বার্সার সংকট মেসির চেয়েও গভীর
বার্সা সমর্থকরা আরও খারাপ কিছুর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিন
ডারমট করিগান
১৩ আগস্ট ২০২১
লিওনেল মেসিকে বিসর্জন দিয়েই যে বার্সেলোনার সংকটের সমাধান হয়েছে, মোটেই তা নয়। বরং আগামী দিনগুলোতে আরও খারাপ কিছুই হয়তো অপেক্ষা করছে বার্সা সমর্থকদের জন্য। দলবদল আর টাকাপয়সার হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার বৈপরীত্যও উঠে এসেছে `দ্য অ্যাথলেটিক`-এর এই লেখায়।
রোববার সকালের সেই সংবাদ সম্মেলনে শুধু কি লিওনেল মেসি একাই কেঁদেছিলেন? চোখ মুছতে মুছতে যখন মেসি সম্মেলন কক্ষে ঢুকলেন তখন সহধর্মিণী, ক্লাব-সতীর্থ, সংবাদকর্মী বা সাধারণ ভক্ত...কার চোখ ভেজেনি? ক্লাবের আর্থিক দুরাবস্থার কথা সবাই কম-বেশি জানতেন, তারপরও কেউই এমনটা আশঙ্কা করেননি যে, শেষ পর্যন্ত মেসিকে আর রাখা যাবে না। বিশেষ করে মেসি নিজেই যখন নিজের বেতন অর্ধেক কমিয়েও থেকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মেসি বাধ্য হয়েছেন প্যারিসের পথ ধরতে। আর এদিকে বার্সা ড্রেসিংরুম যেন রাতে সর্বস্ব লুট হওয়া ঘরের দিকে তাকিয়ে সকালে জেগে ওঠা মনিবের অসহায় আহাজারি।
দলের এক সদস্যের কাছের একজন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এভাবে, 'সবাই খুব মর্মাহত। যেভাবে ঘটনাটা ঘটল, যে সময়ে ঘটল-- সেটা মেনে নেবার মতো নয়। কেউ ভাবেনি মেসি থাকবে না। সবাই জানত, মেসি নিজে যেহেতু ইচ্ছুক, তার জন্য কোনো একটা পথ অবশ্যই বের হয়ে যাবে।'
আগামী রোববার লিগ শুরু করতে যাচ্ছে দলটি, অথচ দলের অনেক কিছু এখনো অনিশ্চিত। খেলোয়াড়দের অনেকের সাথেই ম্যানেজমেন্টের আলাপ চলছে, যেখানে ক্লাব চায় খেলোয়াড়রা বেতনের একটা বড় অংশ ছাড় দিক। কিছু কিছু খেলোয়াড়কে তো এমনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’। এরকম অবস্থায় মাঠের খেলার আদর্শ প্রস্তুতি কার পক্ষে নেয়া সম্ভব?
দলের কাছের আরেকজন জানাচ্ছেন, 'অনেকেই নানা কারণে ক্ষুব্ধ, প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু ইস্যু রয়েছে। কারওটা হয়তো আসলেই অসন্তুষ্ট হবার মতো, কারওটা ততটা নয়। সত্যিটা হলো বার্সেলোনা এখন সুতো ছেড়া একটা মালা।'
কেউ যদি ভেবে থাকেন, মেসি-বিসর্জনই ক্লাবের সব সমস্যার সমাধান, তাহলে ভুল ভাবছেন। আপনি বার্সা সমর্থক হলে বরং সামনের দিনগুলোতে আরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিন।
কাতালান সমর্থকদের ক্ষোভের সরাসরি প্রকাশ ঘটে রোববার রাতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে হুয়ান গাম্পার ট্রফি চলাকালে। ক্লাবের নতুন অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস ভাষণের সময় বার বার থেমে যেতে বাধ্য হন অসহিষ্ণু সমর্থকদের ‘মেসি-মেসি’ চিৎকারে। খেলা চলাকালীন তারা একাধিকবার দুয়ো দিয়েছে উমতিতি, পিয়ানিচ আর ব্র্যাথওয়েটদের।
মেসির সাথে চুক্তি না করতে পারার দায়টা কাতালান মিডিয়ার একটা অংশ দলের অন্য খেলোয়াড়দের ওপর চাপিয়েছিল। এমনভাবে প্রচারণাটা করা হয়, যাতে মনে হয় খেলোয়াড়েরা নিজেদের বিশাল অঙ্কের বেতন কমাতে রাজি না হওয়ায় ক্লাবকে বাঁচাতে মেসি দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। উত্তেজিত জনতা আঁতোয়ান গ্রিজমানকে রাস্তায় পেয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে।
ড্রেসিংরুমের সেই সূত্র জানাচ্ছে, 'মেসির বিদায়ের জন্য অন্য খেলোয়াড়দের উচ্চ বেতনের দিকে আঙুল তোলা ভণ্ডামি। তারা চুক্তির বাইরে কিছু নিচ্ছেন না। চুক্তি অসম হলে সে দায়টা ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের।'
