ইয়ান বোথামের একান্ত সাক্ষাৎকার
‘সবচেয়ে কমপ্লিট ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস, বোলার লিলি’
উৎপল শুভ্র
৮ এপ্রিল ২০২১
সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলােয়াড়দের ম্লান করে দিয়ে সবচেয়ে বড় তারকাও তাই সেই কমেন্টেটর! ইন্টারভিউ করতে চেয়ে দুদিন বিফল চেষ্টার পর বললাম, `আমার ইচ্ছা ছিল, ইয়ান বােথামকে ইন্টারভিউ করা প্রথম বাংলাদেশি সাংবাদিক হব আমি। বােথাম হেসে বললেন, কথা দিলাম, তা-ই হবে। হলোও, হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ইন্টারভিউটা নিয়েছিলাম কমেন্ট্রি বক্সের ছাদে। বিশ্বাস করবেন কি না, স্তুপীকৃত রডের ওপর বসে!
প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল ২০০১। প্রথম আলো।
উৎপল শুভ্র: ক্রিকেট-পরবর্তী জীবনের সঙ্গে আপনি কীভাবে মানিয়ে নিলেন—প্রথম প্রশ্ন হােক এটাই। সমস্যা হয়নি স্পটলাইট থেকে বেরিয়ে যেতে?
ইয়ান বােথাম: না, একটা সময় আসেই যখন আপনাকে বলতেই হয় এনাফ ইজ এনাফ, এখন সরে যাওয়ার সময়। শরীর বিদ্রোহ করছিল, করারই কথা, আমাকে মাঠে রাখতে ১০টি অপারেশনের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে সেটিকে। একদিন সকালে বিছানা থেকে উঠতেই এমন ক্লান্তি লাগছিল যে, তখনই সিদ্ধান্ত ফেলি যে 'আর নয়'। খেলা ছাড়ার পর এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলাম। এরপরই স্কাই টিভি তাদের কমেন্ট্রি টিমে যােগ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আসে। সে প্রস্তাব গ্রহণ করার পর থেকে নতুন দায়িত্বটা দারুণ উপভােগ করছি।
শুভ্র: ক্রিকেট মাঠে অনেক কীর্তিই তাে গড়েছেন। নিজে আলাদা করে রাখন কোনটিকে?
বােথাম: অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাফল্যগুলাে। ওদেরকে নিজেদের দেশে হারিয়েছি, ১৯৮৬ সালে হারিয়েছি ওদের দেশেও। সেটিই ছিল সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের আলটিমেট ট্যুর। আমি আমার ব্যক্তিগত সাফল্যের মতাে দলের সাফল্যও সমান উপভােগ করেছি। যেকোনাে জায়গায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানােটাকেই তাই এক নম্বরে রাখব।
শুভ্র: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এত সব সাফল্যের মধ্যেও ১৯৮১ সালের হেডিংলি টেস্ট কি আপনার মনে একটু আলাদা জায়গা নিয়ে আছে না?
বােথাম: তা তাে অবশ্যই। আমরা ফলােঅন করার পরও জিতেছি সেই টেস্ট। বব উইলিসের দুর্দান্ত বােলিং, ভালাে ফিল্ডিং ও ক্যাচিং, আমার সঙ্গে গ্রাহাম ডিলির ব্যাটিং। আমার সেই ইনিংস...সব মিলিয়ে এটি ছিল স্বপ্নের এক ম্যাচ।
শুভ্র: খেলােয়াড় হিসেবে এত কিছু পাওয়ার পরও কোনাে আক্ষেপ কি পােড়ায় আপনাকে? যেমন হতে পারে ক্যাপ্টেনসি রেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটিং-বােলিংয়ের মতাে সাফল্য নেই আপনার।
বােথাম: না না, কোনাে আক্ষেপ নেই। ২৪ বছর বয়সে যদি আপনাকে ক্যাপ্টেনসি অফার করা হয়, আপনি তাে অবশ্যই তা নেবেন। ক্রিকেটার হিসেবে এটাই তাে আপনার স্বপ্নের শীর্ষবিন্দু হয়ে থাকার কথা। আমি তাই মহানন্দেই ক্যাপ্টেনসি গ্রহণ করেছিলাম। দুর্ভাগ্য হলাে, অধিনায়ক হওয়ার পরই আমার টেস্ট ফর্মে একটা মন্দা হাওয়া এসে লাগে। অথচ ঠিক এর আগেই আমি খুব ভালাে ফর্মে ছিলাম, সে মৌসুমে সমারসেটের পক্ষে আমার অ্যাভারেজ ছিল এক শ'র কাছাকাছি। সব মিলিয়ে সেটি ছিল অদ্ভুত এক বছর। তার পরও দেখুন, যে ১২টি টেস্টে আমি ক্যাপ্টেনসি করেছি, তার ১০টিই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হােম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যেটি অনেকের মতেই সর্বকালের সেরা দল। সেই দলের বিপক্ষে ০-১ ও ০-২-এ হারাটাকে আমি তাে একটা অর্জনই বলব। নির্বাচকেরা যেভাবে আমাকে একেকটা টেস্টের জন্য অধিনায়ক করছিলেন, সে ব্যাপারেও আমার ক্ষোভ আছে। এটি আমাকে যেমন, তেমনি দলকেও খােলা মনে সামনের দিকে তাকাতে দেয়নি।
শুভ্র: আপনি তাে দ্বিতীয় সুযােগও আর পেলেন না!
