সংখ্যার আদলে ফাইনালের কড়চা
উৎপলশুভ্রডটকম
১৫ নভেম্বর ২০২১
ফাইনালে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড করেছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া সেটিও তাড়া করে ফেলায় রেকর্ড হয়েছে আরেকটি। এর বাইরেও আরও অনেক রেকর্ড। সেসব সংখ্যায় সংখ্যায় দেখলে কেমন হয়!
৬- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাতটি পুরুষ ফাইনালের ছয়টিতে শিরোপা জিতেছে টসজয়ী দল। সেটা অস্ট্রেলিয়াকে ধরেই। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যু দুবাইয়ে ফ্লাডলাইটে ১০ ম্যাচের মধ্যে যে দল পরে ব্যাট করেছে, তারাই জিতেছে। এর মধ্যে ৯ বার টসজয়ী দল ম্যাচ জিতেছে।
১৭৩- অস্ট্রেলিয়া যে টার্গেট জয় করে এবারের বিশ্বকাপটা জিতল, তা টি-টোয়েন্টি ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এক নম্বরে আছে ২০১৮ সালে হারারেতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করে পাকিস্তান জিতেছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালের আগে আর মাত্র একটা দল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৬০-এর বাধা টপকাতে পেরেছিল। ২০১৬ বিশ্বকাপে ১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ৬ উইকেটে ১৬১।
৩১- মিচেল মার্শের ফাইনালে ফিফটি করতে বল লেগেছে মাত্র ৩১টি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এটা দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। কেন উইলিয়ামসন এই ফাইনালেই ফিফটি করেছিলেন ৩২ বলে। কিন্তু সেটা দেখতে না দেখতে হয়ে গেল দ্বিতীয়। আগের ছয় বিশ্বকাপে ফাইনালের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল দুজনের। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা করেছিলেন ২০১৪ আসরে। আর ইংল্যান্ডের জো রুটেরটা এসেছিল ২০১৬ ফাইনালে। দুজনেই ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে।
৮৫- এই স্কোরটা এবারের ফাইনালে এসেছে কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে। পুরুষদের বিশ্বকাপ ফাইনালে এর চেয়ে বড় বক্তিগত ইনিংস আর কারো নেই। মারলন স্যামুয়েলস অবশ্য ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। শিরোপাও জিতেছিল তার দল। উইলিয়ামসনের দল যা পারেনি।
৩৯- মিচেল স্টার্কের বলে কেন উইলিয়ামসনের নেওয়া রান। টি-টোয়েন্টিতে স্টার্কের বলে কারো সর্বোচ্চ। এর আগেরটা ছিল ৩২। ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগে কোহলি যা তুলেছিলেন স্টার্কের মাত্র ১১ বলে। স্টার্কের ১২ বল খেলেছেন উইলিয়ামসন। হাঁকিয়েছেন ৭টি চার ও একটি ছক্কা। এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে কোনো বোলারকে এতগুলো বাউন্ডারি মারতে পারেননি।
২৮৯- এবারের বিশ্বকাপে ডেভিড ওয়ার্নারের রান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ওয়ার্নার ছাড়িয়ে গেছেন টি-টোয়েন্টির প্রথম বিশ্ব আসরে পূর্বসূরি ম্যাথু হেইডেনের ২৬৫ রানকে। কেভিন পিটারসেনের (২০১০) পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টুর্নামেন্টজয়ী দলের হয়ে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতেছেন ওয়ার্নার।
৬২৭- ২০২১ সালে মিচেল মার্শের রান। এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু দুজনের। পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান এ বছর করেছেন ১০৩৩ রান। আর বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে ৮২৬। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অবশ্য এক পঞ্জিকাবর্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডটা মার্শেরই।
৬০- ফাইনালে মিচেল স্টার্কের দেওয়া রান। অস্ট্রেলিয়ার বোলার হিসেবে রান খরচায় অবশ্য তিনি এক নম্বরে নেই। ২০১৮ সালে অ্যান্ড্রু টাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দিয়েছিলেন ৬৪ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬০ বা তার বেশি রান দেওয়া পঞ্চম বোলার স্টার্ক। তবে বিশ্বকাপের ফাইনালে তার চেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার আর কেউ নেই। এর আগে সর্বোচ্চ রান দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (২০১২ সালে ৫৪)।
তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।