ইতিহাস কী কয়: ইতালি না ইংল্যান্ড?
উৎপলশুভ্রডটকম
১২ জুলাই ২০২১
ইউরোর ফাইনালে মাঠে নামছে ইতালি-ইংল্যান্ড। ফাইনালের আগে পরিসংখ্যানের আয়নায় দুই দলের খুঁটিনাটি।
মাসজুড়ে ইউরোর ডামাডোলে কোপা আমেরিকা হয়ে ছিল সৎ ছেলেই। তবে শেষে গিয়ে পাদপ্রদীপের আলোর সবটুকু কেড়ে নিল কোপা, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনালের চাপে ভুলতেই বসার যোগাড়, ঘণ্টাখানেক বাদেই ইতালি-ইংল্যান্ড ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামছে ইউরোর।
ওয়েম্বলির ষাট হাজার দর্শকের সামনে ধুন্ধুমার এক লড়াইয়ের প্রত্যাশাই থাকবে, যদিও ঘরের মাঠ কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে থ্রি লায়নদের। ইতালি অবশ্য অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে পরিসংখ্যান আর ইতিহাসে, অনেক রসদই তো জমা আছে সেখানে।
★ দশমবারের মতো কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল ইতালি, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই উঠেছে তাদের চেয়ে বেশি।
★ এখন পর্যন্ত একবারই ইউরো জিতেছে ইতালি, ১৯৬৮ সালে। এরপর ২০০০ আর ২০১২-তে ফাইনালে উঠেও থাকতে হয়েছিল পরাজিত দলেই।
★ ২০০০ ইউরোতে ইতালি হেরেছিল ফ্রান্সের কাছে, ২০১২-তে হন্তারক স্পেন। আজও হেরে গেলে ইতালি নাম লেখাবে জার্মানি আর সোভিয়েত ইউনিয়নের পাশে, ইউরোতে সর্বোচ্চ তিনবার রানার্সআপ হয়েছে এই দু'দলই।
★ চেকোস্লোভাকিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্রকে একই দেশ বিবেচনা করলে, ১৩তম দেশ হিসেবে ইউরোর ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপেও সর্বশেষ ফাইনালে উঠেছিল ৫৫ বছর আগে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বড় টুর্নামেন্টে দুটো ফাইনালের মাঝে সবচেয়ে লম্বা ব্যবধান এটাই।
★ একাদশবারের মতো ঘরের মাঠে বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছে কোনো ইউরোপীয় দেশ। আগের ১০ বারে ৭ বারই জিতেছিল স্বাগতিকরা, তবে সর্বশেষ দুই আসরে (২০০৪ ইউরোতে পর্তুগাল, ২০১৬-তে ফ্রান্স) জয় পেয়েছিল আতিথ্য নেওয়া দল (চ্যাম্পিয়ন যথাক্রমে গ্রিস ও পর্তুগাল)।
★ বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের রেকর্ড নেই ইতালির (জয় ৩, ড্র ১)। ১৯৮০ ইউরোতে জয়ের পাশাপাশি জয় পেয়েছিল ১৯৯০ আর ২০১৪ বিশ্বকাপেও। এমনকি ২০১২ ইউরোতে ড্র করেও টাইব্রেকারে জিতে নিয়েছিল ম্যাচ।
★ নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে অপরাজিত ইতালি। সর্বশেষ ৩৩ ম্যাচে জিতেছে ২৭টি, ড্র করেছে ৬ ম্যাচে। এই সময়ে প্রতিপক্ষের জালে ৮৬ গোল দিয়ে হজম করেছে মাত্র ১০ গোল।
★ ইতালির বিপক্ষে সবশেষ ১৪ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড (ড্র ৫, হার ৭)। সেই দুটো জয়ও এসেছে প্রীতি ম্যাচে।
★ ওয়েম্বলিতে নিজেদের সর্বশেষ ১৭ ম্যাচের ১৫টিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি দুই ম্যাচে ড্র আর হার একটি করে।
★ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১২ ম্যাচেই অপরাজিত ইংল্যান্ড (জয় ১১, ড্র ১), এই ১২ ম্যাচের ১১টিতেই অক্ষত রেখেছে জাল। বাকি দুই ম্যাচে গোল খেয়েছে একটি করে।
★ ফাইনালে ওঠার পথে ইংল্যান্ড হজম করেছে মাত্র ১ গোল, ডেনমার্ক ম্যাচে ড্যামসগার্ডের ফ্রি-কিকে। ইউরোর ইতিহাসে মাত্র চারটি দলই পুরো ইউরোতে এক গোল হজম করে জিততে পেরেছে ট্রফি (১৯৬০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৬৮-তে ইতালি, ১৯৭২-এ জার্মানি, ২০১২-তে স্পেন)।
★ ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়টা বিশ্বকাপ আর ইউরো মিলিয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডের অষ্টম৷ ইংল্যান্ডের ম্যানেজার হিসেবে এই দুই টুর্নামেন্টে আট জয় আছে আলফ রামসিরও। আজই কি সাউথগেটের সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিন?