ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৪

উৎপল শুভ্র

২০ মার্চ ২০২১

ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৪

স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম ধাপ ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়। সেদিস থেকেই রং লেগেছিল টেস্ট খেলার স্বপ্নে। যে স্বপ্ন পূরণ হলো ২০০০ সালের নভেম্বরে। সূচনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ের। দল নির্বাচন নিয়ে নাটক থেকে শুরু করে সেই টেস্টের ম্যাচ রিপোর্টও তাই বারবার পড়ার মতোই এক সুখস্মৃতি।

প্রথম প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০০০

‘না, না, প্রত্যাশা ছাড়ানো হবে কেন? এ রকম প্রত্যাশাই তো ছিল।’

‘আমি কাল রাতে খেলোয়াড়দের বলেছি, প্রথমে ব্যাট করলে আমাদের চার শ রান করতে হবে। নইলে আর একজন বেশি ব্যাটসম্যান নেওয়া কেন?’

প্রথম কথাটি অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের। ‘প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ২৩৯-এটা কি ভাবতে পেরেছিলেন’ প্রশ্নের জবাব। পরের কথাগুলো বললেন কোচ সরওয়ার ইমরান, দল নিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় প্রায় একই রকম প্রশ্নের উত্তরে।

দিনের দুই ‘হিরো’র একজন আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছ থেকেও সমর্থন মিলল। ‘কাল রাতে কোচ আমাদের বলেছেন শুধু পজিটিভ চিন্তা করতে। আমরা ২ উইকেটে ২০০, ৩ উইকেটে ২৮০ অথবা ওরা ৫ উইকেটে ১০০-ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এমন দৃশ্যগুলোই ভাবতে বলেছেন আমাদের।’

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের শুভলগ্নে অনেক আনুষ্ঠানিকতাই ছিল। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও, দুই পাশে দু্ই অধিনয়াককে নিয়ে বেলুন ওড়ালেন তিনি। ছবি: শামসুল হক টেংকু

কোচ এমন বলেছেন, খেলোয়াড়রাও রাতভর দেখেছে এমন সুখস্বপ্ন-সবই ঠিক আছে। কিন্তু ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনটি শেষে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড যখন জ্বলজ্বল করে ঘোষণা করছে ৬ উইকেটে ২৩৯, সত্যি করে বলুন তো, আপনারও কি একটু বিভ্রম জাগেনি? ঠিক অবিশ্বাস নয়, একটু গর্ব-টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেকের দিনটি কী সত্যিই এমন সুন্দর হলো বাংলাদেশের! 

কোনো কিছু পেয়ে যাওয়ার পর অনেক সময়ই তার তাৎপর্য বুঝতে ভুল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও থাকছে সেই সম্ভাবনা। দিনটির দিকে ফিরে তাকিয়ে হাবিবুল বাশার সুমন আর আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ব্যাটিং যতটা মনে পড়ছে, ঠিক ততটাই, হয়তো বা তার চেয়েও বেশি মনে পড়ছে ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার দৃশ্যগুলো। ২৩৯ যতটা তৃপ্তি দিচ্ছে, ঠিক ততটাই আক্ষেপ দিনের শেষ সেশনে হারিয়ে ফেলা তিন-তিনটি উইকেট। এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সকালে টস জিতে নাঈমুর রহমান যখন প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন, স্টেডিয়ামের দিকে ছুটে যাওয়া জনস্রোতের কাছে ‘দিনশেষে স্কোরকোর্ডটাকে কেমন দেখতে চান’ প্রশ্ন রাখলে এতদূর পৌঁছুত না অনেকের প্রত্যাশাই। হ্যাঁ, অধিনায়ক-কোচ যা-ই বলুন না কেন, টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের দিনটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে মানতে হচ্ছে প্রত্যাশা ছাড়ানোই। কাল ভোরে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুম ভেঙেছিল বাংলাদেশের, সারা দিনে সেই স্বপ্ন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের ছটায়।

দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে বিসিবির সে সময়ের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: শামসুল হক টেংকু

