৫০ বছরের সেরা টেস্ট পারফরম্যান্স (১৯৬৫-২০১৫)

আমারও এক নম্বরে লক্ষ্মণই

উৎপল শুভ্র

১০ এপ্রিল ২০২১

আমারও এক নম্বরে লক্ষ্মণই

ইডেন গার্ডেনে ২৮১ রানের মহাকাব্যিক সেই ইনিংস খেলার পথে ভিভিএস লক্ষ্মণ। ছবি: এএফপি

ডিজিটাল ম্যাগাজিন ক্রিকইনফো ক্রিকেট মান্থলি আগের ৫০ বছরের সেরা ১০টি টেস্ট পারফরম্যান্স বেছে নেওয়ার জন্য ২৫ সদস্যের জুরি বোর্ডে আমাকেও রেখেছিল। এটা ২০১৫ সালের কথা। আগের ৫০ বছর মানে ফিরে যেতে হবে সেই ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। কাজটা এমনি কঠিন যে, চার-পাঁচটি বিনিদ্র রাত কাটিয়েও দেখি সংখ্যাটা ২৫-এর নিচে নামিয়ে আনতে পারছি না। কিন্তু সেরা দশ তো বেছে নিতেই হবে। তা নিতে গিয়ে যেন টাইম মেশিনে চড়ে স্মরণীয় কত পারফরম্যান্স যে ফিরে দেখা হলো।

ওসমান সামিউদ্দিনের ওপর একটু ‘রাগ’-ই হচ্ছিল! ওর জন্যই তো এমন বিপদে পড়তে হলো। গত পঞ্চাশ বছরে টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ১০টি পারফরম্যান্স বেছে নেওয়া কি সহজ কথা নাকি!

সহজ নয় বলেই প্রায় চার-পাঁচটি রাত বিনিদ্র কেটেছে। পঞ্চাশ বছরে ব্যাটিংয়ে-বোলিংয়ে কত অসাধারণ কীর্তিই না রচিত হয়েছে। কোনটা রেখে কোনটা বাদ দিই? প্রাথমিক একটা তালিকা করতে গিয়ে দেখি, সংখ্যাটা ‘২৫’ পেরিয়ে গেছে। সেখান থেকে ‘সেরা দশ পারফরম্যান্স’ বেছে নিয়ে যখন মেইল করছি, রাগের বদলে ওসমানের প্রতি উল্টো একটা কৃতজ্ঞতার অনুভূতি হলো। ওর কল্যাণেই তো যেন টাইম মেশিনে চড়ে গত পঞ্চাশ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ফিরে দেখা হলো।

ওসমানের লেখার খুব ভক্ত আমি। মানুষ হিসেবেও দারুণ। অনেক দিন ক্রিকইনফোর পাকিস্তান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে। এখন আছে আবুধাবির একটি পত্রিকায় (তখন তা-ই ছিল, বেশ কিছুদিন আবার ক্রিকইনফোতে ফিরেছে)। অনেক দিন যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎই ওর ওই ই-মেইল—ডিজিটাল সাময়িকী ইএসপিএন ক্রিকইনফো ক্রিকেট মান্থলি গত ৫০ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে ফিচার করছে। আমি যদি জুরি হতে রাজি থাকি, তাহলে আমার চোখে গত ৫০ বছরে ‘সেরা দশ পারফরম্যান্স’ বেছে নিয়ে সেটি ওকে মেইল করতে হবে।

রাজি না হওয়ার কোনোই কারণ নেই। ‘লিস্ট’ করার প্রতি আকর্ষণ তো মানুষের সহজাত। আমিও ব্যতিক্রম নই। খুব উৎসাহ নিয়ে নেমে পড়লাম কাজে। নামার পর কী হলো, সেটি তো আগেই লিখেছি। এ যেন সিন্ধুতে বিন্দু খোঁজার চ্যালেঞ্জ!

১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ২৫ জনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই চ্যালেঞ্জের সামনে। যাঁদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক, ক্রিকেট লেখক, সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমার চোখে ‘সেরা দশ পারফরম্যান্স’ পাঠিয়ে দেওয়ার পর থেকেই কৌতূহলভরে অপেক্ষা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত কেমন হবে চূড়ান্ত তালিকা? আমার সঙ্গে কয়টা মিলবে?