বােথাম: না, এ নিয়ে আমি আর মাথাই ঘামাইনি। মাঠে আমার এত কিছু করার ছিল যে, অধিনায়কতৃটা আর যােগ করতে চাইনি। অনেক বল করতে হতাে আমাকে, ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতাম, স্লিপে ফিল্ডিং—আর কিছু ভাবার সময় ছিল কোথায়? তবে যে-ই অধিনায়ক হােক, সব সময়ই তাঁর দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। যেসব অধিনায়কের অধীনে খেলেছি, খুশি মনেই খেলেছি।
শুভ্র: আপনার সময়ে ক্রিকেট একসঙ্গে চার অলরাউন্ডারকে পেয়েছিল, যাঁরা প্রত্যেকেই সর্বকালের সেরাদের দলে থাকবেন। ইমরান খান, রিচার্ড হ্যাডলি, কপিল দেব ও ইয়ান বােথাম—এদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটা কী?
বােথাম: রিচার্ড হ্যাডলির মূল শক্তি ছিল অবশ্যই তাঁর বােলিং। ইমরান ক্যারিয়ারের শেষ দিকে নিজেকে ভালাে একজন ব্যাটসম্যানে পরিণত করেছিল আর ক্যাপস্ (কপিল দেব) ছিল খুবই বিধ্বংসী এক ব্যাটসম্যান। তবে তাঁকে বােলিংও করতে হয়েছে অনেক, কারণ সে-ই ছিল ভারতের একমাত্র স্ট্রাইক বােলার, এটি হয়তাে তার ব্যাটিং ফর্মেও প্রভাব ফেলেছে। আমাদের সময়টা ছিল দারুণ। একই সময়ে খেলাটা খুব উপভোগ করেছি আমরা। সব সময়ই আমাদের একজন অনুপ্রাণিত করেছে আরেকজনকে। কেউ দারুণ কিছু করলে আরেকজন চেয়েছি সেটিকে ছাড়িয়ে যেতে।
শুভ্র: কাজটা হয়তাে একটু কঠিন, তবে আপনাকে নিজের সম্পর্কেও বলতে হবে।
বােথাম: আমার মনে হয়, চারজনের মধ্যে আমি ছিলাম অনেক বেশি জেনুইন অলরাউন্ডার। ব্যাটসম্যান বা বােলার দুভাবেই আমি দলে আসতে পারতাম। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি গর্বিতই বলতে পারেন। আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি, বােলিংও করেছি প্রচুর। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি ৭-৮ নম্বরে ব্যাটিং করেছি। সেখান থেকে উঠে এসেছি ৬ নম্বরে, সেটিকেই বানিয়ে নিয়েছি নিজের জায়গা। আমি মনে করি, টেস্টে এটাই একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের জায়গা। কারণ এতে বােলিংয়ের পর যেমন যথেষ্ট বিশ্রাম মেলে, তেমনই টেল এন্ডারদের নিয়ে ইনিংসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযােগও থাকে।
শুভ্র: ভিভ রিচার্ডসকে তাে আপনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আপনার কি মনে হয় না, লােকে যখন শচীন টেন্ডুলকারকে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সেরা ব্যাটসম্যান বলে, তখন তারা রিচার্ডসের কথা ভুলে যায় ।
বােথাম: যেকোনাে কন্ডিশনে, যেকোনাে উইকেটে ভিভ রিচার্ডস আমার দেখা সবচেয়ে কমপ্লিট ব্যাটসম্যান। ও শুধু রান করত না, বােলিংও ধ্বংস করে দিত। আমার জীবনে আমি ভিভ রিচার্ডসের চেয়ে ভালাে কোনাে ব্যাটসম্যান দেখিনি। শচীন খুবই ভালাে খেলােয়াড় আর স্যার ডন তাে ছিলেন অন্য ব্যাপার। ভিন্ন ভিন্ন যুগের খেলােয়াড়দের তুলনা করাটা আসলে খুব কঠিন। কারণ একেক যুগে খেলাটা একেক রকম হয়ে যায়। কে জানে, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতেন! তিনি অবশ্যই তা পারতেন। কারণ স্যার ডন ছিলেন দারুণ এক খেলােয়াড়, ক্রিকেটের দেখা সেরা খেলােয়াড়। তবে আমার জীবদ্দশায় আমি যাঁদের সঙ্গে খেলেছি এবং যাঁদের দেখেছি, কোনাে সন্দেহ নেই ভিভ রিচার্ডস আমার দেখা সেরা এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
শুভ্র: আপনার দেখা সেরা বােলার?