ব্যাপারটা শুধু উচ্চ বেতনভোগী গ্রিজমান বা উমতিতির মধ্যে সীমিত থাকলেও হতো; পিকে, স্টেগান, ডি ইয়াং, লংলের মতো সিনিয়র কিছু খেলোয়াড়..যারা বার্তেমেউ থাকার সময়ই নিজেদের বেতন কর্তন করেছিলেন, তাঁদেরও আরও ছাড় দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করা হচ্ছে।
ওই সূত্রটাই যেমন বলছে, 'পিকে, বুসি বা আলবারা ক্লাবের প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে অবশ্যই রাজি। কিন্তু ত্যাগেরও তো একটা সীমা আছে। তাদের কাছ থেকে এত বেশি চাওয়া হচ্ছে, যেটা আসলেই খুব কঠিন।'
এটা সত্যি যে, বার্সেলোনার আর্থিক দুরবস্থার একটা বড় কারণ ছিল, মেসির আকাশচুম্বী বেতন-বোনাস। কিন্তু সেটাও তো বার্তোমেউর সম্মতিতেই হয়েছিল। নিজেদের একাডেমি থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তামেউ একটু বেশিই দুর্বল ছিলেন, তাদের বেতন-বোনাসে নির্ধারণেও ছিলেন উদার। অন্যদিকে ডেম্বেলে, গ্রিয়েজমান, কুতিনহোকে তিনি ক্লাবে এনেছেন অতি উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে। মেসির বেতনের সাথে সামঞ্জস্য রাখতেই ওদেরকে এত বেশি বেতন দিতে হয়েছে।
ফলে মাঠের পারফরম্যান্স যাই থাক, বার্সেলোনা হয়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে খরুচে ফুটবল ক্লাব। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা কোভিড-১৯ এর আগমন। সব মিলে ক্লাবের দেনা দাঁড়াল প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ইউরো। স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের পেছনে যথেচ্ছ খরচ করতে পারে না। বিশেষ করে দেনায় থাকা ক্লাবগুলোকে বাধ্য করা হয় পারিশ্রমিক বাবদ ব্যয় ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে। সে কারণেই দুই মৌসুম আগে বার্সেলোনা বছরে ৬৭১ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত ব্যয় করার সুযোগ পেলেও ক্রমাগত লোকসানিতে এই মৌসুমে এসে বার্সার খরচের সীমা দাঁড়ায় ২০০ মিলিয়ন ইউরোরও কম। অর্থাৎ নতুন খেলোয়াড় কেনা, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় ও কোচদের পারিশ্রমিক সবই এই অঙ্কের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
লাপোর্তার মন্দ ভাগ্য, ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে এসে মেসির সাথে আগের চুক্তি শেষ হয়ে গেল। সবাই জানতেন, আগের মতো আকাশচুম্বী অঙ্কে মেসির সাথে নতুন করে চুক্তি করা সম্ভব নয়। বাস্তবতা বুঝেই মেসি আগের অর্ধেক বেতনে খেলতে রাজি হন। তবে মেসির এই সদিচ্ছাকে বার্সা বোর্ড কিছুটা অপব্যবহার করেছে। মেসির ৫০% ছাড়ের ঘোষণাটিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এমনভাবে প্রচার করে, যাতে অন্য খেলোয়াড়েরাও মানসিকভাবে চাপে পড়ে যান।
সেই ভাষ্যকারের মতে, 'হয়তো সবাই মিলে ৫০% ছাড় দিলে আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু সবার বাস্তবতা তো মেসির মতো নয়। তাছাড়া চুক্তির বাইরে কিছু করতে কেউ বাধ্যও নয়।'
এত সব ঝামেলার সাথে যোগ করে নিন নতুন আনা চারজন খেলোয়াড় ঘিরে অনিশ্চয়তা। মেম্ফিস ডিপাই, সার্জিও আগুয়েরা, এরিক গার্সিয়া এবং এমারসন রয়্যালের সাথে ক্লাবের চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আগে থেকে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের বেতন নির্ধারিত সীমার মধ্যে আনতে না পারলে এই চার খেলোয়াড়কে বার্সা মাঠে নামাতে পারবে না, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী বেতন ঠিকই দিয়ে যেতে হবে!
