৩ রানে হেরে মাহমুদউল্লাহর ১০ রানের আক্ষেপ
উৎপলশুভ্রডটকম
৩০ অক্টোবর ২০২১
মিরপুর ছিল, বেঙ্গালুরু ছিল, আক্ষেপের সে তালিকায় এবার যুক্ত হলো শারজার নামও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাগে পেয়েও ব্যবধান থেকে গেল ৩ রানের। বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয় না পাওয়ার রেকর্ডটাও লম্বা হলো আরেকটু, টানা ২১ ম্যাচে জয়হীন বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকেও জেতাতে পারেননি বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কষ্টটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সেই ভগ্ন হৃদয় নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন হারের কারণ, বাকি দুই ম্যাচ থেকে প্রত্যাশার কথাও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল কি না
উইকেট কিছুটা ডিফিকাল্ট ছিল (এটা তো) আমরা দেখেছিই। আমরা যখন বোলিং শুরু করেছিলাম, তখন ব্যাক অব লেংথে বল করেছি। ব্যাটে বলও সেভাবে আসছিল না, বল বাউন্স হচ্ছিল না, উইকেটও কিছুটা লো ছিল। এটা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, সেভাবেই বোলিং করছিলাম। বোলাররা ভালোই করছিল। আমার মনে হয়, যে এক-দুইটা চান্স এসেছিল, সেগুলো যদি নিতে পারতাম, তাহলে অন্তত দশটা রান কম হতো। তাহলে আমাদের জন্য চেজ করাটা ইজি হতো। টি-টোয়েন্টি খেলা এরকমই ক্লোজ মার্জিনে অনেক সময় হয়। চেষ্টা করেছি, কিন্তু আজকে আমরা জিততে পারিনি।
ক্যাচ মিস করাটাই বেশি ভোগাচ্ছে কি না
যেহেতু আমরা কনসিসটেন্টলি ওই মিসটেকগুলো করছি, ম্যাচের পর ম্যাচ, অবশ্যই এগুলো একটা চিন্তার বিষয়। আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত। টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা দেখছি না, রেগুলেশন ক্যাচই ছিল সবগুলো। আনফরচুনেটলি মিস হয়ে গেছে।
লিটনের সঙ্গে পার্টনারশিপ প্রসঙ্গে
আমার মনে হয়, ওই সময়টাতে আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, আমার আর লিটনের পার্টনারশিপটা মোটামুটি ভালোই হচ্ছিল। রাসেলের ওই ওভারটার আগে ব্রাভোর ওই বলে যদি ছয়টা হয়ে যেত, তাহলে অনেকটা এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় ওটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কারণ, লিটনও খুব সেট ছিল। দুইজন সেট ব্যাটারও যদি লাস্ট ওভারে থাকতে পারতাম, তাহলে দুজনের একজন শেষ ওভারে অন্তত একটা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি কিংবা পজিটিভ কোনো কিছু আনতে পারতাম।
রাসেলের শেষ বলে পরিকল্পনা
(৪ রান লাগত ওই বলে)
লাস্ট বলটা আমি জানতাম যে, ও ব্লকহোলে করবে। কারণ লেগ সাইডে চারজন ফিল্ডার ছিল। আগের দুইটা বলও ভালো ইয়র্কার করেছিল, আমি তুলতে পারিনি। চিন্তা করছিলাম, যে একটু জায়গা করে নিলে ও যদি মিস করে, তাহলে মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে পারি বা কাভার, পয়েন্ট বা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়েও মারতে পারি। এটা আমার দোষ, আমি এক্সিকিউট করতে পারিনি।
তিনজন অফ-ফর্মে থাকা খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে
আমার মনে হয় না, বাংলাদেশ দলে (আন্দ্রে) রাসেলের মতো কেউ আছে। তো আমার বা টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে, টপ-অর্ডারটা আরেকটু বড় করি। যে কারণে আমিও একটু নিচে নেমেছি।
শামীমের মতো একজন স্লগারকে মিস করেছেন কি না
শামীম স্লগার না। মারতে গেলে ওরও একটু সময় লাগে। সবাই মারতে পারে, তবে সবারই একটা মোমেন্টাম লাগে। তো, আমার মনে হয় ওকে এরকম স্লগার আখ্যা দেয়া ঠিক না। ও একজন প্রপার ব্যাটসম্যান।
টুর্নামেন্ট থেকে এখন কী পেতে চান
এখনও অনেক কিছুই পাওয়ার আছে। যদিও সেমিফাইনালের আশাটা ক্ষীণ হয়ে গেছে, কিন্তু দুইটা ম্যাচ আছে। এই দুইটা ম্যাচ যদি জিততে পারি, দলের জন্য ভালো কিছু একটা হবে। আর আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেওয়ারই চেষ্টা করছি। ভুল হচ্ছে, তবে বাকি দু্ইটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।