ধোনির চেন্নাইয়ের চতুর্থ আইপিএল-শিরোপা

গল্পটার পুনরাবৃত্তি করতে পারলেন না সাকিব

উৎপলশুভ্রডটকম

১৬ অক্টোবর ২০২১

গল্পটার পুনরাবৃত্তি করতে পারলেন না সাকিব

চ্যাম্পিয়ন ধোনির চেন্নাই

কেকেআর এর আগে যে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, দুবারই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। আবার তিনি কেকেআরে ফেরার পরই দল ফাইনালে। কিন্তু এবার আর আগের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি তো হলোই না, সাকিবের নিজের পারফরম্যান্সও এমনই যে, ফাইনালটাতে তাঁর মনে রাখার মতো কিছুই থাকল না।

ভাবা হচ্ছিল, কলকাতার জন্য তিনি 'লাকি চার্ম'। এর আগে যে দুবার শিরোপা জিতেছিল কলকাতা, দুবারই তো দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান! কিন্তু সব বদলে গেল ২০২১-এ এসে। হাই ভোল্টেজ ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ের কাছে ২৭ রানে হারল সাকিব আল হাসানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। চতুর্থবারের মতো শিরোপা চলে গেল চেন্নাইয়ে।

সাকিব আল হাসানের জন্যেও দিনটা কাটল বিস্মরণযোগ্য। প্রথমে বল হাতে ৩ ওভারে ৩৩। ভাবা হচ্ছিল, সুযোগ পেলে বোধ হয় পুষিয়ে দেবেন ব্যাট হাতে। মঞ্চটাও প্রস্তুত ছিল তাঁকে নায়ক হিসেবে বরণ করে নেওয়ার জন্য। যখন নামলেন, তখন তো তাঁর দলের প্রয়োজন ৩১ বলে ৭৪ রান। কিন্তু সাকিব আল হাসান ফিরলেন প্রথম বলেই।

ব্যাটে-বলে সমান ব্যর্থতার এমন একটা দিনের পরে কি আর সুখস্মৃতির পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব? সম্ভব নয়!

শুধু সাকিব নন, কলকাতার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের জন্যেই দিনটা ভুলে যাওয়ার মতো। যার শুরুটা করেছিলেন দিনেশ কার্তিক। সাকিবকে যে উইকেটের কলামটা ফাঁকা রেখেই ফাইনালটা শেষ করতে হলো, তার জন্যেও কলকাতার উইকেটরক্ষকই দায়ী। পর পর দুই ম্যাচে সাকিবের বলে স্টাম্পিং মিস করলেন, আর আজকের মিসটা ফাফ ডু প্লেসির। যিনি পরে ৫৯ বলে ৮৬ রানের এক ইনিংসে কলকাতার থেকে কেড়ে নিয়েছেন ট্রফিটাই। ডু প্লেসির পাশাপাশি ৩২, ৩৬ এবং অপরাজিত ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে চেন্নাইকে বড় সংগ্রহ গড়তে সহযোগিতা করেছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, রবিন উথাপ্পা এবং মঈন আলী।

এক সুনিল নারাইন ছাড়া কলকাতার সব বোলারই হয়তো আজকের ম্যাচটাকে ভুলে যেতে চাইবেন। এ মৌসুমে কলকাতার সেরা পেসার লকি ফার্গুসন এদিন ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান; এমনকি যাঁকে খেলতে পুরো মৌসুম হাঁসফাঁস করেছেন ব্যাটসম্যানরা, সেই বরুণ চক্রবর্তীও ছিলেন খরুচে।আইপিএলে আবারও হলুদ-উল্লাস

১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল-ভেঙ্কটেশ আয়ার শুরুটা করেন দুর্দান্ত। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছেন ৯১ রান। এ মৌসুমে ব্রেকথ্রু দেওয়াটাকে মোটামুটিভাবে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিলেন শার্দুল ঠাকুর, ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও। আয়ারের পর শার্দুল একই ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন নীতিশ রানাকেও। 'ক্যামিও' খেলতে ওপরে উঠে আসা নারাইনও ফিরে যান ২ রান করে।

প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দিনেশ কার্তিক ঝড়ের আভাস দিলেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে খুব একটা সময় নেননি। আর সাকিব! জাদেজার বলটাকে লেগে ঘুরিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে। ফলাফল, টানা দুই ম্যাচে শূন্য। পাশাপাশি এউইন মরগান ব্যাট হাতে রান না পাওয়ার ধারাবাহিতা রক্ষা করলে পরাজয় নিশ্চিত হয় তাদের। শেষ দিকে শিভাম মাভি-লকি ফার্গুসন মিলে ২০ বলে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুললেও তা শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছে।

নইলে সাকিবদের ম্যাচ হারাটা তো নিশ্চিত হয়েছিল তাদের ইনিংসের অর্ধেক পেরোতে না পেরোতেই।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×