বার্সেলোনায় যা করছেন জাভি, যা করতে চাইছেন
দ্য অ্যাথলেটিক
৮ ডিসেম্বর ২০২১
যে ক্লাব জাভিকে জাভি বানিয়েছে, সেই বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েই দলে নিজের কোচিং দর্শনের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন জাভি হার্নান্দেজ। কড়া হেডমাস্টারের মতোই নিয়মকানুন মানতে বাধ্য করেছেন খেলোয়াড়দের। নিজের পছন্দের কোচিং প্যানেল সাজাতে বিদায় করে দিয়েছেন ক্লাব সভাপতি লাপোর্তার পছন্দের মানুষজনকে। লাপোর্তার সঙ্গে অলিখিত দ্বন্দ্ব আছে আরও অনেক বিষয়ে। দ্য অ্যাথলেটিক তুলে এনেছে বার্সার অন্দরমহলের খোঁজ।
কোচ হিসেবে অনেকটা কড়া হেডমাস্টারের মতো শুরু করেছেন জাভি হার্নান্দেজ। একসাথে থাকতে হবে, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে, অনুশীলনে অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে..এগুলোকে নিয়ম বানিয়ে বার্সার নতুন হেড কোচ কঠোরভাবে তা অনুসরণ করতে বাধ্য করছেন দলের সবাইকে। ধারাবাহিকভাবে খারাপ করতে থাকা দলটার একটা বড়সড় পরিবর্তন অতি আবশ্যিক, আর এই কাজটাই জাভি করতে চাইছেন ক্লাবের একেবারে অবকাঠামগত বিষয়গুলো নতুন করে সাজানোর মাধ্যমে।
তাৎক্ষণিক কিছু প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যেই মাঠে দেখা যাচ্ছে। জাভি দায়িত্ব নেওয়ার পর চারটি ম্যাচেই বার্সাকে আগের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক এবং ইতিবাচক মনে হচ্ছে। খেলোয়াড়েরা আগের চেয়ে বেশি প্রেসিং করছে, অনেক বেশি ঝুঁকিও নিচ্ছে। বার্তামেউ আমলের শেষের দিক থেকে কোম্যানের ছাটাই—সব মিলে যে নেতিবাচক আর হতাশাময় একটা সময় যাচ্ছিল, সেটাও যেন কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে। সর্বশেষ ম্যাচে রিয়াল বেতিসের কাছে হেরে যাওয়ার পরও যা সত্যিই থাকছে।
জাভির ঘনিষ্ঠ একটা সূত্র জানাচ্ছে, এই পুনর্গঠন নিয়ে জাভি খুবই উৎসাহী, ’তার কাছে এটা নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। অনেক আগে থেকেই সে এটা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। সে খুবই আত্নবিশ্বাসী এবং সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
তবে জাভির আগমনের সাথে সাথে যদি বার্সা ভক্তরা গার্দিওলা যুগের টিকি-টাকা বা উদ্ভাবনী প্লে-মেকিং ট্যাকটিকস আশা করেন, তাহলে তাদের হতাশ হতে হবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম প্রেস কনফারেন্সে জাভির কথাতেই বোঝা গেছে, রোমান্টিসিজমের পরিবর্তে তিনি কড়া হেডমাস্টারের মতো দলের শৃঙ্খলা আর দায়বদ্ধতার জায়গাটিতেই প্রাথমিক মনোযোগ দিতে চান। নইলে কেন বলবেন, ’শৃঙ্খলার বিষয়টি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। এর মানে এই নয় যে, খুব কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এর মানে হলো যে সমস্ত নিয়ম আছে, সেগুলো আন্তরিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। আমি নিজে যখন এখানে খেলতাম, তখন দেখেছি, যখনই আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতাম, তখন দল ভালো খেলত। এর ব্যত্যয় হলেই দলের খেলায় তার প্রভাব পড়ত।’
ক্লাব সংশ্লিষ্টরা জাভির এই মনোভাবকে স্বাগতই জানিয়েছেন; কারণ তারা দেখেছেন ভালভার্দে, কিকে সেতিয়েন ও কোম্যানের আমলে কিছু খেলোয়াড়ের আসলেই যতটা কঠোর পরিশ্রম বা নিবেদন দেখানোর কথা, ততটা করতেন না। খেলোয়াড়দের চোখে চোখে রেখে কথা বলার সাহসও সেই কোচদের ছিল না। জাভির সেটা আছে।
দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় দিনেই জাভি নতুন ১০টি নিয়ম চালু করে দিয়েছেন, যেগুলো সেদিন থেকে অবশ্য পালনীয় হয়ে গিয়েছে। যেমন: ট্রেনিং সেশন শুরুর অন্তত ৯০ মিনিট আগেই মাঠে উপস্থিত হতে হবে, যেটা আগে ছিল ৬০ মিনিট। ট্রেনিং শেষে মাঠে খেলোয়াড়দের একসাথে বসে খেতে হবে, যেটা আগে ঐচ্ছিক ছিল। কেউ দেরি করে উপস্থিত হলে জরিমানা হবেই, যেটা আগে কখনো হতো, কখনো না। তাছাড়া শারীরিক আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমন ব্যক্তিগত সফর বা ব্যবসায়িক কাজকর্মকেও কঠোর নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে, যেটাও আগে অনেক শিথিল ছিল।
নিয়মের প্রয়োগও শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুশীলনে মাত্র তিন মিনিট দেরি করে আসার জন্য ওসমান ডেম্বেলেকে জরিমানা করা হয়েছে, যদিও অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি। জেরার্ড পিকে পূর্ব-নির্ধারিত টেলিভিশন প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফর বাতিল করে দিয়েছেন। অথচ এই পিকে-ই নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাজে ২০১৯ সালে কোচ ভালভার্দের অনুমতি না নিয়ে আমেরিকা সফরে চলে গিয়েছিলেন। পিকের দেখাদেখি দলের অনেকেই এইসব ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতি বাতিল করে দিয়েছেন।
শুধু কড়া নিয়মকানুন মানাই নয়, অনুশীলনেও এসেছে নতুনত্ব। জাভি নিয়ে এসেছেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ইভান তোরেসকে, যিনি এক সময় লিডস ইউনাইটেডে কাজ করতেন। অনুশীলন দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে, এমন সূত্র জানাচ্ছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রমী এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়েরা। সাধারণত বার্সেলোনার অনুশীলন সেশনগুলো অন্য ক্লাবগুলোর মতো অত কঠোর হতো না। অনেক সময় এমনও শোনা যেত, সিনিয়রদের অনুরোধে কোচ ট্রেনিং সেশনের বিভিন্ন পর্ব ঐচ্ছিক করে দিতেন। জাভি এখানে সত্যিকারের কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।
দলের বর্তমান সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনেকেই জাভির সাথে এই দলটায় খেলতেন। তাই জাভিকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আগে এই প্রশ্নটাও উঠেছিল—এক সময়ের সতীর্থদের কোচ হিসেবে তিনি কিভাবে সামলাবেন? কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই কাজটাও জাভি অনায়াসে রপ্ত করে নিয়েছেন। জাভি জানেন, সব সময় সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়। তাই তিনি নিজের কাজটা করে যাওয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো উপায় মনে করছেন।
জাভির খেলোয়াড়ি সময়ের আরেকটা প্রথা ছিল; যেটা ভালভার্দে, সেতিয়েন এবং কোম্যানের আমলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রথাটা ছিল, হোম ম্যাচের দিন সকাল থেকে খেলোয়াড়দের টিম হোটেলে অবস্থান করতে হতো। দিনের অনুশীলনের পর একসাথে খাওয়া ও নিজ নিজ কক্ষে বিশ্রাম, ম্যাচের আগের সর্বশেষ কৌশলগত আলোচনা শেষে খেলোয়াড়েরা এক সাথে হোটেল থেকে মাঠে যেত। জাভি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই প্রথা আবার শুরু করেছেন। এবং সত্যিকার অর্থে যথাযথভাবে তা পালন করতে হচ্ছে।
