মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন
তামিমকে বোঝায় মানুষের ভুল আছে
তামিম ইকবালকে দেখছেন আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে। বলতে গেলে তামিমের তামিম হয়ে ওঠা তাঁর চোখের সামনেই। তামিমের ব্যাটিং, মানসিকতা, অধিনায়কত্ব নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে চাইলে তাঁর চাইতে যোগ্য আর কে আছেন! তামিমের সঙ্গে মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের সম্পর্কের রসায়নটাও জানা যাবে এই লেখা থেকে।
মোস্তফা মামুন
দেড় মাস, তিন শহর আর দুই সিরিজ ঘুরে আকরামের সেই সাক্ষাৎকার
ওয়াসিম আকরামকে ইন্টারভিউ করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল চেন্নাইয়ে। দিল্লি-কলকাতা ঘুরে শেষ পর্যন্ত সেই ইন্টারভিউ হলো ঢাকায়। সেটিও ঢাকায় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সময় ড্রেসিংরুমের সামনে বসে। আগের টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, তা নিয়ে কথা বলার সময় কে জানত, পাঁচ ঘণ্টা পর আরেকটি হ্যাটট্রিক করে বসবেন আকরাম!
শাহরিয়ার ফিরোজ
তাঁর অবদান বোঝায়, এমন শব্দ কোথায়!
বাংলাদেশের ক্রিকেটের যখন হাঁটি হাঁটি পা পা, তখনই বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভারও অনেকটাই তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। শুধু প্রশাসনিক নেতৃত্ব বা পরিকল্পনা দিয়ে নয়, নিজের গাঁটের টাকা খরচ করেও। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট হয়ে উঠেছিল ক্রিকেটার তৈরির সূতিকাগার। সদ্য প্রয়াত কে জেড ইসলামকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাঁকে বোঝাতে উপযুক্ত শব্দের সংকটে পড়ে গেছেন লেখক।
গৌতম ভট্টাচার্য
আবেগের চৌবাচ্চার মধ্যে কিছু সবুজ ঘাস
তাঁর বাবা-মায়ের দেশে প্রথম আসার সেই অনুভূতি তিনি এখনো স্মরণ করতে পারেন। ১৯৮৮ এশিয়া কাপ দিয়ে সেই যে শুরু, ক্রিকেট কভার করতে এরপর আরও অনেকবারই বাংলাদেশে এসেছেন গৌতম ভট্টাচার্য। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনার সঙ্গে বাড়তি হিসেবে নানা বিষয়ে ঢাকা আর কলকাতাকে নামিয়ে দিয়েছেন মজার এক প্রতিযোগিতায়।
অম্লান মোসতাকিম হোসেন
ফার্গিকে মনে পড়ে
২০১৩ সালের এই দিনেই শেষবারের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। অবসান হয়েছিল অবিস্মরণীয় এক ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ারের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সমার্থক হয়ে যাওয়া ফার্গুসনের সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন যে ক্রীড়া সাংবাদিক, তিনি আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্তঃপ্রাণ সমর্থকও বটে। লেখাটাতে তাই দুটি সত্তা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তা কিছুটা গেলেও শেষ পর্যন্ত জয়ী মনে হয় পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকই।
সাইফুল বারী টিটু
রাকিব কেন ওই ব্যাক পাসটা দিতে গেল, বুঝতেই পারছি না
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল যখন হাতছানি দিয়ে ডাকছে, তখনই সর্বনাশ! গোলকিপার লাল কার্ড দেখায় বাংলাদেশ ১০ জনের দল, ৮৮ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টিতে নেপালের সমতা ফেরানো। যে ম্যাচ দেখার পর থেকে আফসোসে পুড়তে থাকা কোচ সাইফুল বারী টিটু খেলায় ভাগ্যের গুরুত্ব আবার নতুন করে উপলব্ধি করছেন। সঙ্গে খুঁজে বেড়াচ্ছেন একটা প্রশ্নের উত্তরও...রাকিব অমন একটা ব্যাক পাস কেন দিতে গেলেন?
সাইফুল বারী টিটু
একটা কারণে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ এগিয়ে
সাফে ছয় দিনের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মালদ্বীপের বিপক্ষে পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে এই টানা খেলার ধকলকেই দায়ী করছেন ফুটবল কোচ সাইফুল বারী টিটু। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে আবার পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ দিনের বিরতি, বাংলাদেশকে টিটু এগিয়ে রাখছেন সে কারণেই।
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত
আমার নাদির ভাই...
নাদির শাহ এমনই বর্ণময় এক চরিত্র ছিলেন যে, সবারই তাঁকে নিয়ে কোনো না কোনো গল্প আছে। নাদির শাহর মতোই আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের একটু বেশিই আছে। খেলোয়াড়ি জীবনে পরিচয় হয়েছিল, এরপর এক সঙ্গে আম্পায়ারিং করেছেন অনেক ম্যাচে। আম্পায়ারিং জীবনেও নাদির শাহর খেয়ালি চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যাবে মন ছুঁয়ে যাওয়া এই স্মৃতিচারণায়।
কাশীনাথ ভট্টাচার্য
এলোমেলো মেসি-কথন
তিনি মাঠে এলেন, ধারাভাষ্যকার হয়ে গেলেন মেসি-সমর্থক। তাঁর কণ্ঠে বেজে উঠল বন্দনাগান, ছ’বারের বর্ষসেরার জন্য। তিনি বল ধরছেন, পাস দিচ্ছেন, কাটাচ্ছেন, কাটাতে চেয়ে পারছেন না, বল পায়ে লেগে থাকছে, কখনো বেরিয়েও যাচ্ছে, বিপক্ষ ডিফেন্ডার পায়ের সঙ্গে হাতও চালাচ্ছেন যা কানে লেগে যাওয়ায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ নিজের কানের লতিতেই হাত বোলাচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক – ক্যামেরাও ছাড়তে পারল না তাঁকে।