ইমরান খানের অসমাপ্ত সাক্ষাৎকার

‘আমার কাছে তো ক্যাপ্টেনসি করাটা খুব সহজ মনে হয়েছে’

উৎপল শুভ্র

৮ মে ২০২১

‘আমার কাছে তো ক্যাপ্টেনসি করাটা খুব সহজ মনে হয়েছে’

ইমরান খান

এর আগে টুকটাক কথা বলেছি, ওয়ান টু ওয়ান ইন্টারভিউ করা হয়নি কখনো। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা পেলাম এই ঢাকাতেই। সুযোগ পেলাম ঠিকই, কিন্তু তা পুরো কাজে লাগাতে পারলাম কই! নিয়মমাফিক সৌজন্যমূলক প্রশ্নের পর্ব শেষ হওয়ার আগেই যে উঠে যেতে হলো ইমরান খানকে। পরে অনেক চেষ্টা করেও সেই ইন্টারভিউয়ের দ্বিতীয় পর্বের জন্য আর বসাতেই পারলাম না ইমরান খানকে। ইন্টারভিউয়ের চেয়ে সেই গল্পটাও মনে হয় কম আকর্ষক নয়।

প্রথম প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০০৬। প্রথম আলো।

ইমরান খানকে নিয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশ অফিসের একটা লুকোচুরি মতো ছিল। যেকোনো কারণেই হোক, ইমরানকে নিয়ে বেশি মাতামাতি হোক--এটা যেন চাইছিলেন না ইউনিসেফ কর্তারা। হতে পারে, ইমরান-পত্নী জেমাইমাকে নিয়ে তাঁদের মূল যে কাজ, ধনুষ্টংকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করা, সেটিতে কোনো বিতর্কের ছোঁয়া যেন না লাগে, সে জন্যই তাঁদের এই চেষ্টা। ইমরান খান তো এখন শুধু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আর ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম অলরাউন্ডার নন, পাকিস্তানকে পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন দেখা এক রাজনীতিক। তাঁর হঠাৎ কোনো মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পারে, বিশেষ করে এসব বিতর্ক-টিতর্ককে এই পাঠান ভয় পান বলে যখন শোনা যায়নি কখনোই।

ইমরান খানও এখন তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়টাকেই বড় করে দেখাতে চান। এ কারণেই ঢাকায় যে সংবাদ সম্মেলনটি করলেন, তাতে ক্রীড়া সাংবাদিকেরা নন, আমন্ত্রিত ছিলেন রাজনৈতিক সাংবাদিকেরা। তারপরও যে ক্রিকেট তাঁকে ইমরান খান বানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে সেই ক্রিকেট কি একদমই 'নিষিদ্ধ' থাকতে পারে? পারে না আশা করেই ইমরান খানের সংবাদ সম্মেলনে যাওয়া। মিনিট পনেরো আগেই হোটেল শেরাটনে পৌঁছে যাওয়ায় একটা লাভই হলো। একা পাওয়া গেল ইমরানকে। সুইমিংপুলের পাশে বসে নিমগ্ন হয়ে একটি ইংরেজি দৈনিক পড়ছেন, তাঁকে ঘিরে নানা রকম দুষ্টুমির প্রতিভার পরিচয় দিতে থাকা দুই পুত্রের দিকে সেভাবে খেয়াল নেই। হাত তিনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এই সাংবাদিকের দিকে দৃষ্টি আকর্ষিত হতেও সময় লাগল খানিকটা। তবে একটুও সময় লাগল না সংবাদ সম্মেলনের পর একটা একান্ত সাক্ষাৎকারের প্রতিশ্রুতি পেতে। বলতেই ইমরান খান রাজি।

কিন্তু তখন তো বুঝতে পারিনি, ইমরান রাজি হওয়া মানেই সব নয়। আরও অনেক ফ্যাকড়া আছে। সংবাদ সম্মেলনে একসময় ক্রিকেট এল। একান্ত সাক্ষাৎকার যখন পাচ্ছিই, সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সংবাদ সম্মেলনে কেন প্রশ্ন করব ভেবে চুপ করে অপেক্ষা করছি সমাপ্তির। একসময় সেই সমাপ্তির ঘণ্টাও বাজল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই একজন খবর নিয়ে এলেন, ইমরানের জন্য বাহিরে অপেক্ষা করছেন ইউনিসেফ-কর্তারা। ক্রীড়া সাংবাদিকদেরও আরও অনেকে ইমরানের সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায়। তারপরও পূর্ব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইমরানকে নিয়ে আলাদা বসা গেল। মনে তখন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। বসে যখন পড়েছি, আর ঠেকায় কে?