বােথাম: আমার দেখা সেরা বােলার... ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কোয়াট্রেট প্রয়াত ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টস ও মাইকেল হােল্ডিং এবং এরপর প্যাট্রিক প্যাটারসন, ওয়েইন ড্যানিয়েল-এরা সবাই ছিলেন দুর্দান্ত বােলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এত সব ফাস্ট বােলারের মধ্যে আমি অ্যান্ডি রবার্টসকেই ওপরে রাখব। ওই যুগে তাঁকে দিয়েই আসলে শুরু হয়েছিল জেনুইন ফাস্ট বােলারদের ওই মিছিল। তবে আমার দেখা সবচেয়ে কমপ্লিট বােলার ডেনিস লিলি। যেকোনাে কন্ডিশনে, যেকোনাে উইকেটে লিলি ছিল দুর্দান্ত। যেকোনাে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারত ও। লিলি ছিল অন্য রকম এক প্রতিভা।
শুভ্র: আপনি নিজে পেসার ছিলেন বলেই কি সেরা বােলার বাছতে গিয়ে শুধু পেসারদের কথাই বললেন?
বােথাম: না না, শেন ওয়ার্নকেও সবচেয়ে ওপরের সারিতে রাখতেই হবে। সেরা ফর্মের শেন ওয়ার্ন সর্বকালের সেরা স্পিনার। আমি বিষেন সিং বেদির বিপক্ষে খেলেছি, খেলেছি ভেঙ্কটকে (রাঘবন), আরও অনেক ভালাে স্পিনারই দেখেছি। তবে যাঁদের কথা বললাম, তাঁদের মধ্যে শেন ওয়ার্ন ও ডেনিস লিলির ক্ষমতা ছিল একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার। আসলে এদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়াটা খুব কঠিন। সর্বকালের সেরা বােলার হিসেবে আমি শেন ওয়ার্নের কথা বলব না, যেমন বলব না অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার বা মাইকেল হােল্ডিংয়ের কথাও। আমার মতে, সর্বকালের সবচেয়ে কমপ্লিট বােলারের নাম ডেনিস লিলি।
শুভ্র: আপনি খেলা ছাড়ার পর প্রায় প্রতি বছরই তাে ইংল্যান্ডে কাউকে না কাউকে "নতুন বােথাম' নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বােথাম হওয়া তাে খুবই কঠিন, তবে এদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিল, যাকে দেখে মনে হয়েছিল অন্তত আপনার কাছাকাছি আসার ক্ষমতা আছে তাঁর?
