হোয়াটমোরের যে কথাগুলো এখনো সত্যি
উৎপল শুভ্র
১১ ডিসেম্বর ২০২১
ইন্টারভিউটা নেওয়া হয়েছিল কার্ডিফের ওই অবিস্মরণীয় জয়ের পর। ২০০৫ সালের সেই ইংল্যান্ড সফরে নটিংহামের হলিডে ইন হোটেলে নেওয়া ইন্টারভিউয়ের উপলক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় হলেও তা ছড়িয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা প্রসঙ্গে। মোহাম্মদ আশরাফুল ও হাবিবুল বাশার সম্পর্কে কথাগুলো এখনো যথেষ্টই আগ্রহ জাগায়। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমস্যা এবং ক্রিকেটারদের আইকিউ নিয়ে ডেভ হোয়াটমোরের মন্তব্য এই ষোল বছর পরও একই রকম প্রাসঙ্গিক।
প্রথম প্রকাশ: ২৬ জুন ২০০৫। প্রথম আলো।
উৎপল শুভ্র: সত্যি করে বলুন তো, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার মতো অঘটন ঘটানোর কথা আপনি কি সত্যি ভাবতে পেরেছিলেন?
ডেভ হোয়াটমোর: ম্যাচের আগের কথা বললে বলব, না, একদমই ভাবিনি। আমরা শুরুতেই উইকেট নিলেও শেষ ১০ ওভারে আমাদের কিছু অনভিজ্ঞ বোলিংয়ের সুযোগে ওরা যখন ২৪৯ করে ফেলল, তখনো আমার মনে হয়েছিল, আমরা বেশ ভালো করেছি, তবে আরও ভালো হতে পারত। ২০-২৫টা রান আমরা বেশি দিয়ে ফেলেছি।
আমাদের ব্যাটিং শুরু হওয়ার সময় কাজটা খুব কঠিন হবে জানতাম, কারণ অস্ট্রেলিয়া যেকোনো স্কোর ডিফেন্ড করার ক্ষমতা রাখে। আস্কিং রেট বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় চলে গিয়েছিল, মনে হচ্ছিল, এটা আর সম্ভব নয়। কিন্তু ধীরে ধীরে চাকাটা আমাদের দিকে ঘুরতে শুরু করল, যার মূল কারণ হলো, আমরা উইকেট হারাইনি। উইকেট হারাতে থাকলে আমাদের কোনো সুযোগ থাকত না। শেষ ১০ ওভার শুরুর সময় আমাদের হাতে ছিল ৭ উইকেট, তখনই প্রথম আমার মনে হয়, আমরা জিততে পারি।
শুভ্র: আপনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিকেই কি বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স বলবেন? জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষেও তো প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ খুব কমই ২৫০ করতে পেরেছে। অথচ সেদিন যেভাবে ২৫০ চেজ করল, তাতে বাংলাদেশকেই তো মনে হলো অস্ট্রেলিয়া!
হোয়াটমোর: অবশ্যই এটা খুব ভালো পারফরম্যান্স। (হেসে) ঠিকই বলেছেন, যেমন নিখুঁতভাবে বাংলাদেশ দল রান তাড়া করেছে, তাতে মনে হতেই পারত, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে যেন অন্য দলটার (অস্ট্রেলিয়ার) খেলোয়াড়েরা খেলছে! এটাই সবচেয়ে বড় জয় কি না... হ্যাঁ, অবশ্যই ওপরের দিকে রাখতে হবে এটিকে। ভারতকে হারানোটাও ছিল বিরাট ব্যাপার। তবে এ সফরের সামগ্রিক চিত্রটা বিবেচনায়, গত এক-দেড় মাস যেভাবে আমাদের দিকে সমালোচনার তীর ছুটে আসছিল, তাতে এ জয়টা দার“ণ সময়োচিত হয়েছে। খুব তাৎপর্যপূর্ণও এ জয়।
শুভ্র: এই জয়ের সঙ্গে মোহাম্মদ আশরাফুলের নামটি তো প্রায় সমার্থক। ওর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে আপনাকে অনেক সময় বিরক্ত দেখেছি, অনেক সময় আপনি ওকে আড়াল করে রেখেছেন। এটা হয়তো আপনার কৌশল। তবে ওর ব্যাপারে এত কথা জিজ্ঞেস করি, কারণ ও অসাধারণ এক প্রতিভা। আপনি কী বলেন?
