অধিনায়ক কামিন্সের স্বপ্নের শুরু ও সংখ্যায় অ্যাশেজের প্রথম দিন

উৎপলশুভ্রডটকম

৮ ডিসেম্বর ২০২১

অধিনায়ক কামিন্সের স্বপ্নের শুরু ও সংখ্যায় অ্যাশেজের প্রথম দিন

অধিনায়ক কামিন্সের স্বপ্নযাত্রার শুরু। ছবি: গেটি ইমেজেস

ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে পুরোনো, সবচেয়ে বিখ্যাত টেস্ট সিরিজ অ্যাশেজ শুরু হলো আজ। প্রথম দিনে ইংল্যান্ড ১৪৭ রানে অল আউট। অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৫ উইকেট শিকার করে কয়েকটা রেকর্ডে ঢুকে পড়েছেন। চলুন সংখ্যায় সংখ্যায় জেনে নেওয়া যাক, এবারের অ্যাশেজের প্রথম দিনের আরও কিছু।

২- মাত্র দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে পুরুষদের টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই ৫ উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স। এর আগের ঘটনাটা পেতে পিছিয়ে যেতে হবে ১৮৯৪ সালে। মেলবোর্নে নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচে জর্জ গিফিন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে তুলে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সব মিলে ধরলে পুরুষদের টেস্টে অধিনায়কত্ব অভিষেকে ১৪তম খেলোয়াড় হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন কামিন্স। সর্বশেষ ঘটনাটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের রশিদ খান বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। 

১৯৮২- এই বছর গ্যাবায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে বব উইলিস ৬৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। বব উইলিসের পর প্যাট কামিন্সই প্রথম পুরুষদের অ্যাশেজে অধিনায়ক হিসেবে ৫ উইকেট শিকার করলেন। গ্যাবাতেই ১৯৬২ সালের অ্যাশেজে রিচি বেনো ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। কামিন্সের আগে রিচি বেনোই ছিলেন অ্যাশেজে ৫ উইকেট নেওয়া সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। 

ম্যাচের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের শিকার রোরি বার্নস। ছবি: গেটি ইমেজেস

২- ম্যাচের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের বলে ররি বার্নস আউট হয়েছেন। অ্যাশেজে এর আগে আর একবারই তা হয়েছে। সেটি ১৯৩৬ সালে, গ্যাবায়। সেবার ইংল্যান্ডের ওপেনার স্ট্যান ওয়ার্থিংটন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন আর্নি ম্যাককরমিকের বলে। 

৬- এ নিয়ে ইংল্যান্ড ৬ বার কোনো টেস্টের প্রথম বলে উইকেট হারাল। বার্নসের আগে সর্বশেষ ছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। ২০১০ সালে জোহানেসবার্গে। বোলার ছিলেন ডেল স্টেইন। 

১৪৭- ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ। একটি টেস্ট বাদ দিলে গত ১০০ বছরের মধ্যে এটা কোনো টেস্ট সিরিজের একেবারে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বনিম্ন অল-আউট ইনিংস। এই সময়ের মধ্যে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একবারই কেবল এর চেয়ে কম রানে অল আউট হয়েছিল তারা। ১৯৫৮ সালে এই ব্রিসবেনেই ১৩৪ রানে। 

৩- গত ১০০ বছরের মধ্যে অ্যাশেজ সিরিজে ১৪৭-এর নিচে অল আউট হওয়ার সংখ্যা। ১৯৬৮ সালে গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়া ১১৬ রানে অল আউট হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে এজবাস্টনে গুটিয়ে গিয়েছিল ১১৮ রানে। ১৯৫৮ সালে গ্যাবায় ইংল্যান্ড করেছিল ১৩৪।
 
৭- এই বছরে ইংল্যান্ডের ১৫০-এর নিচে অল আউট হওয়ার সংখ্যা। এক পঞ্জিকাবর্ষে মাত্র দুটি দল ১৫০-এর নিচে এর চেয়ে বেশিবার অল আউট হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আটবার। ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়া আর ২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

অ্যাশেজের প্রথম দিনটা দুই অধিনায়কের জন্য দুই রকম। ছবি: গেটি ইমেজেস

৬- ২০২১ সালে টেস্টে বার্নসের ডাকের সংখ্যা। এক পঞ্জিকাবর্ষে একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যানের জন্য যা সর্বোচ্চ। ১৯৫২ সালে ভারতের পঙ্কজ রায় আর ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের মাইকেল আথারটন ৫টি করে ডাক মেরেছিলেন। শীর্ষ সাতে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বার্নস এক পঞ্জিকাবর্ষে বেশিবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

৪- সংখ্যাটা অ্যাশেজে জো রুটের ক্যাপ্টেন হিসেবে ডাকের। তাঁর মতো অ্যাশেজে ৪টি ডাক মেরেছিলেন ইংল্যান্ডেরই মাইক ব্রিয়ারলি। অধিনায়ক হিসেবে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি ৫টি ডাক মারার অনাকাঙ্খিত রেকর্ডের মালিক। অস্ট্রেলিয়ার আরও দুই অধিনায়ক জো ডার্লিং ও ইয়ান চ্যাপেলের অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজে ৪টি করে ডাক আছে। 

তথ্যসূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো।

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×