ঠেকাল ইউনিসেফ! বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য এত সব কল্যাণকর কাজ করছে সংস্থাটি, কিন্তু আমার 'অকল্যাণ'ই হলো তাঁদের কারণে। ইন্টারভিউয়ের নিয়মমতো বিতর্কিত বিষয়গুলো পরে আনব ভেবে রুটিন চার-পাঁচটা প্রশ্ন মাত্র করেছি, তখনই এক ইউনিসেফ কর্তার তাড়া, কি একটা অনুষ্ঠানে তাঁর অপেক্ষায় ৫০ জন লোক নাকি বসে আছে ইউনিসেফ অফিসে। ইমরান টেপ রেকর্ডারের দিকে তাকিয়ে অসহায় ভঙ্গিতে কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললেন, 'ওকে, লাস্ট টু কোশ্চেনস্।'

কিন্তু সেই 'টু কোশ্চেন'ও হলো না। পাকিস্তানি ইউনিসেফ-কর্তার মোবাইলে পাকিস্তান থেকে রশিদ নামে একজন ইমরানকে চাইছেন, নিশ্চয়ই খুব ঘনিষ্ঠ বা গুরুত্বপূর্ণ কেউই হবেন, নইলে ইমরান ব্যস্তসমস্ত ভঙ্গিতে কথা বলতে শুরু করবেন কেন? এরই মধ্যে জেমাইমা গোল্ডস্মিথ তাঁর দুই পুত্রকে নিয়ে হাজির। ছবি তোলার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই ইমরান পরিবারকে ঘিরে তখন রীতিমতো জটলা, তাঁর কাছে যাওয়াই মুশকিল।

জেমাইমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে। আলোড়ন সৃষ্টিকারী যে বিয়ে টেকেনি শেষ পর্যন্ত। ছবি: গালফ নিউজ

যে ইউনিসেফ-কর্তা ইমরানকে 'কেড়ে' নিয়েছেন, ৯০ ভাগ হতাশ এবং ১০ ভাগ ক্ষোভে মাখামাখি আমার মুখ দেখে তাঁর হয়তো একটু মায়া হলো। হয়তো এ কারণেই সান্ত্বনার ভঙ্গিতে বললেন, 'আমাদের অনুষ্ঠানটা খুব জরুরি, লোকজন বসে আছে। বেশিক্ষণ লাগবে না, আপনি পরে আবার ইন্টারভিউ করতে পারবেন।'

সেই 'পরে' আর এল না। শেরাটনের পাশেই ইউনিসেফ অফিসে যে ভঙ্গিতে ঢুকেছিলেন, ইমরান বেরোলেন তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যস্তসমস্ত ভঙ্গিতে। এই সাংবাদিককে দেখেও না দেখার ভান করার পরও অকালমৃত্যুর হাত থেকে ইন্টারভিউটিকে বাঁচাতে তাঁকে আবারও বসার প্রস্তাব দেওয়া হলো। 'আমি খুব ব্যস্ত। তা ছাড়া ক্রিকেট নিয়ে আর কত বলব'—এ কথা বলেও সাক্ষাৎকারপ্রার্থীকে নিরস্ত করা যাচ্ছে না দেখে ইমরান হোটেলের দিকে হাঁটা ধরলেন। 'ঠিক আছে, তাহলে হাঁটতে হাঁটতেই কয়েকটি প্রশ্ন করি'--এ প্রস্তাবে অবশ্য সম্মতি মিলল। কিন্তু হেঁটে হেঁটে কি ইন্টারভিউ হয়! 'একবার শারজায় ফাইনালে দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের বুকিদের সঙ্গে যোগাযোগের খবর পেয়ে অধিনায়ক ইমরান খান পুরো প্রাইজমানিটাই পাকিস্তানের জয়ের পক্ষে বাজি ধরেছিলেন'--এ কথাটা ঠিক কি না, তাঁর প্লে বয় ইমেজের পুরোটাই সত্যি নাকি এর অনেকটাই মিডিয়ার অবদান, হাঁটতে হাঁটতে তো আর এসব প্রশ্ন করা যায় না। ইমরান খানের সাক্ষাৎকার বলতে তাই যেমন বিস্ফোরক সব মন্তব্যের প্রত্যাশা জাগে--এটি তেমন কোনো সাক্ষাৎকার নয়। এটি ইমরান খানের অসম্পূর্ণ এক সাক্ষাৎকার।

উৎপল শুভ্র: একটু আগে সংবাদ সম্মেলনে আপনি বললেন, অনেক দিন ক্রিকেট সেভাবে ফলো করেন না। ক্রিকেটই তো আপনাকে 'ইমরান খান' বানিয়েছে, তার পরও সেটি আপনাকে একদমই টানে না?