হোয়াটমোর: আসলেই তা-ই। (একটু ভেবে) আমি জানি না, আরও আগেই ওর ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনা সম্ভব ছিল কি না। সত্যি আমি জানি না। ও দারুণ প্রতিভাবান, এটা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি যে, সে অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছে না। এতে আমার কতটা দায়, ওরই বা কতটা, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে, বেশ কিছুদিন ধরেই আমি এর উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমরা সবাই জানি, এই ছেলেটি অসম্ভব প্রতিভাবান, তার সে রকম পারফর্ম না করতে পারার দায়টা কোচের ওপর কতটা পড়ে, সে ব্যাপারে আমি ঠিক নিশ্চিত নই।
শুভ্র: সমস্যাটা অবশ্যই মনস্তাত্ত্বিক, তাই না?
হোয়াটমোর: অবশ্যই মনস্তাত্ত্বিক। কে জানে, ওর জীবনের অন্য দিকগুলোরও এতে ভূমিকা আছে কি না। আমি জানি না, ওর বাড়ির পরিবেশই কি ওকে একটা সুস্থির জীবন দিচ্ছে না, যে কারণে ওর ধারাবাহিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাটা হচ্ছে না। এটা মোটেই কোনো সমালোচনা নয়। আমি শুধু বোঝার চেষ্টা করছি, জন্মের পর ওর পরিবারে ও যেভাবে বেড়ে উঠেছে, তার মধ্যে কি এমন কিছু আছে, যা ওকে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করতে দিচ্ছে না ? এটা একটা জটিল ব্যাপার। তবে ও যে এক অসামান্য প্রতিভা, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
শুভ্র: আমাদের দলে আশরাফুল বা আফতাবের মতো যারা আছে, তাদের বয়স এত কম যে, ব্যক্তিগত জীবনে খুব কমই তাদের বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপনি যে মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর এত জোর দেন, ওরা কীভাবে তা নেবে? এটা তো অভ্যাসের ব্যাপার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার, সেই সিদ্ধান্তের দায়দায়িত্ব নেওয়ার অভ্যাসই তো ওদের নেই।
হোয়াটমোর: একেবারে সত্যি কথা। আমি নিজেও এটা নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করছি। চেষ্টা করছি খেলোয়াড়দের ক্রিকেট জীবনটাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার মতো দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে। শুধু ক্রিকেটার কেন, আমি ওদের এমন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি, যাতে ওরা নিজেরাই ঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে। কী খাওয়া যাবে, কী খাওয়া যাবে না, ট্রেনিংয়ে কী করতে হবে, কখন করতে হবে ইত্যাদি। সব সিদ্ধান্তই যে সঠিক হবে, তা নয়। তবে আমি চেষ্টা করছি, জীবনের সব ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়ে সেটিকে যেন ওরা ক্রিকেটে নিয়ে আসে। উপমহাদেশের সংস্কৃতি এটাকে খুব উৎসাহিত করে না, এটা যে সব সময় খারাপ, আমি তাও বলব না। তবে তরুণ বয়স থেকেই কেউ যদি নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল্যটা বুঝতে পারে, তাহলে ক্রিকেটেও তার এগিয়ে যাওয়াটা দ্রুততর হয়।
শুভ্র: গত ১৫ মাসে বাংলাদেশ ৭টি ওয়ানডে জিতেছে, সব কটিই হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ে নিজের ব্যাটিংয়ের দায়িত্বশীল দিকটাও দেখিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে হাবিবুল কি বেড়ে উঠছেন?