অবশেষে সেই কৌতূহলের অবসান হলো জুরিদের ভোটে নির্বাচিত সেরা দশের তালিকাটা হাতে পাওয়ার পর। আমার ‘সেরা দশ’-এর চারটি আছে চূড়ান্ত সেরা দশের তালিকায়। একটু ওলটপালট অবশ্য আছে। আমার তালিকায় দুই নম্বর ব্রায়ান লারার অপরাজিত ১৫৩ চূড়ান্ত তালিকার ৪ নম্বরে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় রিচার্ড হ্যাডলির অবিশ্বাস্য ফাস্ট বোলিং প্রদর্শনীকে আমি রেখেছিলাম তিনে, সেটি আছে ৬ নম্বরে। ইয়ান বোথামের গড়া এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেটের প্রথম কীর্তি আমার চোখে ৬ নম্বর, চূড়ান্ত তালিকায় সেটির এক ধাপ উন্নতি হয়েছে।

সবচেয়ে বড় তৃপ্তি অবশ্যই এক নম্বরটা মিলে যাওয়া। ‘সেরা দশ’ নির্বাচন করতে গিয়ে যে সমস্যায় পড়ার কথা বলছিলাম, তা ছিল আসলে ৯টি পারফরম্যান্স নিয়ে। এক নম্বর কোনটি—এ নিয়ে যে আমার মনে কোনো সংশয়ই ছিল না। ভেঙ্কট লক্ষ্মণের ২৮১ রানের ইনিংসটি এক নম্বরে লিখে তবেই না কাজে নেমেছিলাম। জুরিদের ২৫ জনের সবাই তা করেছেন কি না, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। তবে জুরিবোর্ডের নামগুলো দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, ইডেন গার্ডেনে লক্ষ্মণের ওই ইনিংসটি মাঠে বসে দেখেছেন কয়জন? এখানে বোধ হয় নিজেকে ভাগ্যবান ভাবা যেতেই পারে। ওই টেস্টটি কাভার করেছিলাম। প্রেসবক্সে বসেই দেখেছিলাম ওই শিল্পিত তাণ্ডব। না, ভুল লিখলাম। ‘তাণ্ডব’ শব্দটা লক্ষ্মণের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে একটুও যায় না।

অস্ট্রেলিয়ার বিজয়রথ তখন এমনই অপ্রতিরোধ্য যে, ওই টেস্টের প্রিভিউয়ের হেডিং করেছিলাম, ‘যে টেস্টের ফল নিয়ে কথা বলছে না কেউ।’ প্রথম তিন দিন কেউ বলেওনি। ২৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে ভারত ফলো অন করার পর তৃতীয় দিনেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়াটা হতো স্বাভাবিক সমাপ্তি। বড়জোর চতুর্থ দিন লাঞ্চ পর্যন্ত খেলা হবে নিশ্চিত হয়ে টেস্টের পঞ্চম দিনে বেড়ানো-টেড়ানোর কিছু প্ল্যানও করে ফেলেছিলাম। লক্ষ্মণ ও দ্রাবিড় কীভাবে সেই প্ল্যান ভেস্তে দিয়েছিলেন, তা বিস্তারিত বলার কারণ দেখছি না। শুধু এটুকু জানাই, চতুর্থ দিনের পুরোটা ব্যাটিং করে ড্রেসিংরুমে ফিরতেই ম্যাসাজ টেবিলে শুইয়ে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল দুজনকে। ড্রেসিংরুমের দরজা খোলা-বন্ধ হওয়ার সময় পাশেই সংবাদ সম্মেলনকক্ষ থেকে সেই দৃশ্য দেখতেও পাচ্ছিলাম।

এক নম্বর না হয় মিলল, কিন্তু আমার ‘সেরা দশ’-এর বাকি ৬টির খবর কী? সেসবও ওপরের দিকেই আছে। অনিল কুম্বলের ইনিংসে দশে-দশের কীর্তিকে আমি রেখেছিলাম ১০ নম্বরে,  চূড়ান্ত তালিকায় সেটি ১১ নম্বরে। ইয়ান বোথামের এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেটের কীর্তির প্রথম পুনরাবৃত্তি করেন ইমরান খান (পরে আমাদের সাকিব), সেটিকে আমি তাই বোথামের পরই ৭ নম্বরে রেখেছিলাম। সবার ভোটের ভিত্তিতে তা হয়ে গেছে ১৩ নম্বর।