এতটাই যে, প্রথম দিন শেষেই বাংলাদেশ জিজ্ঞেস করতে পারছে, ‘আচ্ছা, টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ইনিংসে আগের ৮টি দেশ কত করেছিল যেন?’ এবং যে উত্তরটা আসছে, সেটি অন্তত একটি দিনের জন্য হলেও প্রমাণ করছে বাংলাদেশের টেস্ট পর্যায়ভুক্ত হওয়ার যৌক্তিকতা। টেস্ট পরিবারে বাংলাদেশের ঠিক আগের সদস্য জিম্বাবুয়ে একটু ব্যতিক্রমী কাণ্ডই করে ফেলেছিল। এই ভারতেরই বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ৪৫৬। বাংলাদেশ যে অতদূর যেতে পারছে না, এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। তবে আজ সকালে অবিশ্বাস্যরকম কোনো অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশ অন্তত ২৪৬ পর্যন্ত যাবেই এবং তা যেতে পারলেই বলা যাবে-‘জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কোনো দেশ টেস্ট ক্রিকেটে তাদের প্রথম ইনিংসে আমাদের চেয়ে বেশি রান করেনি’ (অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২৪৫, ইংল্যান্ড ১৯৬, দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭৭, নিউজিল্যান্ড ১১২, ভারত ১৮৯, পাকিস্তান ১৫০, শ্রীলঙ্কা ২১৮)।

এই যে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দিন শেষেই গর্ব করে বলার মতো কিছু পাচ্ছে বাংলাদেশ, তার মূল কৃতিত্বটা যে দুজনের, সেই হাবিবুল বাশার আর আমিনুল ইসলাম দিন শেষে যেন ঘোরের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে এসে বসলেন সাংবাদিকদের সামনে রাখা চেয়ারে। হাবিবুল বাশার ৭১, আমিনুল ইসলাম অপরাজিত ৭০-শুধু রান সংখ্যায় ‘প্রায়’ মিল নয়, দুজনের মধ্যে মিল আছে আরও। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপে আছেন কে-গতকাল সকালে এই প্রশ্ন করলে বলতে হতো এই দুজনেরই নাম, একজনকে আলাদা করা যেত না। হাবিবুল বাশার ১৪ জনের দলে জায়গা পাননি, বলতে গেলে মিডিয়ার তীব্র সমালোচনাই তাকে ফিরিয়ে এনেছে দলে। তাঁকে বাদ দিয়ে নির্বাচকরা যে সত্যিই অন্যায় করেছিলেন, সেটি প্রমাণের দায় বাড়তি চাপ হয়ে তার সঙ্গে হেঁটে গিয়েছিল উইকেটে। 

এই ছবিটা ব্যতিক্রম, নইলে শর্ট বল খুব কমই ছেড়েছেন হাবিবুল বাশার। ছবি: শামসুল হক টেংকু

এটি মাত্র ষষ্ঠ ওভারের ঘটনা। ব্যাট করতে নামার সময় দুই ওপেনারের কাছ থেকে রান চাননি অধিনায়ক-কোচ, চেয়েছিলেন শুধু অন্তত এক ঘণ্টা যেন ড্রেসিংরুমে তাদের কারো সঙ্গে দেখা না হয়। কিন্তু ২৬ মিনিট পরই ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন মেহরাব হোসেন অপি। আগের রাতে এক রকম হুট করেই জাভেদ ওমর বেলিমকে বাদ দিয়ে তাঁকে বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের পার্টনার। অনেক দিন সত্যিকার ম্যাচ প্র্যাকটিস নেই মেহরাবের, তারপরও জাভেদ ওমরের চেয়ে ‘বেটার ব্যাটসম্যান’ বলে তাঁকে যে সুযোগটা দিয়েছিলেন অধিনায়ক, প্রথম চেষ্টাতে তা তো কাজে লাগাতে পারেনইনি, ‘জাভেদ ওমরকে বাদ দেওয়াটা অন্যায় হয়েছে’-এমন একটা অনুভূতিও ছড়িয়ে দিলেন আউট হওয়ার ধরনে। জহির খানের বেরিয়ে যেতে থাকা বলে অহেতুক ড্রাইভ করতে গিয়ে এই বাঁহাতি পেসারকে প্রথম টেস্ট উইকেট আর উইকেটকিপার সাবা করিমকে প্রথম টেস্ট ডিসমিসাল উপহার দিয়ে আসা মেহরাবকে অতিক্রম করে হাবিবুল বাশার যখন উইকেটের দিকে এগো‌চ্ছেন, স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ১০। ৫৮ মিনিট পর ড্রেসিংরুমে প্রিয় পার্টনার মেহরাবের সঙ্গে যখন শাহরিয়ারের পুনর্মিলনী হলো, রান বেড়েছে মাত্র ৩৪। ঢাকার উইকেটের চরিত্র বুঝিয়ে দিতে পঞ্চদশ ওভারেই আক্রমণে এসেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার সুনীল যোশি। তাঁর দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ‌স্লিপে ক্যাচ দিলেন শাহরিয়ার, যাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ম্যাচের প্রথম আক্রমণাত্মক শটটি। ষষ্ঠ ওভারে জহির খানের বলে মারা সেই কাভার ড্রাইভটিই রূপ পেয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারিতে।

