২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ইতিহাস গড়ার ম্যাচে `ক্যাপ্টেনস শো`

উৎপলশুভ্রডটকম

১৮ অক্টোবর ২০২১

ইতিহাস গড়ার ম্যাচে `ক্যাপ্টেনস শো`

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা স্বাগতিক ওমান জিতেছে ১০ উইকেটে। ৩৮ বল আগেই শেষ হয়ে যাওয়া ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন দুই অধিনায়ক।

পাপুয়া নিউ গিনির দুই ওপেনার ১৪ বলের ব্যবধানে ফিরেছিলেন শূন্য রানে৷ অন্যদিকে ওমানের দুই ওপেনার মিলে ১৩০ রানের লক্ষ্যই তাড়া করে ফেলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি অনন্য এক রেকর্ডও বটে। এর আগে কোনো দলই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০ উইকেটে জিততে পারেনি। ওমান ঘরের মাঠের পূর্ণ ফায়দা লাভ করেই ১০ উইকেটে জয়লাভ করেছে। আরও পাঁচ বিশ্বকাপে স্বাগতিকরা প্রথম ম্যাচে অংশ নিলেও কেউই পারেনি ১০ উইকেটের জয় তুলে নিতে।

ম্যাচ শুরুর আগেই নজর ছিল ওমান পেসার বিলাল খানের কপর। সেই বিলালই আবার বাধ্য করেছে পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালার দিকেও নজর ফেরাতে। বিলালের বলে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাঠে এসে অধিনায়ক হিসেবে আসাদ নিজের দায়িত্বটা পালন করেছেন সাবেক অধিনায়ক চার্লস আমিনিকে সাথে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়ে। ভুল বোঝাবুঝিতে আমিনি ১৪২ স্ট্রাইকরেটে ৩৭ করে ফিরলেও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন আসাদ ভালা। পিএনজি অধিনায়কের ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংসই ভিত গড়ে দিয়েছিল দলীয় সংগ্রহের।জিসান মাকসুদ, ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত তাঁরই। ছবি: আইসিসি

তবে ক্যাপ্টেনের গড়ে দেওয়া ভিত্তিটা কাজে লাগাতে পারেননি বাকিরা। সেটাও আরেক অধিনায়কের জন্যেই। ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদ ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ১১ রান হজম করেও ঘাবড়ে যাননি। ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে এক রান খরচায় নেন ৩ উইকেট, যার মধ্যে ছিল পাওয়ার হিটার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নরম্যান ভানুয়ার উইকেটও। পিএনজির ইনিংসের কোমর ভেঙে যায় এতেই। ১০২ থেকে ১১৯৷ ১৭ রান তুলতেই পিএনজি হারায় ৬ উইকেট। স্কোর প্রেডিকটর যেখানে ১৫০ ছাড়ানো স্কোরের কথা বলছিল, পিএনজি সেখানে থেমে যায় ১২৯ রানেই। জিসান মাকসুদ তাঁর ম্যাচ শেষ করেন ৫ ইকোনমিতে ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে।

ওমানের বাকি বোলাররাও দুর্দান্ত এক দিন পার করেছেন। বিলাল খান বোলিং কোটা পূর্ণ করেছেন ৪ ইকোনমিতে ২ উইকেট নিয়ে। কলিমউল্লাহ ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। এমনিতে ফিল্ডারদের জন্য দিনটা ভালো যায়নি খুব একটা, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংটা তো বেশ নিম্নমানেরই ছিল; তবে পিএনজি ইনিংসের শেষদিকে বাউন্ডারি লাইনে নাদিমের ক্যাচটা দেখে সেটা কে বলবে?

বোলিংয়ের শেষদিন পাওয়া মোমেন্টামটা ওমান ধরে রেখেছিল ব্যাটিংয়েও। পাওয়ারপ্লেতে রান তুলেছিল ৪৬। দলীয় ১০০ এসেছে ইনিংসের ১২ নম্বর ওভারে। দুই ওপেনারের ফিফটিতে ওমান জিতেছে ৩৮ বল বাকি থাকতেই। যতিন্দর সিং অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে।

অন্য যেকোনো দিনে এই ইনিংসেই বোধ হয় ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারটা ঘরে যেত তাঁর। তবে আজ যে জিসান মাকসুদ ছাড়া পুরস্কারটা আর কেউ পাচ্ছেন না, সেটা তো প্রথম ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হয়ে গেছে।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×