ম্যাচের হিসাব নাই, তিন/চার শ তো হবেই।

আশরাফুল ইসলাম

আপনি প্রথম আলো ছেড়ে দিয়ে উৎপলশুভ্রডটকম কেন করলেন?

উত্তর: প্রথম আলো ছাড়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথম আলো ছাড়ার সময় এই ওয়েবসাইট করার কথা মাথায় ছিল না। এটা কেন করছি, এর একটা উত্তর ভিন্ন কিছু করা। নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখা। খেলা নিয়ে লেখালেখির বাইরে আরও অনেক কিছু করাও একটা উদ্দেশ্য। হোমপেজের নিচের কেন উৎপলশুভ্র.কম পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

×