হোয়াটমোর: নেতা হিসেবে খুব ধীর-স্থিরভাবে হাবিবুলের বিকাশ হচ্ছে। অধিনায়ক হওয়ার পর ওর আচার-আচরণে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি, এটা একটা ভালো দিক। অধিনায়ককে বাকি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সম্মানটা পেতে হয়, ওর ব্যাটিংয়ের কারণে এই একটা জায়গায় ও এগিয়ে আছে। এই সিরিজে নিজের পরিচিত পজিশন ছেড়ে ও যে অন্য জায়গায় ব্যাট করছে, এটাও দলের খুব কাজে এসেছে। মিডল অর্ডারে ওর ব্যাটিং দলের জন্য দারুণ অবদান রাখছে। অধিনায়ক হিসেবেও ক্রমশই আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে ও। এটা ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলন বা ইন্টারভিউয়ে ওকে দেখলেই বোঝা যায়। টস করার জন্য মাঠের মাঝখানে হেঁটে যাওয়া থেকে বোঝা যায় আরও ভালো। ও যত খেলবে, ততই এ আত্মবিশ্বাসটা বাড়বে। আশা করি, অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওর নিজের পারফরম্যান্সও দিন দিন আরো ভালো হবে।
”অন্য দলগুলো যা বলে আমরাও তা-ই বলি, আমরা যা করার চেষ্টা করি, প্রতিপক্ষও তা-ই করে। যেমন প্রথম কথা হলো, ব্যাটিংয়ের সময় আমাদের নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকলে চলবে না। প্রথমে ব্যাট করে বড় একটা স্কোর গড়াই হোক বা রান তাড়া করাই হোক, উইকেট হারাতে থাকলে আমরা কিছুই করতে পারব না।”
শুভ্র: বাংলাদেশে তো আপনার দুই বছর হলো, এখন মূলত কোন জায়গাটা নিয়ে কাজ করছেন?
হোয়াটমোর: আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব দ্য গেম। খেলাটা বোঝার ক্ষমতাটা তৈরি করা। আমরা যে কথাগুলো বলি, সেগুলো মাঠে ঠিকমতো প্রয়োগ করা। অন্য দলগুলো যা বলে আমরাও তা-ই বলি, আমরা যা করার চেষ্টা করি, প্রতিপক্ষও তা-ই করে। যেমন প্রথম কথা হলো, ব্যাটিংয়ের সময় আমাদের নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকলে চলবে না। প্রথমে ব্যাট করে বড় একটা স্কোর গড়াই হোক বা রান তাড়া করাই হোক, উইকেট হারাতে থাকলে আমরা কিছুই করতে পারব না। প্রথমেই এটি বন্ধ করতে হবে। তা বন্ধ হলে তখন রান করার দিকে মন দিতে হবে। কখনো তা সহজ হবে, কখনো বা কঠিন, তবে উইকেট হারানোটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একটা জিনিস বুঝতে পারা এক কথা আর প্রয়োগ করা আরেক কথা। আগে আমাদের খেলাটা বুঝতে হবে, বুঝতে হবে যে, উইকেট হারাতে থাকলে আমরা কিছুই করতে পারব না। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও খেলাটা সম্যক পরিষ্কার বোধ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা পারলে বোলার হিসেবে ওদের উন্নতি হবে, উপকার হবে দলেরও। কখন স্লোয়ার বল করতে হবে, কখন ইয়র্কার, এগুলো জানতে হবে। বুঝতে হবে, নতুন ব্যাটসম্যান এলে তাকে ওপরে বল না করে উচিত লেংথ বল করা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কার্ডিফে আমরা এ ভুলটা করেছি। মাঠের বাইরে থেকে আমরা এগুলো সহজেই বুঝতে পারি, বাইরে থেকে হয়তো তা বোঝা সহজও। তবে খেলোয়াড়রা যাতে খেলাটা বুঝে সময়মতো ঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে, এ জায়গাটায়ই আমাদের আসল উন্নতিটা করতে হবে।
শুভ্র: টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্রিকেটিং আইকিউ কেমন?