জাভির কাছাকাছি একটা সূত্র জানাচ্ছেন, ’কাতারে কাটানো সময়টা জাভির জন্য এক অর্থে ছিল বার্সেলোনার প্রস্তুতি পর্ব। আল-সাদকে নিয়ে তিনি নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, সাপোর্ট স্টাফদের বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে দেখেছেন, কে কিভাবে দায়িত্বটা পালন করে। জাভির কাছে আল-সাদ ছিল কোচিং-এর অনুশীলন পর্ব। মূল লক্ষ্যটা ছিল, বার্সায় ফিরে আসা।’
জাভির কোচিং প্যানেলটা মোটামুটি এরকম: সহকারী তাঁর ভাই অস্কার হার্নান্দেজ এবং সার্জিও অ্যালেগ্রে, ফিটনেস কোচ ইভান তোরেস, ফিজিওথেরাপিস্ট কার্লোস নোগুয়েরা, সঙ্গে অ্যানালিস্ট হিসেবে ডেভিড প্র্যাটস, সার্জিও গার্সিয়া ও টনি লোবো। এঁরা যোগ দেয়ায় স্থায়ীভাবে ছুটি হয়ে গিয়েছে আগের সব কোচিং স্টাফের। পুরোনোদের মধ্যে চাকুরিতে বহাল আছেন শুধু গোলকিপিং কোচ হোসে রেমন, যিনি জাভির খেলোয়াড়ি আমল থেকেই থেকেই এই দায়িত্বে রয়েছেন।
নিয়োগ পেয়েই যাঁদেরকে জাভি বিদায় জানিয়েছেন, তাঁরা হলেন কোম্যানের আমলের ফিজিও হুয়ানহো ব্রাউ ও ফিটনেস কোচ আলবার্ট রোকা। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ইস্যু, বার বার চোটে পড়া, সেরে উঠতে অস্বাভাবিক বেশি সময় লাগা এসব কিছু নিয়ে ফিটনেসের দায়িত্বে থাকা স্টাফদের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন দলের অনেকেই। ব্রাউ ও রোকাকে বিদায়ের সিদ্ধান্তকে তাই ক্লাবের বড় একটা অংশই স্বাগত জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বোর্ডের সাথে মতের মিল না হওয়ায় ক্লাব ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, এমন দুজনকে ন্যু ক্যাম্পে ফেরাচ্ছেন জাভি। এদের একজন হতে যাচ্ছেন নতুন হেড অব মেডিক্যাল স্টাফ রিকার্ড প্রুনা, যিনি স্থলাভিষিক্ত হবেন ক্লাব সভাপতি লাপোর্তার পছন্দের ব্যক্তির। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এবং ট্রান্সফার মার্কেট বিশ্লেষণের জন্যও জাভি পুরোনো অ্যানালিস্টদের বিদায় দিয়ে নিজের পছন্দের অ্যানালিস্ট নিয়োগ দিয়েছেন। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার; দায়িত্ব যখন নিয়েছেন, তখন নিজে আস্থা রাখতে পারেন, এমন লোকদের দিয়ে দলটার সামগ্রিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চান জাভি হার্নান্দেজ। দরকার হলে সেটা সভাপতির পরিকল্পনার বাইরে গিয়েও। এই কাজটা কখনোই করার সাহস দেখাননি ভালভার্দে, সেতিয়েন কিংবা রোনাল্ড কোম্যান।
সাম্প্রতিককালে দানি আলভেসকে বার্সায় ফেরানোতে মূল ভূমিকা রেখেছেন জাভি, যদিও লাপোর্তা ও তাঁর সহযোগীরা এর বিরোধিতা করেছিলেন।
একদিকে ক্লাবের আর্থিক সীমাবদ্ধতা, অন্যদিকে হেড কোচ পদে জাভির ফিরে আসা, দুইয়ে মিলে আশার আলো দেখছে ক্লাবের যুব প্রকল্প থেকে উঠে আসা তরুণ খেলোয়াড়েরা। আনসু ফাতি, গাভি, নিকো গঞ্জালেজ, পেদ্রি, আরাউহোর মতো তরুণরা জাভিকে আদর্শ মেনেই বড় হয়েছে। জাভিও কোচ হিসেবে লা লিগায় তাঁর প্রথম ম্যাচেই অভিষেক করিয়েছেন যুব প্রকল্পের ফসল ১৭ বছর বয়সী ইলিয়াস আখোমাককে। সব মিলে এখন ২১ বা এর চেয়ে কম বয়সী ১০ জন খেলোয়াড় রয়েছে বার্সেলোনার মূল দলের স্কোয়াডে। সমগ্র ইউরোপেই এই সংখ্যাটা বিরল। যুব প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে তোলা এই তরুণদের লালিত ‘বার্সা ডিএনএ’ হতে যাচ্ছে কোচ জাভি হার্নান্দেজের মূল মন্ত্র।