বােথাম: এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য করাটা বােধ হয় ঠিক নয়। তবে আমি মনে করি, নতুন একজন খেলােয়াড়ের গায়ে ও-রকম একটা লেবেল লাগিয়ে দেওয়াটা একটু দুর্ভাগ্যজনকই। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই আলাদা, তাঁরা তাঁদের মতাে করে খেলাটায় নিজেদের ছাপ রেখে যাবে। আরেকটা জিনিসও মনে রাখতে হবে, আমরা যখন খেলেছি, তখন যে একই সময়ে অমন চারজন অলরাউন্ডার ছিল, এটিকে কিন্তু বলতে হবে ব্যতিক্রম। এর আগে এমন হয়নি, আমার মনে হয় এরপরও এমন চারজন অলরাউন্ডার একসঙ্গে আসেনি। হয়তাে এ কারণেই পাকিস্তানে ইমরান খানের পরের সব অলরাউন্ডারকে তাঁর সঙ্গে তুলনা করা হয়। ভারতে করা হয় কপিল দেবের সঙ্গে, নিউজিল্যান্ডে রিচার্ড হ্যাডলির সঙ্গে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, এই চার অলরাউন্ডার কী দুর্দান্ত ছিল, কত কিছু অর্জন করেছিল, এটি তারও একটা প্রমাণ।
শুভ্র: ঠিক আছে, বােথাম-ইমরান-কপিল-হ্যাডলি তাে আর সব সময় আসে না। তবে এই সময়ে যারা খেলছেন, তাঁদের মধ্যে সেরা অলরাউন্ডার মনে করেন কাকে?
বােথাম: উইকেটকিপার-অলরাউন্ডার হিসেবে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট দুর্দান্ত। জ্যাক ক্যালিস খুব ভালাে—ব্যাটিং-বােলিং দুটিই খুব কাছাকাছি। গত ১৮ মাসে ক্রেইগ হোয়াইটও খুব উন্নতি করেছে। তবে জ্যাক ক্যালিসকেই আমি মনে করি বর্তমানে সেরা। ও তিন নম্বরে ব্যাটিং করে, আবার নতুন বলে বােলিংও করে।
শুভ্র: আপনার সময়ের ক্রিকেটের সঙ্গে বর্তমান যুগের ক্রিকেটের কী পার্থক্য দেখেন?
বােথাম: প্রথম পার্থক্য তাে খেলা এখন অনেক বেড়ে গেছে। আরেকটি পার্থক্য যা চোখে পড়ে, খেলাটিতে আর আগের মতাে চরিত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খেলােয়াড়েরা এখন আর আগের মতো মেলামেশা করে না, এটি আমার খুব খারাপ লাগে। দিনের খেলাশেষে প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমে গিয়ে গল্প করা, একসঙ্গে বিয়ার খাওয়া-এসব তাে উঠেই গেছে। এখন খেলা শেষ হলেই কোচ খেলােয়াড়দের নিয়ে ওয়ার্মআপ, কুল ডাউন এসব করতে শুরু করে। আমি হয়তাে কোচের এসব কথা মানতামই না। আমি যে যুগে খেলেছি, সে জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। কারণ আমি বিশ্বজুড়ে অনেক বন্ধু পেয়েছি, ক্রিকেটের লােকজনের মতাে বাইরের লােকজনও আছে এতে। ইট ওয়াজ আ গ্রেট টাইম টু প্লে।
তরুণ-উদীয়মান, বয়সী-ক্লান্ত সব ক্রিকেটারের প্রতি আমার একটাই বাণী-এনজয়! খেলাটা উপভােগ করাে, এটিকে জীবনের অংশ করে নাও।
শুভ্র: বাংলাদেশের খেলা তাে এখানেই (জিম্বাবুয়েতে) প্রথম দেখলেন আপনি। কী মনে হলাে?
বােথাম: বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সবে তাে টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হলাে, এটি বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় তাে লাগবেই। তবে যা দেখলাম, বাংলাদেশ দলে অনেক ব্যাটিং প্রতিভা আছে । ওদের প্রয়ােজন নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা, আত্মবিশ্বাসী হওয়া। বােলিংয়ে আমি বলব মঞ্জুরুল সত্যিই খুব ভালাে বােলার। মাত্রই শুরু করা তরুণ হিসেবে শরীফও যথেষ্ট ভালাে। এদের পরিণত করে তুলতে যা প্রয়ােজন, তা হলাে প্রচুর টেস্ট খেলা। এটিই সবচেয়ে জরুরি।
শুভ্র: তরুণ উদীয়মান কোনাে ক্রিকেটারের প্রতি আপনার উপদেশ কী হবে?
বােথাম: শুধু তরুণ বা উদীয়মান নয়, তরুণ-উদীয়মান, বয়সী-ক্লান্ত সব ক্রিকেটারের প্রতি আমার একটাই কথা...এনজয়! খেলাটা উপভােগ করাে, এটিকে জীবনের অংশ করে নাও।
আরও পড়ুন:
বোথামের অ্যাশেজ, ফ্লিনটফের অ্যাশেজ