৪৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর একটা আশঙ্কার স্রোত ছড়িয়ে পড়াই ছিল স্বাভাবিক। অথচ এরপরই শুরু বাংলাদেশের ইনিংসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়টির। নায়ক হাবিবুল বাশার। মুখোমুখি হওয়া জহির খানের প্রথম বলটিকেই যেরকম স্বচ্ছন্দে মিড উইকেটে পাঠিয়ে ১ রান নিয়ে শুরু করলেন, উইকেটে থাকা ১৫৮ মিনিটই বলতে গেলে সে রকম স্বচ্ছন্দ উপস্থিতি তাঁর। দু-একবার অবশ্য একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। শর্ট পিচ বল দেখলেই হুক বা পুল করতে যাওয়ার যে প্রবণতা তাঁর ব্যাটিংয়ের মূল শত্রু, সেটি কালও তাড়িয়ে বেড়িয়েছে হাবিবুল বাশারকে। আগারকারকে হুক করে বাউন্ডারি মেরেছেন বটে, কিন্তু আউটও হয়েছেন জহির খানের বলে অহেতুক হুক করতে গিয়েই। লাঞ্চের পর প্রথম ড্রিংকস ব্রেকের পর সেটিই ছিল প্রথম বল, এটি তার অপরাধটা বাড়িয়েছে আরও। ৭১ রান করার আনন্দের চেয়ে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করার সুযোগ নষ্ট করার দুঃখটাই তাই তীব্র হয়ে উঠেছে তাঁর মনে। তারপরও হাবিবুল বাশারের ব্যাটই উপহার দিয়েছে দিনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো। স্কয়ার কাট করে জহির খানের পরপর দুবলে বাউন্ডারি, আগারকারকে হুক করে মারা বাউন্ডারিটির ঠিক আগের বলে স্কয়ার ড্রাইভ, ১০৮ মিনিটে ৭৯ বল খেলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি করার ঠিক পরপরই শ্রীনাথকে কাভার ড্রাইভ করে মারা বাউন্ডারি এক একটি চপেটাঘাতের মতো আঘাত করেছে নির্বাচকদের। ভারতীয় বোলারদের একেবারে সাধারণ মানে নামিয়ে এনে কী ইনিংসটিই না খেললেন তিনি! শট খেলার জন্য বাড়তি সময়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অনায়াস ভঙ্গি এক মুহূর্তেই হাবিবুল বাশারকে চিনিয়ে দেয় আলাদা করে, আমাদের নির্বাচকদেরই শুধু তাকে চিনতে ভুল হয়ে যায় বারবার।

বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের প্রথম দিনটা রঙিন হয়ে উঠেছিল এই দুজনের কল্যাণে। মাঝ উইকেটে হাবিবুল ও আমিনুল। ছবি: শামসুল হক টেংকু

হাবিবুল বাশারের আত্মহত্যার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের যে তৃতীয় উইকেট জুটি, ৬৬ রানের সেই জুটিতে অংশীদার আমিনুল ইসলামের অবদান মাত্র ১১। সাবেক অধিনায়ক যখন ব্যাট করতে নামেন, হাবিবুল বাশার তখন ২২। আরো ৪৯ রান করে যখন তিনি আউট হন, আমিনুল তখন মাত্র ১১। দুজনের ব্যাটিংয়ের পার্থক্যটা পরিষ্কার এ থেকেই। দিন শেষে অবশ্য আমিনুল ইসলামের অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসটিকে একটুও কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হ‌চ্ছে না। বরং অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট পতনের মধ্যে এক প্রান্ত ধরে রাখার জরুরি কাজটা করেছেন তিনি দারুণ দক্ষতায়। জাতীয় দলে এক যুগের অভিজ্ঞতা ঢেলে দিয়ে আমিনুল খেলেছেন ‘তার জীবনের ইনিংস’। হাবিবুল বাশারের ইনিংসটি যদি নির্বাচকদের দেওয়া জবাব হয়, তাহলে আমিনুলের ইনিংসটিকে বলতে হবে তার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার অনেক আগেই সাবেক সতীর্থ আতহার আলী খান যার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘হি ইজ টেস্ট ক্লাস’, সেই আমিনুলকে অভিষেক টেস্টের প্রথম একাদশে থাকা-না থাকা নিয়ে কাটাতে হয়েছে অনেকগুলো বিনিদ্র রাত। অভিষেক টেস্ট ছিল তার ক্যারিয়ার বাঁচানোর লড়াই এবং তাতে ‘ফর্ম অস্থায়ী, জাতটাই স্থায়ী’-নিজের এই প্রিয় ক্রিকেট উক্তি বাকিদেরও বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছেন তিনি।

উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে যোশির বলে মারা পঞ্চম বাউন্ডারিটি নিয়ে গেছে তাঁকে হাফ সেঞ্চুরিতে। খেলতে হয়েছে ১৭৯ বল। হাবিবুল বাশারের মতো স্ট্রোক প্লের ছটায় উজ্জ্বল নয় তাঁর ইনিংস, বরং সেটি সংকল্প আর দৃঢ়প্রতিজ্ঞার এক ডকুমেন্টারি। বাংলাদেশের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রানের পার্টনারশিপটিতেও আমিনুলই তুলনামূলকভাবে মৌন পার্টনার’। তাঁর অবদান ২৬, জাতীয় দলে তাঁর সমান বয়সী আকরাম খানের ৩৫। আরেক সাবেক অধিনায়কের ইনিংস যে ৩৫ রানেই থেমে গেল, এ জন্য দায়ী তিনি নিজেই। ভালো খেলছিলেন, যোশির বলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ছক্কা মেরে পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস, অথচ অতি আত্মবিশ্বাসেরই বলি হয়েছেন নিজে। যোশিকে স্পিনের বিপরীতে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শর্ট মিড উইকেটে। 

১৭৫ রানে আকরামকে হারানোর মাধ্যমেই শুরু শেষ সেশনে ৩ উইকেট হারানোর গল্প। দলে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান আল-শাহরিয়ার যোশির বলে দারুণ এক অন ড্রাইভ মেরে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বড় কিছুর। কিন্তু এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর আশাভঙ্গের বেদনায় পোড়ানো তাঁর পুরনো অভ্যাস। কাল অবশ্য উচ্চাভিলাষী কিছু করতে গিয়ে আউট হননি, শেষ সেশনে ভালো বল করা আগারকার ফেলেছেন তাঁকে এলবিডব্লুর ফাঁদে। ৩ উইকেটে ১৭৫ থেকে হঠাৎই বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৯৬! অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দিন শেষে অপরাজিত থাকলে আজ আরো বড় কিছু প্রত্যাশা করতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আমিনুলের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ার পর দিনের ৮৭তম ওভারে সিলি পয়েন্টে ব্যাট-প্যাড ক্যাচ দিয়ে যোশিকে তৃতীয় উইকেট দিয়ে ফেললেন তিনি। বাকি তিন ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন আমিনুল আর খালেদ মাসুদ। তাঁদের ওপর ভরসা আছে বলেই প্রথম দিন শেষে অধিনায়ক বলতে পারছেন, ‘ড্র ইজ নট ইমপসিবল!’

ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-১
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-২
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৩
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৫
ফিরে দেখা বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট-৬

 

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ
আপনার মন্তব্য
আরও পড়ুন
×