শুধু নতুন খেলোয়াড় যোগ করা নয়; পরিকল্পনার অংশ নয় এমন খেলোয়াড়দের যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করে দেওয়াটাও জাভির কাজের মধ্যে পড়বে। বেতন আর পারফরম্যান্স তুলনা করলে বিক্রির তালিকায় কয়েকটা নাম অবধারিত: কুতিনহো, নেতো, উমতিতি, ব্র্যাথওয়েট, লংলা, সার্জি রবার্তো...। সন্দেহ নেই, এদেরকে বিক্রি বা অন্তত ধারে অন্য ক্লাব পাঠানোর চেষ্টা বার্সা আগে থেকেই করছে। কিন্তু চাহিদামাফিক ফি বা বেতন দেওয়ার মতো আগ্রহী কোনো ক্রেতা পাওয়া পাচ্ছে না। হয়তো সদ্য ‘টাকার খনি’ পাওয়া নিউক্যাসল ইউনাইটেড আগামী বদলির মৌসুমে কোনোভাবে আগ্রহী হবে। নইলে এদেরকে সসম্মানে ক্লাব থেকে বিদায় জানানোর উপায়টা জাভিকেই খুঁজে বের করতে হবে।
জাভির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের মতে, ’জাভি যে কৌশলে দলটাকে খেলাতে চায়, সেজন্য দরকার ভালো কিছু উইঙ্গার। কিন্তু সমস্যা হলো, বর্তমান স্কোয়াডে যথেষ্ট উইঙ্গার নেই।’ সেই একই সূত্র জানিয়েছে, সামনের জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া উসমান ডেম্বেলেকে যেকোনো মূল্যে ধরে রাখার বার্তা ক্লাব ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছেন জাভি। অথচ ক্লাবের ভেতরের খবর হলো, ডেম্বেলেকে বিক্রি করে দিতে চায় ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। অবস্থাদৃষ্টে এটা নিশ্চিত, কোচের সবুজ সংকেত না পেলে ডেম্বেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপাতত লাপোর্তারও নেই। বরং লাপোর্তা আর তাঁর সহকারীরা নতুন কোচকে কতটা সহায়তা করতে ইচ্ছুক, আগামী জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। নামটা জাভি হার্নান্দেজ বলেই ক্লাব ম্যানেজমেন্টকে এক্ষেত্রে ব্যাকফুটে থাকতে হবে।
ক্লাবের এক সূত্র মতে, ’এটা নিশ্চিত কোচ হিসেবে লাপোর্তার প্রথম পছন্দ জাভি হার্নান্দেজ ছিল না, এর কারণ জাভির সাথে ভিক্টর ফন্টের ঘনিষ্ঠতা।’ (প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাপোর্তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভিক্টর ফন্ট)। বার্তামেউকে সরিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হলেও বার্তোর নিয়োগ করা কোচ রোনাল্ড কোম্যানের উপর আস্থা রেখেছিলেন হুয়ান লাপোর্তা, যেটি পরে খারাপ পরিণতি ডেকে আনে। পরিস্থিতির কারণে লাপোর্তা বাধ্য হন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর পছন্দের কোচকে ক্লাবের দায়িত্ব দিতে। জাভি হেড কোচের দায়িত্ব নিয়ে লাপোর্তার পছন্দের অন্যান্য কোচিং স্টাফকে সরিয়ে নিজের পছন্দের সহকারীদের নিয়োগ করায় দেখা যাচ্ছে, সভাপতি হয়েও নিজের পছন্দের লোকদের বদলে পরাজিত প্রার্থীর পছন্দের মানুষদের দিয়ে ক্লাব চালাতে হচ্ছে হুয়ান লাপোর্তাকে।
কোচ আর সভাপতির মধ্যে এই অলিখিত দ্বন্দ্ব কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে বার্সার পুনর্গঠনের পথে? উত্তরটা বলে দেবে ভবিষ্যৎ।
* দ্য অ্যাথলেটিক থেকে ভাষান্তর আজহারুল ইসলাম।