আমার শীর্ষ দশে লারা এসেছেন দুবার। অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংসটিকে ৮ নম্বরে রেখেও মনে হচ্ছিল, এটির বোধ হয় আরেকটু ওপরে থাকা উচিত। প্রতিপক্ষ বোলিং-উইকেট এসব যেমনই হোক না কেন, টেস্টে এক ইনিংসে ৪০০ রান করা কি সহজ কথা নাকি! কারও কল্পনাও কি তা ছুঁতে পেরেছে এর আগে! আমার কাছে লারার ওই ৪০০ তাই শুধুই একটি টেস্ট ইনিংস নয়, মানুষের ক্ষমতার সীমা সম্পর্কে নতুন উপলব্ধির স্মারক। হিলারির এভারেস্টে বা আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদে পা রাখার মতো নতুন ইতিহাস। মাত্র ছয় মাস আগে ম্যাথু হেইডেনের কাছে হারানো বিশ্ব রেকর্ড পুনরুদ্ধারের ছোট্ট ব্যাপারটিও ভুলে যাবেন না। বাকি জুরিরা সবাই এভাবে ভাবেননি বলেই তালিকায় এটি আছে ১৫ নম্বরে।

এর পরই গর্ডন গ্রিনিজের অপরাজিত ২১৪। আমার চোখে যেটি গত ৫০ বছরে পঞ্চম সেরা পারফরম্যান্স। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৭৮ ওভারে ৩৪২ রানের লক্ষ্যকে যেভাবে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেছিলেন, এর তুল্য কিছু ক্রিকেট ইতিহাস দেখেছে বলে মনে হয় না। একটি মাত্র উইকেট পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেটিও আবার রানআউট! গ্রিনিজ একটু খোঁড়াতে থাকলেই প্রতিপক্ষ বোলাররা প্রমাদ গুনতেন। চোট-টোট থাকলে যে আরও রুদ্রমূর্তিতে দেখা দিতেন তিনি। লর্ডসেও সেদিন একটু খোঁড়াচ্ছিলেন গ্রিনিজ। বাংলাদেশের কোচ থাকার সময় প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দেওয়ায় হেসে বলেছিলেন, নিজের ব্যথা অন্যকে চালান করে দেওয়া আর কি!

ভিভ রিচার্ডসের ৫৬ বলে সেঞ্চুরিকে আমি রেখেছিলাম ৪ নম্বরে। ২৫ জনের সম্মিলিত বিচারে এটি হয়ে গেছে ২৫ নম্বর। আমি একমত নই। ৫৬ বলে সেঞ্চুরি এখন হয়তো কারও চোখ কপালে তুলবে না। কিন্তু ভাবুন তো, রিচার্ডস সেটি কোন যুগে করেছিলেন। টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির ৬৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছিলেন, সেটিও আগের রেকর্ডের চেয়ে ১১ বল কম খেলে। রিচার্ডসের কীর্তি বোঝাতে একটা তথ্যই যথেষ্ট—এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি দেখতে ওয়ানডে ক্রিকেটকেই অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১০ বছর।

আমার সেরা দশের ৯ নম্বরের চূড়ান্ত তালিকায় সবচেয়ে দুরবস্থা। ১৯৭৯ সালে ওভালে সুনীল গাভাস্কারের ২২১ আছে ৩৮ নম্বরে। একটা কারণ কি এই যে, গাভাস্কারের ওই ইনিংসটি ম্যাচ জেতাতে পারেনি? তবে সেটি তো পারেনি সতীর্থদের ব্যর্থতায়। চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে ৫০০ মিনিটে ৪৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটে এখনো কোনো দলের এত রান করে জেতার সাধ্য হয়নি। অথচ তিন যুগ আগেই গাভাস্কার প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন দলকে। যখন আউট হয়ে ফিরছেন, স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ৩৮৯। মাত্র ৪৯ রান লাগে, হাতে সময়ও ছিল। কিন্তু পর পর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে ড্রয়ের জন্য খেলে ভারত।

