প্রথম তো অনেক কিছুই
উৎপলশুভ্রডটকম
৪ জানুয়ারি ২০২২
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার শর বেশি রান করা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ৪৫৮ রানের ইনিংসে নতুন বা প্রথম অনেক কিছুই ঘটেছে। সংখ্যায় সংখ্যায় সে সবই জেনে নিন না কেন!
১৭৬.২
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭৬.২ ওভার ব্যাটিং করেছে। যা তাদের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যে একবারই এর চেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিং করেছে, তা ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ১৯৬ ওভার। এশিয়ার বাইরে মাত্র দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ১৫০ ওভারের বেশি ব্যাটিং করেছে। আগের বারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ১৫২ ওভার।
১৩০
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড। ২০১৭ সালের পর দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রানে পিছিয়ে থাকেনি কখনো। এই সময়ে নিজজিল্যান্ডের মাটিতে ২২ টেস্টে একবারই প্রতিপক্ষ ১০০ রানের বেশি লিড নিতে পেরেছে। ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে ইংল্যান্ড ১০১ রানের লিড নিয়েছিল ইংল্যান্ড।
১
দেশের বাইরে এর আগে একবারই ১৩০ রানের চেয়ে বেশি লিড নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ১৯২ রানের লিডই শুধু এগিয়ে আছে এর চেয়ে। দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিডও এটাই। সর্বোচ্চ ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২৯৫।
৮
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম আট ব্যাটসম্যানই ৫০-এর বেশি বল খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম আট ব্যাটসম্যানের ৫০-এর বেশি বল খেলা এই প্রথম।
৪
নিউজিল্যান্ডে এই নিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশ ৪০০ বা এর বেশি রান। চার শ পেরোনো ৪টি স্কোরই ২০১০ সাল থেকে খেলা সর্বশেষ ছয় টেস্টে। এই সময়ে নিউজিল্যান্ডে আর কোনো সফরকারী দল এর চেয়ে বেশিবার চার শর বেশি রান করতে পারেনি। বাংলাদেশের সমান চারবার করেছে অস্ট্রেলিয়া, যার তিনটি পাঁচ শ ছাড়ানো। বাংলাদেশের পাঁচ শ ছাড়ানো স্কোর একটি।
২
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫৮ কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৪৮৮। সেবার বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল হাবিবুল বাশারের ৯৪।
৮৯০
বাংলাদেশের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের পেস বোলারদের বোলিং করা বলের সংখ্যা। ২০০০ সাল থেকে ধরলে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিতে কোনো দলের পেসারদের এর চেয়ে বেশি বোলিং করতে হয়নি কখনো। ২০০৭ সালের পর এক ইনিংসে পেসারদের সবচেয়ে বেশি বল করার ঘটনাও এটি।
তথ্যঋণ: ক্রিকইনফো