হোয়াটমোর: ওদের একটা কিছু ধরতে একটু বেশি সময় লাগে। মাঝে মধ্যে এটা খুব হতাশাজনক। তবে এর কারণটা তো আমরা আগেই আলোচনা করেছি। আসল কারণ হলো, সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং নিজের কাজের দায়িত্ব নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি।
শুভ্র: তাড়াতাড়ি উন্নতি দরকার, এমন বড় সমস্যার জায়গা বলে মনে করেন কোনটিকে?
হোয়াটমোর: আমি এমন শক্তিশালী, প্রাণবন্ত চার দিনের প্রতিযোগিতা দেখতে চাই, যেখানে বিভাগীয় দলগুলো প্রতিটি ম্যাচকে টেস্ট ম্যাচের মতো করে ভাববে। এর অর্থ ব্যাপক। এর অর্থ হলো, ঠিকমতো প্রস্তুতি নেওয়া, টিম মিটিং করা, খেলা শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে মাঠে পৌঁছে ওয়ার্মআপ করা এবং এর অপরিহার্য পূর্বশর্ত হলো, খেলোয়াড়দের ভালো টাকা-পয়সা দেওয়া। বিভাগীয় দলগুলো যেন এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে ভালোভাবে ট্রাভেল করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমি দেখতে চাই, বিভাগীয় দলগুলোর মতো ক্লাবগুলোরও ভালো টার্ফ উইকেটে প্র্যাকটিস করার সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ঢাকা বা বাংলাদেশের অন্যান্য শহরে জায়গার যে সংকট, তাতে কাজটা যে সহজ নয়, তা আমি জানি। তবে আমি মনেপ্রাণে চাই, খেলোয়াড়রা নিজেদের শাণিত করার জন্য আরও ভালো প্র্যাকটিস সুবিধা পাক।
শুভ্র: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সত্যিকার এক শক্তি হয়ে উঠতে বাংলাদেশের কত বছর লাগবে বলে মনে করেন?
হোয়াটমোর: সময় লাগবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবে। আমরা যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ রকম আরও কিছু জয় আমাদের প্রয়োজন এবং তা অবশ্যই আসবে। তবে সব সময়ই তা হবে না, কারণ যে জিনিসগুলো আমরা বদলাতে চাইছি, যেমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা, এগুলো অনেক বছর ধরে রক্তের মধ্যে ঢুকে আছে। ধীরে ধীরে আমরা তা বদলাচ্ছি। এতে সময় লাগবে। তবে আগেও আমি বলেছি, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া কঠিন।
শুভ্র: একটু আগে আপনি সমালোচনার কথা বলছিলেন। সব সময়ই খবরে থাকতে চান বলে ইয়ান বোথাম বা শেন ওয়ার্নের কথাকে না হয় উড়িয়েই দিলেন। কিন্তু রিচি বেনোর মতো লোক যখন কিছু বলেন, তখন তো লোকে সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নেয়। বেনো যে তাঁর কলামে লিখলেন, বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে থাকা উচিত নয়, এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
হোয়াটমোর: এটা তো ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের ওই ট্যাবলয়েডটিতে ছাপা হয়েছে, তাই না? রিচি বেনো নিজে লিখেছেন কি না, এমনকি তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। আমি জানি না, কজন লোক এ পত্রিকাটা পড়ে। বাজারে এ পত্রিকার দুর্নামই শুনি। রিচি বেনোর মতো লোক এ ধরনের ট্যাবলয়েডে লিখছেন, এটাই আমাকে বিস্মিত করেছে। বেনোর নামটা লোকজনকে প্রভাবিত করে কি না... হয়তো করে। তবে আমি মনে করি, এটা যদি ভালো কোনো পত্রিকায় ছাপা হতো, তাহলে হয়তো আরো গুরুত্ব বহন করত। রিচি বেনোর মতো পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক যখন এমন বলেন, তখন সেটিকে দুঃখজনকই বলতে হয়।
শুভ্র: কিন্তু রিচি বেনো নিজেই লিখুন বা তাঁর নামে ছাপা হোক, এতে যা বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
হোয়াটমোর: একেবারেই ফালতু।