চূড়ান্ত ‘সেরা দশ’-এর সঙ্গে আমার ‘সেরা দশ’ মেলাতে গিয়ে মনে একটা প্রশ্ন জাগছে, আমি কি বোলিং পারফরম্যান্সকে একটু অবমূল্যায়নই করেছিলাম! শুধুই বোলিংয়ের জন্য আমার সেরা দশে স্থান হয়েছে শুধুই অনিল কুম্বলের। ওভালের মরা পিচে মাইকেল হোল্ডিংয়ের ১৪ উইকেট, অভিষেকেই বব ম্যাসির ১৬ উইকেট বা ওভালেই মুরালিধরনের ৭ ও ৯ মিলিয়ে ১৬ উইকেট চূড়ান্ত তালিকার সেরা দশে আছে। থাকতেই পারে। নোটবুকে আমার খসড়ায় দেখছি, এই তিনটিকে আমি রেখেছিলাম ১২, ১৪ ও ১৬ নম্বরে। ১১ নম্বরে ছিল বোথামের ‘হেডিংলি-রূপকথা’। লক্ষ্মণের মতো এটিও ফলো অন করতে নেমে দুর্দান্ত ফাইট ব্যাকের গল্প। অপরাজিত ১৪৯ রানের আগে প্রথম ইনিংসেও ফিফটি ছিল বোথামের, সঙ্গে বোলিংয়ে ৭ উইকেট। গ্যারি সোবার্সের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীটিও কাকতালীয়ভাবে হেডিংলিতে। ১৭৪ রান ও দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট আমার তালিকায় ১৫ নম্বরে।

জুরিদের সম্মিলিত বিচারে সেরা দশে আছে কিন্তু আমার সেরা পঁচিশেও নেই—এমন পারফরম্যান্স একটিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রাহাম গুচের অপরাজিত ১৫৪ (কী আশ্চর্য, এটিও সেই হেডিংলিতেই!)। সর্বজনীন বিচারে এটি ৯ নম্বর, তবে আমি আমার মতে অনড়। গ্রাহাম গুচ আমার সেরা পঁচিশে ছিলেন না। এখনো থাকবেন না।

গণতন্ত্রের মজা তো এটাই।

_____________________________________________________________

জুরি বোর্ডের ২৫ জন

কামার আহমেদ (বর্ষীয়ান ক্রিকেট লেখক), রাসেল আরনল্ড (সাবেক শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান; ধারাভাষ্যকার), শিল্ড বেরি (ক্রিকেট প্রতিনিধি, ডেইলি টেলিগ্রাফ), কলিন ব্রাইডেন (সম্পাদক, সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যানুয়াল), গ্রেগ চ্যাপেল (সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক; কোচ), টনি কোজিয়ার (বর্ষীয়ান ক্রিকেট লেখক; ধারাভাষ্যকার), ডিলান ক্লিভার (সম্পাদক, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড), রণজিৎ ফার্নান্দো (সাবেক শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার; ধারাভাষ্যকার), গিডিয়ন হেইগ (ক্রিকেট ঐতিহাসিক), ম্যালকম নক্স (ক্রিকেট লেখক; সিডনি মর্নিং হেরাল্ড), সঞ্জয় মাঞ্জরেকার (সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান; ধারাভাষ্যকার), নিল ম্যানথর্প (ক্রীড়ালেখক), সুরেশ মেনন (সম্পাদক, উইজডেন ইন্ডিয়া অ্যালমানাক), ফাজির মোহাম্মদ (সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার), মার্ক নিকোলাস (সাবেক হ্যাম্পশায়ার অধিনায়ক; ধারাভাষ্যকার), রমিজ রাজা (সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক; ধারাভাষ্যকার), এস রাজেশ (পরিসংখ্যান বিষয়ক সম্পাদক, ইএসপিএনক্রিকইনফো), ক্রিস্টিয়ান রায়ান (মেলবোর্ন-ভিত্তিক লেখক), ওসমান সামিউদ্দিন (ক্রীড়ালেখক, দ্য ন্যাশনাল), মাইক সেলভি (সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার; প্রধান ক্রিকেট প্রতিনিধি, দ্য গার্ডিয়ান), রব স্টিন (ক্রীড়ালেখক), উৎপল শুভ্র (ক্রীড়া সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো), জন ট্রাইকস (সাবেক জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার), জন রাইট (সাবেক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার; কোচ), অ্যান্ডি জ্যাল্টজম্যান (স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান; লেখক)।

** জুরিদের পরিচয় ২০১৬ সালের জানুয়ারির।

_______________________________________________________________

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×