স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাবের আয়ের সর্বোচ্চ ৭০% কোচ-খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে ব্যয় করা যায়। লাপোর্তা জানিয়েছেন, মেসির সাথে ৫০% ছাড়ে চুক্তি করার পর ক্লাবের মোট ব্যয় দাঁড়াত আয়ের ১১০%। এখন মেসিকে ছেড়ে দেয়ায় এখন সেটা নেমে হয়েছে ৯০%। সুতরাং আয় না বাড়ালে, বা চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়েরা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেতন না কমালে নিয়মানুযায়ী নতুন চারজনকে লা লিগায় খেলানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে না। আবার ঘরোয়া লিগে রেজিস্টার্ড না হলে সেই খেলোয়াড়কে চ্যাম্পিয়নস লিগেও খেলানো যায় না।
এখন কথা হলো, নতুন চারজন আসায় পুরোনোরা কেউ দলে জায়গা হারানোর আশঙ্কা করছেন কি না। ডিপাইয়ের ব্যাপারে কোচ রোনাল্ড কোম্যান অনেক দিন থেকেই আগ্রহী। গাম্পার ট্রফিতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ডিপাই খেলেছেনও দূর্দান্ত। বোঝা যাচ্ছে, মেসির শূন্যতা পূরণে কোচের মূল আস্থা মেম্ফিস ডিপাই। সূত্র জানাচ্ছে, দলের বাকিরাও ডিপাইকে সমীহের চোখে দেখছেন।
তবে সার্জিও আগুয়েরোর অবস্থাটা ভিন্ন। বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়ার আগেই তিনি ইনজুরিতে পড়েছেন এবং অন্তত আড়াই মাস তাঁকে খেলার বাইরে থাকতে হবে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাঁর চুক্তিটা বাতিলও হয়ে যেতে পারে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, 'এই মুহূর্তে আগুয়েরোর চুক্তিটা বেশ নড়বড়ে। তাঁকে এখানে আনার বড় একটা কারণ ছিল, বন্ধু মেসিকে সঙ্গ দেয়া। কিন্তু মেসিই যেহেতু নেই, সেহেতু তাঁর ব্যাপারে ক্লাব ভিন্ন কিছু ভাবতে পারে। সেই সাথে আড়াই মাস মাঠে নামার সুযোগ সে পাচ্ছে না। সব মিলে তাঁর জন্যও পরিস্থিতিটা জটিল।'
আয় বাড়াতে বার্সেলোনা এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে তরুণ জুনিয়র ফিরপো, তোদিবো, ফুয়েন্তে, ত্রিনকাও আর কার্লোস অ্যালেনাকে। কিন্তু তা থেকে যে আয় হয়েছে সেটা দরকারের তুলনায় নগণ্য। বড় ধরনের সাশ্রয় হতে পারে মিরালেম পিয়ানিচকে ছেড়ে দিতে পারলে। পিয়ানিচ জানেন, তিনি কোচের পরিকল্পনায় নেই। তাছাড়া গোলকিপার নেতোও জানেন, টের স্টেগান ইনজুরি থেকে ফিরলে মৌসুম জুড়ে তাঁকে বেঞ্চেই কাটাতে হবে। ডেনমার্কের মার্টিন ব্র্যাথওয়েটকে বিক্রির চেষ্টা চলছে, যদিও এই দলে এই মুহূর্তে তিনিই একমাত্র সেন্টার ফরোয়ার্ড। সমস্যা হলো, এদের বেতন এত বেশি যে, সেই পরিমাণ বা এর কাছাকাছি বেতন দিয়ে এদের দলে নেওয়ার আগ্রহী ক্লাব কম। বার্সেলোনার যেসব খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রান্সফার মার্কেটে আগ্রহ আছে, তাঁদের মধ্যে একজন ইলাইশ মরিবা। ১৮ বছর বয়সী এই লা মাসিয়া গ্র্যাজুয়েটের জন্য মোটামুটি ২০ মিলিয়ন ইউরো পাওয়া যেতে পারে। ক্লাবের চাহিদার তুলনায় সেটাও অপ্রতুল।