ইমরান খান: টানবে না কেন! অবশ্যই টানে। তবে ঘটনা হলো, রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের পর আমি এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে ক্রিকেট ফলো করার সময়ই পাই না। তা ছাড়া এখন এত খেলা হচ্ছে যে, সব দেখা মুশকিল। টিভি খুললেই দেখা যায়, কোনো না কোনো টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে। আমাদের সময় টেস্ট ম্যাচ ছিল অনেক দিন পর পর আসা দারুণ এক উপলক্ষ। ইদানীং আমি ক্রিকেটের খবর যা রাখি, তা সংবাদপত্রের মাধ্যমে। অনেক দিন আমি ক্রিকেট ম্যাচে যাই না, ক্রিকেট মাঠে যাই না।

শুভ্র: পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্য নামই যেন বিতর্ক! কারণটা কী?

ইমরান: শুধু পাকিস্তান নয়, এই উপমহাদেশের মানুষেরই শৃঙ্খলার প্রতি একটা ঔদাসীন্য আছে। ষড়যন্ত্র ব্যাপারটিতেও আমরা খুব পারঙ্গম। পাকিস্তানের ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তানে যেমন প্রতিভা আছে, তাতে তাদের অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বসেরা দল হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ করে আমি বলব নব্বইয়ের দশকের কথা, প্রতিভার বিচারে তখনকার পাকিস্তান দলটিকেই আমি বলব সেরা, কিন্তু তারা সে অনুযায়ী সাফল্য পায়নি।

 পাকিস্তানের প্রত্যাশিত সাফল্য না পাবার কারণ শৃঙ্খলার অভাব, বক্তার নাম ইমরান খান। ছবি: দ্য হিন্দু

শুভ্র: পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলাহীনতা বা আপনার কথামতো ষড়যন্ত্র-প্রিয়তার কারণে পাকিস্তান দলের ক্যাপ্টেনসি করাটা কি ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে কঠিন কাজ?

ইমরান: (হাসি) আমার কাছে তো তা একটুও কঠিন বলে মনে হয়নি। আমার তো বরং ক্যাপ্টেনসি করাটা খুব সহজ বলেই মনে হয়েছে।

শুভ্র: কীভাবে এই কঠিন কাজটা সহজ করে ফেললেন আপনি?

ইমরান: আগে বলি, পাকিস্তানে হয়তো বা ভারতেও তা-ই, অধিনায়কত্ব করার মূল সমস্যাগুলো কী? বিশেষ করে পাকিস্তানে, ক্রিকেট বোর্ড থেকে অধিনায়কের কাজে বড় বেশি নাক গলানো হয়, যা অধিনায়ককে ঠিকভাবে বেড়ে উঠতেই দেয় না। দ্বিতীয়ত, যেহেতু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সত্যিকার কোনো কাঠামো নেই তাই খেলোয়াড় নির্বাচন প্রক্রিয়াটাও ত্রুটিপূর্ণ হতে বাধ্য। ইংল্যান্ডের উদাহরণ দিই, ইংল্যান্ডে দল নির্বাচন খুব সহজ। কারণ আপনি জানেন, কারা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছে। যারা সেখানে ভালো করছে, তারাই জাতীয় দলে আসবে--ব্যাপারটি একদম সরল। কিন্তু পাকিস্তানে ঘরোয়া ক্রিকেট একেবারেই ফালতু, তাই কাকে নির্বাচন করা হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। পাকিস্তানে এই দুটি মূল সমস্যা–বোর্ডের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের দুরবস্থা। এর সঙ্গে যে আরেকটি ব্যাপার পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে দেয় না তা হলো, মানুষ জানে না যে অধিনায়কত্ব একটি দায়িত্ব, তা দায়িত্বকে অপব্যবহার করার কোনো সুযোগ নয়। পাকিস্তান অধিনায়ক যারা, তারা মনে করে এই পদটির কারণে দলে সবাই তাদের সম্মান করতে বাধ্য। কিন্তু আসল ঘটনা হলো, পদ নয়, আপনার পারফরম্যান্স এবং চারিত্রিক দৃঢ়তাই আপনাকে সম্মান এনে দেয়। আপনাকে সহ-খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেই সম্মানটা অর্জন করতে হবে। নইলে ক্রিকেট কেন, কোনো ক্ষেত্রেই কোনো নেতা সফল হতে পারবে না।

শুভ্র: ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো অধিনায়কদের তালিকায় যেমন আপনার নাম থাকে, তেমনি সবচেয়ে ক্ষমতাশালী অধিনায়ক হিসেবেও আপনার কথা বলেন অনেকে। শেষ দিকে দল নির্বাচনও নাকি আপনিই করতেন?

ইমরান: হ্যাঁ, দল নির্বাচনেও আমার বড় ভূমিকা ছিল। (হেসে) কারণ, আমি দল সম্পর্কে নির্বাচকদের চেয়ে বেশি জানতাম৷ কারণ, আমি তাঁদের চেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলেছি। তবে আমি কখনোই জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে চাইতাম না। বরং নির্বাচকদের জোরালোভাবে যুক্তি দিয়ে আমার নির্বাচনের কারণ বোঝাতে চেষ্টা করেছি। ব্যাপারটি এমন নয় যে, আমি একটি দল নির্বাচন করে নির্বাচকদের তা মেনে নিতে বলতাম। আমি যুক্তির জোরে তাঁদের বুঝিয়ে আমার পক্ষে এনেছি। কখনো এমনও হয়েছে যে, তাঁরাই হয়তো যুক্তি দিয়ে কারও ব্যাপারে আমার মত বদলিয়েছে।

শুভ্র: অধিনায়ক হিসেবে আপনার আদর্শ বলতে সব সময়ই ইয়ান চ্যাপেলের কথা বলে এসেছেন আপনি। তা চ্যাপেলের কোন দিকটি আপনাকে বেশি টেনেছে।

ইমরান: ওর আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং খেলোয়াড়দের জন্য লড়া। আমিও ইয়ান চ্যাপেলের মতো 'প্লেয়ার্স ক্যাপ্টেন' হতে চেয়েছি।

দু্ই শিষ্য ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে। দুজনেরই ইমরানের কাছে অনেক ঋণ, যা তাঁরা অকুণ্ঠ চিত্তে স্বীকারও করেন। ছবি: দ্য ডন

শুভ্র: ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস তাঁদের উত্থানে আপনার ভূমিকার কথা সব সময়ই জোরেশোরে বলেন। এই দুজন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটা জানতে চাই।

ইমরান: ওয়াকার ইউনিসকে আমি প্রথম দেখেছিলাম টেলিভিশনে। ওর বলের গতি আর আক্রমণাত্মক মানসিকতাই বেশি দৃষ্টি কেড়েছিল তখন। আর ওয়াসিম আকরাম সম্পর্কে আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমার দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও। ওকে দেখার পরই আমি বলেছিলাম, অ্যালান ডেভিডসনের (ছয়ের দশকের অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার) পর ও-ই ক্রিকেটের সেরা বাঁহাতি পেস বোলার। ওয়াসিম অনেক আগেই এই কথা সত্যি প্রমাণ করেছে। তবে ওর ব্যাটিং প্রতিভার প্রতি ও সুবিচার করতে পারেনি, নইলে অলরাউন্ডার হিসেবে আরও বেশি উচ্চারিত হতো ওর নাম।

শুভ্র: ১৯৯২-এর বিশ্বকাপ জয়ই কি আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় অর্জন?

ইমরান: হ্যাঁ, অবশ্যই। কারণ আমরা তো টুর্নামেন্ট থেকে আউটই হয়ে গিয়েছিলাম। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এটি বলতে গেলে কেউই ভাবেনি। কিন্তু আমি বিশ্বাস হারাইনি। খেলোয়াড়দের বলেছি, এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। তবে শুধু বিশ্বকাপ জয় নয়, বিশ্বকাপ জয়ের পর আমার দেশের মানুষের মধ্যে যে আনন্দ দেখেছি, সেটিই আসলে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে সেই সাফল্যকে। ১৯৮৭-তে ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোটাও স্মরণীয়। তবে সবকিছুর পর আমি বলব, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কীর্তি, লাহোরে আমার মায়ের নামে ক্যান্সার হাসপাতালটা করতে পারা।

(এখানেই শেষ, আহা, আরও কত প্রশ্ন করার ছিল.........)

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×