আর্থিক ব্যবস্থাপনার এই জায়গাটিতেই বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ যেন পরস্পর উল্টোরথের যাত্রী। দলের অধিনায়ক সার্জিও রামোসের চুক্তি গত মৌসুমে শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই তাঁকে ক্লাব থেকে ‘ধন্যবাদ, আপনার সার্ভিসের আর প্রয়োজন নেই’ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কথাটা ভদ্রভাবে বলা হলেও রামোসের জন্য ছিল হৃদয়বিদারক। রামোস জানিয়েছেন, তিনি যেকোনো মূল্যে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। রক্ষণের আরেক ভরসা রাফায়েল ভারানকেও রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দিয়েছে তাঁদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, যদিও ট্রান্সফার ফি’র অঙ্কটা রিয়ালের চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতির সাথে ‘চেক এন্ড ব্যালেন্স’ করার জন্য এর চেয়ে ভালো বিকল্প রিয়ালের ছিল না।
এই ‘চেক এন্ড ব্যালেন্স’ গেমটাই হয়তো বার্সা ম্যানেজেমেন্ট এতদিন বুঝতে পারেনি। মেসিকে সাইন না করাতে পারার অসহায়ত্ব যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাদের কপালে আরও অনেক দুঃখ অপেক্ষা করছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, খেলোয়াড় ক্রয়-বিক্রয়ের দর কষাকষিতেও তাদের অবস্থান নড়বড়ে।
'ক্লাব উন্মুক্তভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, "একে, ওকে আর তাকে আমরা বিক্রি করতে চাই। এই খেলোয়াড়দের প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই।" আপনি যখন এভাবে চাউর করবেন তখন কেউ কিনতে আগ্রহী হলেও সেভাবে দাম হাঁকাবে না। ফলে এভাবে খেলোয়াড় বিক্রির চেষ্টাতেও খুব একটা লাভ হবে না।'
গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট। হাতে আছে মাত্র তিন সপ্তাহ। বিশাল অঙ্কের যোগ-বিয়োগের হিসাব মেলানো তো আছেই, সেই সাথে জানা যাচ্ছে, কোচ আরও দুজন নতুন খেলোয়াড় দলে চাইছেন, যাদের একজন মিডফিল্ডার, আরেকজন লেফট-ব্যাক।
মেসিকে নিয়ে যা ঘটে গেল, তাতেই বার্সা-বোর্ডের অদূরদর্শিতা প্রমাণিত। তারা সবাইকে আশা দিয়ে রেখেছিলেন, কোনো এক অদৃশ্য জাদুবলে সব সমাধান করে ফেলবে। অথচ মেসির বিদায়ের সময় এমন ভান করলেন যেন ‘লা লিগার আর্থিক ও কাঠামোগত বিধিনিষেধ’ অকস্মাৎ এক রাতে মেসিকে ছিনতাই করে নিয়ে গেল।
মেসির বিদায় যদি এক রাতের দুঃস্বপ্ন হয়, তাহলে ধরে নিন রাতটি এখনো অনেক দীর্ঘ এবং একের পর এক দুঃস্বপ্ন হাজির হতে যাচ্ছে। এবার তো দলের সেরা সম্পদ মেসিকে খোয়ালো, ঘর বাঁচাতে হয়তো বাকি থাকা রত্নগুলোও এরপর নিলামে তুলতে হবে। পেদ্রি, টের স্টেগান, আরাউহো, ডি ইয়ং-- একে একে এদেরও বিক্রি করতে বাধ্য হতে পারে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। পেদ্রির জন্য ৫০ বা ৬০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি থাকবে অনেক ক্লাবই। লেভান্তে, জারাগোজা বা সেভিয়ার মতো ক্লাবগুলোকে টিকে থাকার সংগ্রামে প্রায়ই দলের সেরা খেলোয়াড়টিকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। এফসি বার্সেলোনাও কি এখন একই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?
'দ্য অ্যাথলেটিক' থেকে ভাষান্তর: আজহারুল ইসলাম